পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আল্লাহপাকের পিয়ারা বান্দা নবী এবং রাসুলগণ এই দুনিয়াতে কারো নিকট লেখাপড়া শেখেন না। সরাসরি মহান রাব্বুল আলামীনের পক্ষ হতে তাদেরকে সকল ইলম দান করা হয়। এতদপ্রসঙ্গে আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত আল কোরআনে সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন (ক) যারা রাসুল-নবীয়ে উম্মির অনুসরণ করে অর্থাৎ এমন রাসুলের অনুকরণ করে যিনি নশ্বর জগতের কোনো শিক্ষকের নিকট লেখাপড়া শিক্ষা করেননি। (সুরা আল আ’রাফ : আয়াত ১৫৮)। রাসুলুল্লাহ (সা.) এর জ্ঞানবত্তা সম্পর্কে আল্লাহপাক আরো এরশাদ করেছেনÑ (খ) তিনি নিজ প্রবৃত্তির বশে কোনো কথা বলেন না। তাঁর কথা ওহি বৈ কিছু নয়। মহান শক্তিধর সত্ত¡া তাঁকে শিক্ষা দান করেছেন। (সুরা আন নাজম : আয়াত ৩-৫)। সকল নবী ও সকল সৃষ্টি থেকে মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সা.) কে বেশি ইলম দান করা হয়েছিল। সৃষ্টি আদি-অন্তের জ্ঞান তিনি প্রাপ্ত হয়েছিলেন। যা আর অন্য কারো ভাগ্যে জোটেনি। তিনি যা জানতেন তা গায়েব ছিল না। তার কাছে জ্ঞান লাভের পর সবই ছিল হাজের বা দৃশ্যমান। এ সাক্ষ্যটি ছিল মহান আল্লাহপাক আল কোরআনে এভাবে তুলে ধরেছেন। এরশাদ হয়েছে : (গ) আল্লাহ তায়ালা আপনার ওপর কিতাব ও হিকমাত অবতীর্ণ করেছেন এবং আপনাকে শিখিয়েছেন এমন সকল বিষয় যা আপনি জানতেন না। (সূরা আন নিসা : আয়াত ১১৩)। আমরা মানব জাতির সদস্যগণ গায়েব বা অদৃশ্য বলতে যা বুঝি বা ধারণা করি, তাঁর কুঞ্জি বা চাবিসমূহ একমাত্র আল্লাহপাকের কাছেই আছে। এ বিষয়ে আল্লাহ জাল্লা শানুহু স্পষ্টতঃই ঘোষণা করেছেন: (ঘ) গায়েবের কুঞ্জিসমূহ একমাত্র তাঁরই কাছে আছে। তিনি ছাড়া অন্য কেউ তা জানে না। জলে ও স্থলে যা কিছু আছে তা তিনিই অবগত। তাঁর অজ্ঞাতসারে একটি পাতাও নড়ে না। মৃত্তিকার অন্ধকারে এমন কোনো শস্যকণাও অংকুরিত হয় না অথবা রসযুক্ত কিংবা শুষ্ক এমন কোনো বস্তু নাই যা সুস্পষ্ট কিতাবে (লাওহে মাহফুজে) নাই। (সুরা আল আনয়াম : আয়াত-৫৯)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।