Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

টাকার জন্যই হত্যা করেন মুশফিক

চট্টগ্রামে মা-মেয়ে খুনের রহস্য উদঘাটন

চট্টগ্রাম ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

দুধ-কলা দিয়ে কাল সাপ পোষেছিলেন মেহেরুন নেছা। অবসরপ্রাপ্ত এই ব্যাংক কর্মকর্তা পুত্র¯েœহে যাকে বড় করে তুলেছিলেন সেই ভাতিজা মুশফিকুর রহিম ব্যাপ্তীই তাকে হত্যা করেন। ফুফুকে হত্যার দৃশ্য দেখে ফেলায় খুন করা হয় প্রায় শত বছর বয়সী দাদি মনোয়ারা বেগমকেও। খুনের পর দুই জনের লাশ ফেলে দেয়া বাড়ির রিজার্ভ পানির ট্যাঙ্কে। চট্টগ্রাম নগরীর টাইগার পাস আমবাগান ফ্লোরাপাস এলাকার একটি ভবনে গত ১৫ জুলাই ঘটে এ নৃশংস জোড়া খুনের ঘটনা। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাÐের নয় দিন পর গতকাল (মঙ্গলবার) খুনের দায় স্বীকার করেন মুশফিকুর রহিম।
চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবু সালেহ মো. নোমানের আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তিনি বলেন, টাকা না দেওয়ায় মাথা রক্ত উঠে যায়। ফুফুর মাথায় কাঠ দিয়ে প্রচন্ড আঘাত করি। তার মাথা থেতলে যায়। রক্তে ভিজে যায় সবকিছু। দূর থেকে দাদি এমন দৃশ্য দেখে চিৎকার শুরু করেন। তার গলা চিপে ধরি। গামছা দিয়ে পেছিয়ে হত্যা করি। দুই জন মারা গেলে লাশ দুটি পানির ট্যাংকে ফেলে দেওয়ার কথাও স্বীকার করেন এই আত্মস্বীকৃত খুনি। ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ধারায় দেওয়া এই জবানবন্দির রবাত দিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক মো. ইলিয়াছ খান রাতে দৈনিক ইনকিলাবকে জানায়, মুশফিক তার ফুফুর কাছ থেকে একটি চেক বই নিয়ে তাতে আট লাখ টাকা লিখে স্বাক্ষর নিতে যান। এতে তিনি স্বাক্ষর দিতে রাজি না হওয়ায় এক পর্যায়ে মুশফিক তার মাথায় আঘাত করেন।
পুলিশ জানায়, ছোট বেলা থেকেই মুশফিক মেহেরুন নেছার সাথে থাকতো। বাবার মৃত্যুর পর মা তার চাচাকে বিয়ে করেন। এরপর থেকে সে ফুফুর কাছে চলে আসে। পুলিশ জানায় তার বিরুদ্ধে আরও একটি খুনের মামলাসহ মোট চারটি মামলা রয়েছে। গতকাল সকালে টাইগার পাস থেকে তাকে গ্রেফতার করে ডিবি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খুন

৩১ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ