সাইয়্যেদুল মুরসালীন, রাহমাতুল্লিল আলা-মীন খাতামুন্নাবিয়্যান, রাসুলু রাব্বিল আলামীন মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর এই ধুলার ধরণীতে আগমন বিশ্ব জগতের জন্য ‘রহমত’স্বরূপ। আল-কোরআনে এই বিশেষত্বটি এভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এরশাদ হয়েছে: হে প্রিয় হাবীব (সা:) আমি আপনাকে বিশ্ব জগতের জন্য...
আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত এই দুনিয়াতে যত নবী ও রাসূল প্রেরণ করেছেন তাদের প্রত্যেকই ছিলেন মাসুম অর্থ্যাৎ নিষ্পাপ। কোনো সগীরা বা কবিরা গুনাহ স্বেচ্ছায় বা আনীচ্ছায় কোনো নবী ও রাসূলের দ্বারা সংঘঠিত হয়নি। নবী ও রাসূল গণের ইসমাত বা নীষ্পাপ হওয়া...
মহান রাব্বুল আলামীন এই পৃথিবীতে যতজন নবী ও রাসুল প্রেরণ করেছেন, তন্মধ্যে নবীদের সংখ্যা বেশি এবং রাসুলদের সংখ্যা কম। এতদসম্পর্কে হাদিস শরিফে বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায়। যথা: (ক) হজরত আবু উমাম-বাহেলী (রা:) হতে বর্ণিত, হজরত আবুযর (রা:) বলেন : আমি...
মহান রাব্বুল আলামীন এ পৃথিবীতে যে সকল নবী ও রাসুল প্রেরণ করেছিলেন, তাঁরা সকলেই ছিলেন সত্যবাদী ও বিশ্বস্ত। তাঁরা জান্নাতের শুভ সংবাদ ও জাহান্নামের ভীতিপ্রদর্শন করেছেন। তাঁরা ছিলেন উচ্চমানের চারিত্রিক বৈশিষ্ঠ্যের অধিকারী। তাঁরা ছিলেন স্বীয় সম্প্রদায়ে পরিপূর্ণ মর্যাদায় সকলের চাইতে...
পিয়ারা নবী মোহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ (সা.) এর অবস্থাদি ও প্রত্যক্ষ দর্শনাদির বিবরণ এমন এক জগতের সাথে সম্পৃক্ত যেখানে আমাদের উপাদান সমৃদ্ধ জগৎ ও উপাদানভিত্তিক নিয়মতান্ত্রিকতার কোনোই ছোঁয়াচ নেই। যেভাবে আমাদের এ উপাদানপূর্ণ পৃথিবী একটি নির্দিষ্ট নিয়মতান্ত্রিকতায় মাঝে পরিচালিত হচ্ছে; যেমন রাতের...
আল্লাহপাকের পিয়ারা বান্দা নবী এবং রাসুলগণ এই দুনিয়াতে কারো নিকট লেখাপড়া শেখেন না। সরাসরি মহান রাব্বুল আলামীনের পক্ষ হতে তাদেরকে সকল ইলম দান করা হয়। এতদপ্রসঙ্গে আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত আল কোরআনে সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন (ক) যারা রাসুল-নবীয়ে উম্মির অনুসরণ করে...
এই পৃথিবীর মানব গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তম হলেন নবীগণ। আর নবীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলেন রাসূলগণ। রাসূলগণের মধ্যে অধিকতর সর্যাদাসম্পন্ন হলেন উলুল আযম রাসূলগণ। উলুল আযম রাসূল হলেন হযরত নূহ (আ:), হযরত ইব্রাহীম (আ:), হযরত মূসা (আ:), হযরত ঈসা (আ:) এবং খাতামুন...
আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত যে সকল নবী ও রাসূল (সা.) দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন, তাঁদের সকলের দ্বীন তথা ধর্মীয় জীবনবিধান এবং আকিদা বিশ্বাস এক ও অভিন্ন। তাদের শরীয়াত তথা কর্মপদ্ধতি এবং শাখাগত বিধিবিধান পৃথক পৃথক ও তাদের নিজ নিজ সময়ের উপযোগী। এই...
ইমামুল মুরসালীন মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা, বিশেষ করে প্রত্যেক নবী ও রাসূলের সম্মান ও মর্যাদাকে অক্ষুন্ন রাখা অপরিহার্য। কোনো নবী ও রাসূল সম্পর্কে সামান্যতম তাচ্ছিল্য ও অবমাননা ইসলাম থেকে বহিষ্কৃৃত হওয়ার জন্য যথেষ্ট। এতদ প্রসঙ্গে মহান রাব্বুল...
পিয়ারা নবী- মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সা:) আল্লাহ তায়ালার সর্বশেষ নবী ও রাসুল। তাঁর শরিয়াত এবং কিতাব (কোরআন) পূর্ববর্তী সকল শরিয়াত ও কিতাব রহিতকারী। তাঁর পরে কেয়ামত অবধি আর কোনো নবী আগমন ঘটবে না। সুতরাং তাঁর পরে কেউ নবী হওয়ার দাবি করলে,...
পিয়ারা নবী মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সা:) কে পৃথিবীতে প্রেরণ ও তাঁর নাবুওয়্যাতকে বিশ্বময় পরিব্যক্তকরণ ছিল আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জতের অনুপম কুদরত ও অনন্ত হেকমতের একান্ত বিকাশ। যার ফলে তিনি সমগ্র জগতের জন্য নবী। তিনি যেমন সব উম্মতের নবী, তেমনি তিনি সব নবীদেরও...
আল কুরআনে ইরশাদ হয়েছে- “এবং (এই রাসূল (সা.) তাদের ওপর হতে তাদের ভারি বোঝা এবং শৃঙ্খল (অধীনতার) যা তাদের ওপর (নাফরমানীর কারণে আরোপিত) ছিল, তা দূরীভ‚ত করেছেন (এবং তাদেরকে স্বাধীনতার নেয়ামত দ্বারা সমৃদ্ধশালী করে তুলেছেন)।” (সূরা আ’রাফ : আয়াত :...
মহানবী মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বয়ং নিজের মীলাদ উদযাপন করেছেন। তিনি আল্লাহ তা‘আলার শোকর আদায় করতে গিয়ে স্বীয় বেলাদতের খুশিতে খাসি যবেহ করেছেন এবং জিয়াফতের ব্যবস্থা করেছেন। নিম্নে এর প্রমাণসমূহ উপস্থাপন করা হল। (১) বায়হাকী (৩৮৪-৪৫৮ হি.) হযরত...
হযরত আনাস বিন মালেক (রা.) হতে বর্ণিত আছে যে, হুযুর নবী আকরাম (সা.) স্বীয় মি’রাজ ভ্রমণ বয়ান করতে গিয়ে বলেছেন যে, জিব্রাঈল (আ.) ‘বাইতুল লাহাম’ নামক স্থানে আমাকে বললেন, আপনি বোরাক হতে অবতরণ করুন এবং নামাজ পাঠ করুন? আমি অবতরণ...
হযরত কায়াব আহবার (রা.)-এর বর্ণনার মধ্যেও পাওয়া যায়। তিনি বলেন, আমি ওমর বিন খাত্তাব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, আমি সে সস্প্রদায়কে চিনি ও জানি যে, যদি তাদের উপর সে আয়াত নাজিল হত, তাহলে তারা সেই দিনকে ঈদ হিসেবে পালন করত। হযরত...
জাহেলিয়াতের যুগে মক্কার কুরাইশরা আশুরার দিন রোজা রাখত এবং এই দিনটিকে ঈদের দিনের মতো উদযাপন করত। হিজরতের পূর্বে মহানবী (সা.)ও সেদিন রোজা রেখেছেন। তারা এ দিনকে সম্মান ও মর্যাদা দিত, কারণ এ দিনে সর্বপ্রথম কাবাতুল্লাহ (আল্লাহর ঘর)-এর উপর গিলাফ চড়ানো...
হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী (৭৭৩-৮৫২ হি.) উপরোল্লিখিত সহীহ হাদীসের আলোকে ঈদে মীলাদুন্নবী (সা.)-এর ওপর প্রমাণ প্রতিষ্ঠা করে এই দিনের শরয়ী অবস্থাকে সুস্পষ্টভাবে সাব্যস্ত করেছেন এবং এর দ্বারা মীলাদে মোস্তফা (সা.)-এর দিনটি উদযাপনের বৈধতার ওপর দলিল কায়েম করেছেন। হাফেজ ইবনে হাজার...
ইসলামের পূর্বে আরবদের ব্যবহারিক জীবনে আশুরা উপলক্ষে ঈদ পালন করা হত। বিভিন্ন কারণে আরবরা এই দিনকে ঈদের দিনের মতো উদযাপন করত। মহানবী (সা.) মদীনায় তাশরীফ এনে দেখতে পেলেন যে, ইহুদীরা এইদিনে কেবলমাত্র রোজাই রাখে না, বরং ঈদের আনন্দও উদযাপন করে।...
আল-কুরআনে ইরশাদ হয়েছে- “এবং (এই রাসূল (সা.) তাদের ওপর হতে তাদের ভারি বোঝা এবং শৃঙ্খল (অধীনতার) যা তাদের ওপর (নাফরমানীর কারণে আরোপিত) ছিল, তা দূরীভ‚ত করেছেন (এবং তাদেরকে স্বাধীনতার নেয়ামত দ্বারা সমৃদ্ধশালী করে তুলেছেন)।” (সূরা আ’রাফ : আয়াত ১৫৭)মহানবী (সা.)-এর...
(গ) অন্য একটি বর্ণনায় ইহুদীদের উত্তর এবং মহানবী (সা.)-এর নির্দেশ এভাবে বিবৃত হয়েছে : তারা বলল, এটা খুবই বড়দিন। আল্লাহ তায়ালা এই দিনে মূসা (আ.) এবং তার কাওমকে নাজাত দিয়েছেন এবং যখন ফেরাউন ও তার কাওমকে ডুবিয়ে দিয়েছেন মূসা (আ.)...
আশুরা হচ্ছে ঐ দিন যেদিন আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত হযরত মূসা আলাইহিস সালামকে বিজয় দান করেছিলেন এবং ফেরাউনকে তার লয়-লশকর ও সৈন্য সামন্তসহ নীল দরিয়ায় ডুবিয়ে মেরেছিলেন। এভাবে বনী ইসরাইলীগণ ফেরাউনের অত্যাচার ও নিগ্রহ হতে রেহাই পেয়েছিল। তাই, এই দিনটি হযরত...
বক্ষ্যমাণ নিবন্ধে মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বৈধতা সংক্রান্ত প্রমাণাদি হাদীসের ভিত্তিতে বয়ান করা হবে এবং হাদীসের কিতাবাদিতে সঙ্কলিত হাদীসের আলোকে হুজুর নবীয়ে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সৌভাগ্যপূর্ণ বেলাদতের উপর খুশী ও আনন্দ প্রকাশ করার শরীয়ত ভিত্তিক প্রমাণাদি...
রূহানী বার্তাবাহকের আগমন : বক্ষমান নিবন্ধটি রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর ঐ সকল অবস্থাদি ও প্রত্যক্ষ দর্শনাদির সুবিস্তৃত বিবরণ সম্বলিত যা এমন এক জগতের সাথে সম্পৃক্ত যেখানে আমাদের উপাদান সমৃদ্ধ জগত ও উপাদানভিত্তিক নিয়মতান্ত্রিকতার ছোঁয়াচ নেই। যেভাবে আমাদের এ উপাদানপূর্ণ পৃথিবী একটি নির্দিষ্ট...