Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নয়াদিল্লীর সমৃদ্ধ অস্ত্রবাজার

প্রকাশের সময় : ২২ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীতে সশস্ত্র অপরাধই শুধু বাড়ছে না, সেখানে অস্ত্র সংগ্রহ করাও সহজ। নয়াদিল্লীর অস্ত্রবাজার সমৃদ্ধ। সেখানে একে-৪৭, চীনা স্টার পিস্তল, ওয়ালথার পিপিকে এবং আরো অনেক অস্ত্রই অপরাধী চক্র বা সন্ত্রাসীদের জন্য সহজলভ্য। তারা সহজেই অস্ত্রবাজার থেকে এগুলো কিনতে পারে। তাই নয়াদিল্লীতে অস্ত্র সংক্রান্ত মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। খবর দি নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
শনিবার ব্যাগ ছিনতাইকারীরা দিল্লীর এক পুলিশ কনস্টেবলকে গুলি করে হত্যা করে। এ ধরনের ঘটনা এটাই প্রথম। এর আগে দিল্লী পুলিশের সন্ত্রাস দমন ইউনিট অস্ত্র চোরাচালানকারী একটি আন্তর্জাতিক চক্রের সাথে বন্দুক যুদ্ধে লিপ্ত হয় এবং তাদের কাছ থেকে অত্যাধুনিক অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে। ভারতে ঘাতকদের দেশে তৈরি পিস্তল বা ভারতে তৈরি হ্যান্ডগান ব্যবহারের দিন শেষ হয়ে গেছে। এখন ¯¦য়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহারই রীতি হয়ে গেছে। ৫০ হাজার টাকায় একটি জার্মান মাউজার পিস্তল, দেড় লাখ রুপিতে সেল্ফ লোডিং রাইফেল (এসএলআর) পাওয়া যায়। সন্ত্রাসীদের প্রিয় অস্ত্র একে-৪৭-এর দাম আড়াই লাখ রুপি। তিন লাখ রুপিতে কেনা যায় একটি জার্মান ওয়ালথার পিপিকে পিস্তল। এ বছর ৩১ জুলাই পর্যন্ত দিল্লী পুলিশ ৫শ’ অবৈধ অস্ত্র ও ৬ হাজার ৫৫৩ রাউন্ড গুলি আটক করেছে। নগরীর উচ্চস্তরের অস্ত্রব্যবসায়ীরা দিল্লীর বহিরাংশ, পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব দিকে কর্মকা- চালায়। তারা রাজ্যের বাইরের ক্রেতাদের কাছে অস্ত্র সরবরাহ দিতে ব্যবহার করে নারী ও শিশুদের। গত বছর পুলিশ বিভিন্ন ধরনের ৪৩১টি অস্ত্র ও ৫ হাজার ১৫৩টি রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে। ২০১৪ সালে ৮৬৮টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২০ হাজার ৭৯৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছিল।
দিল্লী পুলিশের সন্ত্রাস দমন ইউনিটে দায়িত্ব পালনরত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার প্রমোদ সিং কুশওয়াহ বলেন, দিল্লীর অবৈধ অস্ত্র বাজার বিরাট। পাকিস্তানের সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো নেপালের সাথে ভারতের সীমান্তের ফাঁক-ফোকর দিয়ে অস্ত্র সরবরাহ করে। সেগুলো দেশের বিভিন্ন অংশে সন্ত্রাসী ও অপরাধীচক্রের কাছে বিক্রি হয়।
দিল্লীতে যেসব অস্ত্র আটক করা হয়েছে সেগুলো পাকিস্তানের দারাখেলের অস্ত্রব্যবসায়ীরা এবং চীনের অস্ত্র বিক্রেতাদের সরবরাহকৃত। নিজেদের লোকদের দিয়ে চাঁদাবাজি ও হত্যাকা-ের জন্য অপরাধচক্রের নেতারা এগুলো কেনে।
রাজধানীতে এজেন্টরা অস্ত্র ব্যবসা পরিচালনা করে। তাদের প্রধান কাজ হল অবৈধ অস্ত্র ও গুলি সরবরাহ করা। মধ্যবর্তী ব্যক্তিরা এজেন্টদের মোবাইল নম্বর পায় এবং বিহার, উত্তর প্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশ থেকে প্রাইভেটকারে করে দিল্লীতে পৌঁছে।
তারা তাদের কাছে দেয়া নম্বরে সে ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করে অস্ত্র ও গুলি সংগ্রহ পূর্বক সেদিনই দিল্লী ত্যাগ করে স্ব স্ব স্থানে চলে যায়।
মধ্যবর্তী ব্যক্তিরা দিল্লীতে প্রতি ট্রিপের জন্য ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার রুপি পায়। এজেন্টরা যদি অত্যাধুনিক অস্ত্র চায় সেক্ষেত্রে দাম বাড়ে। পুলিশ তাদের তখনি ধরতে পারে যদি মধ্যবর্তীদের আটক করা যায়। কোনো অস্ত্র যদি এজেন্টের কাছে সরবরাহ করা হয়ে যায় তা আর উদ্ধার করার সম্ভাবনা থাকে না। সূত্র: দি নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নয়াদিল্লীর সমৃদ্ধ অস্ত্রবাজার
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ