বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাউজানের কদলপুরে সম্পত্তির বিরোধের জের ধরে ঝগড়ার সময় দুই ভাইয়ের হাতে খুন হয়েছে আরেক ভাই। গত বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম মহিম উদ্দিন (৪৮)। তিনি কদলপুর ইউনিয়নের কদলপুর গ্রামের আলম বাড়ির মৃত ইছাক মিয়ার ছেলে। সূত্রে প্রকাশ নিহত মহিমরা ৬ ভাই। ৫/৬ বছর আগে তাদের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। এরমধ্যে ৬ভাই একেএকে কাতার গিয়ে বেশ টাকা পয়সার মালিক বনেন। গত কিছুদিন ধরে নিহত মহিমের সাথে অন্য ভাইদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়। এমনকি মহিম ও তার মা কে ঘর থেকে বের করে দেয় অপর ভাইরা। এতে মহিম ও তার মা আপন ঘর ত্যাগ করে শহরে ভাড়া বাসায় আশ্রয় নেয়। গত কোরবানের আগে মা কে নিয়ে মহিম কোরবানি দিতে বাড়ীতে আসেন। এই খবর পেয়ে কাতার অপর দুই ভাই জসীম ও আবদুল মান্নান তার মা ও মহিম কে ঘর থেকে বের করে দেওয়ার জন্য বাড়ীতে এসে পড়েন। এই নিয়ে অনেক ঝগড়া ঝাটি হয়। এমনকি জন্মদাতা মাকেও ঘর থেকে বের করে দিতে দ্বিধাবোধ করেননি জসীম ও মান্নান। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৬টার দিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তসলিম উদ্দিন চৌধুরী তাদের উভয়কে এই বিষয়ে সমাধানের জন্য বৈঠকের সময় দিয়েছিলেন। কিন্তু বৈঠকের আগেই তারা ৩ ভাই ঝগড়ায় লিপ্ত হয়ে দুই ভাই মিলে মা কে লালন পালন কারী মহিম উদ্দিনকে খুন করে পেলে। নিহত মহিমও কাতার থেকে দেশে আসেন কিছুদিন আগে। স্থানীয়দের মতে এই পরিবারটি কারো কথা শুনতে চায় না। তাদের ঝগড়া করা পুরনো অভ্যাস।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তসলিম উদ্দিন চৌধুরী গতকাল শুক্রবার সকাল ১১টায় ফোনে জানান, ‘বসতভিটা ও আর্থিক বিষয় নিয়ে তিনবছর ধরে মহিমের সাথে বিরোধ চলে আসছিল বড় ভাই হাজী এম. জসিম উদ্দিন ও ছোট ভাই আবদুল মন্নারের সাথে। এনিয়ে প্রায়ই মহিমের সঙ্গে ঝগড়ায় লিপ্ত হয় জসিম ও মন্নান। গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে একই প্রসঙ্গ নিয়ে ঝগড়া লাগে দু’পক্ষের মধ্যে। এক পর্যায়ে বড় ভাই জসিমের নির্দেশে ছোট ভাই আবদুল মন্নান গাছের গুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে নিহত মহিম উদ্দিনকে। এসময় গুরুতর আহত মহিম কে প্রথমে রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও অবস্থার অবনতি ঘটলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে রাত ৮টার দিকে মারা যান মহিম। এদিকে খুনের ঘটনায় জড়িত জসীম কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেপায়েত উল্লাহ বলেন ‘মহিমের সাথে অপর দুই ভাইয়ের বিরোধের জের ধরে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।