পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মহান রাব্বুল আলামীন এই পৃথিবীতে যতজন নবী ও রাসুল প্রেরণ করেছেন, তন্মধ্যে নবীদের সংখ্যা বেশি এবং রাসুলদের সংখ্যা কম। এতদসম্পর্কে হাদিস শরিফে বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায়। যথা: (ক) হজরত আবু উমাম-বাহেলী (রা:) হতে বর্ণিত, হজরত আবুযর (রা:) বলেন : আমি একদা আরজ করলাম, হে আল্লাহর রাসুল (সা:) নবীগণের পূর্ণ-সংখ্যা কত? রাসুলুল্লাহ (সা:) বললেন : এক লক্ষ চব্বিশ হাজার। তন্মধ্যে তিনশত ১৫ জন রাসুল। (মোসনাদে আহম্মদ)। (খ) অন্য এক রেওয়ায়েতে আছে, হজরত আবুযর (রা:) বলেন : আমি আরজ করলাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা:) রাসুল কতজন? তিনি উত্তরে করলেন : তিনশত ১৩ হতে ১৯-এর একটি দল। (মোসনাদে আহম্মদ)। (গ) অন্য এক বর্ণনায় আছে নবীদের সংখ্যা দুই লক্ষ চব্বিশ হাজার। (নিবরাম : পৃষ্ঠা ২৮১) (ঘ) হজরত আবুযর গিফারী (রা:) হতে সহিহ ইবনে হিব্বানে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন : আমি একদা মসজিদে নববীতে প্রবেশ করে দেখলাম, রাসুলুল্লাহ (সা:) একাকী বসে আছেন। তিনি একটি দীর্ঘ-হাদিস বর্ণনা করলেন। উক্ত হাদিসের একাংশে আছে আমি বললাম : হে-আল্লাহর রাসুল (সা:)। নবী ছিলেন কতজন? তিনি উত্তরে বললেন : এক লক্ষ চব্বিশ হাজার। আমি নিবেদন করলাম: তাদের মধ্যে রাসুল কতজন? তিনি ইরশাদ করলেন : তিনশত ১৩ জন। আমি পুনর্বার নিবেদন করলাম : তাঁদের মধ্যে রাসুল কতজন? তিনি বললেন : তিনশত ১৩ জন। আমি নিবেদন করলাম : তাঁদের মধ্যে সর্বপ্রথম কে? তিনি জবাব দিলেন : হজরত আদম (আ:) (শরহে আকাইদ সাফারিনিয়্যাহ : খন্ড-২, পৃষ্ঠা-২৬৩)।
আর একথাও স্বতঃসিদ্ধ যে, প্রত্যেক নবী ও রাসুল স্বীয় নাবুওয়্যাতের ও রিসালাতের উদ্দেশ্যে এবং আল্লাহর পক্ষ হতে অর্পিত দায়িত্ব পালনে সকল ও কামিয়াব হয়েছে। কোনো নবী ও রাসুলের উপর একজন ব্যক্তিও যদি ইমাম না এনে থাকে, তবুও তিনি সকল ও কামিয়াব। এ সত্যটি আল কোরআন ও ইজমায়ে উম্মত দ্বারা-সমর্থিত। প্রথমত: আল কোরআনের নির্দেশনাবলীর প্রতি নজর দেয়া যাক। ইরশাদ হয়েছে : (ক) হে (প্রিয়) নবী! তুমি নসিহত কর। তুমি একজন নসিহতকারী মাত্র। তুমি তাদের উপর দারোগা নও। আর যে মুখ ফিরিয়ে নেয় ও কাফির হয়ে যায়, আল্লাহ তায়ালা- তাকে কঠিন আযাব দিবেন। (সুরা আল গাশিয়া : আয়াত ২১-২৪)। (খ) রাসুলদের উপর আল্লাহর আহকাম প্রকাশ্যভাবে পৌঁছে দেয়া ছাড়া আর কোনো দায়িত্ব নেই। (সুরা আল নাহল : আয়াত ৩৫১)। দ্বিতীয়ত : নবী ও রাসুলগণের তাবলিগের সাথে সম্পৃক্ত বিষয়ে সমগ্র উম্মত এ বিষয়ের উপর একমত যে, নবী ও রাসুলগণ মিথ্যা হতে সম্পূর্ণ মুক্ত ও পবিত্র। তারা জনগণের মাঝে প্রচারণা ও উৎসাহ প্রদানের ব্যাপারে সর্বদা সচেষ্ট ছিলেন। অন্যথায় নাবুওয়্যাত ও রিসালাতের দায়িত্ব পালনে তাদের অনীহা ও অযোগ্যতা প্রমাণিত হবে। আর স্বেচ্ছায় অথবা ভুলক্রমে তাদের থেকে এহেন উদাসীনতা প্রকাশ পাওয়া সর্বসম্মতভাবে অসম্ভব। এমনটি হতেই পারে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।