শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
সৈয়দ আসরার আহমদ
অপরাহ্নের নদী
জানো কি? তুমি কথা বললেই ভরে যেত কাব্যের নদী!
দু’কূল প্লাবিত করে ডোবাত বসতি
সেই জলের পলিমাটি বিস্তীর্ণ অববাহিকায় উর্বর শস্যভূমির করত সৃষ্টি!
সৈকতে তুমি হাসলেই জলোচ্ছ্বাসে সমুদ্র তোমাকে ছুঁয়ে দিত!
দেখেছি, অবাক বিস্ময়ে পুরী, দীঘা বা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে!
সে কি উত্তাল উর্মিমালা, তোমাকে যেন পরাতে চাইত মালা!
ভয়ে আমি জড়সড়ো তোমাকে জড়িয়ে ধরে যেতাম দূরে সরে!
তুমি বুঝতেই পারতে না, এখনও বোঝো না,
তাই তো আর তোমাকে সমুদ্রতটে নিয়ে যেতে চাই না!
তুমি তো জান না, জানবে বা কি করে আমি তো তোমাকে সেসব বলি না!
পুর্ণিমায় তুমি যখন সন্ধ্যারাতে ছাদে উঠতে তখন!
চাঁদ এসে তোমাকে জড়িয়ে ধরতো কোন অভিলাষে?
ভালবেসে হেসে কুটি কুটি হতাম আমি খুশিতে,চাঁদনি রাতে!
চাঁদের মিতালি কে না চায়! তাই আজও দু’জনায় পূর্নিমারাতে ছাদে যাই!
তুমি তো নদী, উচ্ছল ছলছল ছলাৎ ছলাৎ জলধারার নদী!
আর নদীর সঙ্গে চাঁদের মিতালির কথা কে না জানে!
তোমাকে এখনও সমুদ্র খোঁজে, দিবারাত্রি তার গর্জন শোনা যায়!
সৈকতে আজও ঢেউগুলো আছড়ে পড়ে, তোমার স্মৃতির জাল বোনে!
চাঁদও তাই জোৎস্নায় তোমাকে ধরতে চায় যদিও তুমি এখন অপরাহ্নের নদী।
আলম মাহবুব
নেশা কেটে গেলে
পাতারা কাঁপছে হাওয়ায়
প্রলম্বিত নেশারা ঝড়ের তান্ডবে মুখর
সম্ভোগে প্রিয় রমনী কাঁদে
ক্লিয়ার কাট রোডম্যাপ- আলোর উন্মোচন
সালঙ্কারা বিজ্ঞাপনে বজ্রপাতের দেহভাষা
স্বপ্নেই উড়াল আলো
নেশা কেটে গেলে রজনী দীর্ঘ পারাবার।
স্বরূপ মন্ডল
বার্তা-১
পর্ণমোচী বৃক্ষের মতো মোচন করেছি সর্ব-এষণা
সাঁঝবেলা উপশম খুঁজি—কালিমার্কা পাঁইটে
জানি সমস্ত পাট দিয়েছ চুকিয়ে,তবু জাগো রাতভর
হে রতিপারঙ্গম,তাই লিখি দিকশূন্য চিরকুটে—
এতকাল বাদে—আর নিশিপালন কোরো না...
সুমন আমীন
প্রজাপতি মন
বৃষ্টি মাখানো আদ্র বাতাস এসে
এলোমেলো করে লুকানো গল্পটাকে
লোনা ঢেউয়ের পরতে পরতে ভেসে
এসো ছুটি দেই ভয়ের কল্পনাকে।
আমরাই হবো সাহসী হৃদয় জুটি
ওজানের গাঙে জীবনের গান গায়
কষ্ট গুলোকে তুড়ি মেরে দিয়ে ছুটি
বন্ধুর পথ চলো পার হয়ে যায়।
ঘৃন্য অতীতে ফিরে থাকা কেনো আর
সম্মুখে ওই সুনীল আকাশ মেলে
এসো না দুজন ভেঙে ফেলি সব দ্বার
চলুক সময় বালুচরে হেসে খেলে।
সময়ের ¯স্রোতে স্মৃতি হোক অবিনাশী
কাঙ্ক্ষিত সুখ গড়ে তুলি তিলে তিলে
আজ কথা নয় শুধু ভালোবাসা-বাসি
প্রজাপতি মন উড়ুক আকাশ নীলে।
মিজানুর রহমান তোতা
সবুজ ঘাসের বিছানায় ঘুমিয়ে
পৃথিবীর সব সুখ আমার হাতের মুঠোয়
আমি দিনরাত অবিরত সুখ আনান্দে ভাসি
সব রূপরঙ দেখে আত্মহারা হই।
চন্দ্র সূর্য আকাশ বাতাস গাছগাছালি পানি
মাটির আজব সব ঘটনা, বীজ ফেলে দিলেই
গাছ হয়, হয় ফল মূল খাদ্য জীবন, নির্যাস নিয়ে
আমি বড়ই সুখে আছি, বহুদিন বেঁচে থেকে
অপরূপ বর্ণোচ্ছটায় হাসতে চাই, কেন যেন
অসুখী লোক তা দেখে ঈর্শায় কাতর
হয়ে বাঁকা চোখে।
চোরাপাথে ঊকি দেয়, বারবার কেন জানি না
তার সুখ কোথায়, নিজেকে প্রশ্নবিদ্ধ করে
আবারো সে খিলখিল করে হাসে। আসলে
সত্যিই বোকা শয়তান, কাজ না পেলে কেন
চিমটি কাটে জানি না, সত্যিই জানি না।
আমার বুঝে আসে না কেন এমন করে
পরের সুখে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে, আমি তবুও
সবুজ ঘাসের বিছানায় ঘুমিয়ে মহানান্দে
শয়তানের নাচন দেখি।
শারমিন সুলতানা রীনা
প্রতিশ্রুতি
ফিরে আসবে বলে পিছন ফিরলে
আর হলো না ফেরা
সমান্তরাল শ্রোত বয়....
বয়ে যায় দিন নেমে আসে রাত
আসে না প্রতিক্ষিত সময়
আসে না গোধূলি লগ্ন।
ফেরে না সে আর ঘরে....
অপেক্ষার রাত কেনো এতো দীর্ঘ!
বুকের ভেতর ভাদ্রের ঢেউ
কাঁদে ডানা ভাঙা পাখির গীতবিতান।
করতলে এঁকেছিলো ফিরে আসার কথালিপি
তিমির শ্মশান খা খা করে পাজর
রঙিন ফুল ঝরে যায় অভিমানে,
আঙ্গিনা ভরে ওঠে ধূসর বুনো ঘাসে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।