যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা গিয়াস আহমেদ, জিল্লুর রহমান জিল্লু ও মিজানুর রহমান মিল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য পদে যুক্ত হলেন
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির তিন নেতাকে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগ প্রাপ্তরা হলেন
ইনকিলাব ডেস্ক : দু’বছর পর ফের গত বুধবার নয়াদিল্লির একটি অভিজাত হোটেলে ইফতার পার্টি আয়োজন করে কংগ্রেস। রাহুল গান্ধী সভাপতি হওয়ার পর এটাই ছিল প্রথম ইফতার। সেখানে নরেন্দ্র মোদীর বিরোধী একঝাঁক নেতাকে দেখা যায়। সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে হাজির হন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জী। তার সঙ্গে একই টেবিলে দেখা যায় রাহুলকে। দু’পাশে দুই প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট প্রণব ও প্রতিভা পাতিলকে নিয়ে বসেন কংগ্রেস সভাপতি।
এই অনুষ্ঠানে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ, প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট হামিদ আনসারি, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দীনেশ ত্রিবেদী, সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, ডিএমকে নেত্রী কানিমোঝি, লোকতান্ত্রিক জনতা দলের নেতা, দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতসহ কংগ্রেস নেতা-নেত্রীরা ছিলেন। এছাড়া ভারতে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত নিকোলাই কুদাশেভও ছিলেন।
ইফতার পার্টির আয়োজনে ত্রুটি রাখেননি রাহুল গান্ধী। তবে বিতর্ক এড়াতে পারেননি কংগ্রেস সভাপতি। মাত্র ১০ সেকেন্ডের জন্য ফেজ টুপি পরেই খুলে নেন তিনি। আর তা নিয়েই কংগ্রেস সভাপতিকে বিঁধতে ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি। তাদের দাবি, শুধুমাত্র ছবি তোলার জন্য টুপি পরেছিলেন রাহুল গান্ধী।
গত বুধবার দিল্লির একটি পাঁচতারা হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করেছিলেন রাহুল গান্ধী। তার আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে প্রতিনিধি পাঠিয়েছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। বেশকিছু দেশের রাষ্ট্রদূতরাও অংশ নিয়েছিলেন এই পার্টিতে। এমনকি সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন স্বয়ং প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জী। ওই পার্টিতেই এক মুসলিম নেতার কথায় ফেজ টুপি পরেন রাহুল গান্ধী। তবে সঙ্গে সঙ্গে তা খুলেও ফেলেন তিনি।
উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিকবার ফেজ টুপি পরেছেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু ১০ সেকেন্ড পরে খুলে ফেলেননি। বিজেপির অভিযোগ, রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেই সংখ্যালঘু তোষণের রাজনীতি করছেন রাগা। তার ইফতার পার্টি আসলে প্রচার ছাড়া কিছুই নয়। কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়নমন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভির কথায়, ‘রাজনৈতিক কারণে ইফতার পার্টি দেয় কংগ্রেস। কিন্তু আমরা মুসলিমদের সম্মান দিতে চাই’।
গুজরাটের ভোটপ্রচারে মন্দিরে মন্দিরে ঘুরতে দেখা গিয়েছিল রাহুল গান্ধীকে। সোমনাথ মন্দিরে বিতর্কের পর কংগ্রেস দাবি করেছিল, রাহুল গান্ধী পৈতেধারী হিন্দু। প্রসঙ্গত কংগ্রেসের নেতারা নানা সময়ে স্বীকার করেছেন, বিজেপি সুকৌশলে কংগ্রেসের গায়ে ‘মুসলিমদের দল’ তকমা সেঁটে দিয়েছে। সেই তকমা ঝাড়তে গুজরাটে চেষ্টার কসুর করেননি রাহুল গান্ধী। এমনকি বিধানসভা ভোটের প্রচারপর্বে একবারও গোধরায় পা রাখেননি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ২০১৯ সালে ভোটের আগে ‘নরম হিন্দুত্বে’র পথ ধরেই এগোতে চাইছেন রাহুল গান্ধী। আর সেটা মাথায় রেখেই ইফতার পার্টিতে ফেজ টুপি ১০ সেকেন্ডেই খুলে নিয়েছেন তিনি। সূত্র : এবিপি আনন্দ ও জি নিউজ।
প্রবাস জীবন বিভাগে সংবাদ পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।