Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বালাগাল উলা বিকামালিহি কাসাফাদ্দোজা বিজামালিহি

এ. কে. এম. ফজলুর রহমান মুনশী | প্রকাশের সময় : ২১ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০০ এএম

ইমামুল মুরসালীন মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা, বিশেষ করে প্রত্যেক নবী ও রাসূলের সম্মান ও মর্যাদাকে অক্ষুন্ন রাখা অপরিহার্য। কোনো নবী ও রাসূল সম্পর্কে সামান্যতম তাচ্ছিল্য ও অবমাননা ইসলাম থেকে বহিষ্কৃৃত হওয়ার জন্য যথেষ্ট। এতদ প্রসঙ্গে মহান রাব্বুল আলামীন আল কুরআনে ইরশাদ করেছেন : হে বিশ্বাসীগণ তোমরা নবীর কণ্ঠস্বরের ওপর তোমাদের কণ্ঠস্বর উঁচু করো না এবং নিজেদের মধ্যে কথোপকথনের ন্যায় রাসূলের সাথে উচ্চস্বরে কথা বলো না। কারণ এতে তোমাদের অজ্ঞাতসারে তোমাদের আমলসমূহ নিষ্ফল হয়ে যাবে। (সূরা আল হুযুরাত: আয়াত ২)।

এই আয়াতে কারীমার অর্থ ও মর্ম বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তাফসীরে মাযহারীতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, পিয়ারা নবী মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর মর্যাদা ও মাহাত্ম্যকে মেনে নেয়া, তাঁর সাথে আচরণে শালীনতা রক্ষা করা, তাঁর উপস্থিতিতে নিম্নস্বরে কথা বলা, তাঁকে আল্লাহর নবী বা আল্লাহর রাসূল শব্দে সম্বোধন করা ইত্যাদি উম্মতের জন্য ওয়াজিব। তাফসীরে মাযহারী: খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৪১)।

চার মাযহাবের ইমামগণ এই রায় প্রদান করেছেন যে, সন্দেহাতীতভাবে ঐ ব্যক্তি কাফির যে রাসূলুল্লাহ (সা:)-কে গালি দেয় অথবা তাঁকে হত্যা করা বৈধ মনে করে। (রাদ্দুল মোহতার: খন্ড-৩, পৃষ্ঠা-৩১৭)। আর সাধারণ আহলে ইলেমগণের এ কথার ওপর ইজমা হয়েছে যে, রাসূলে পাক মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা:)-কে গালি দিলে তার শাস্তি হবে মৃত্যুদন্ড। (আস সারিমুল মাসলুল: পৃষ্ঠা-৪)। আর একথাও স্বতঃসিদ্ধ যে, কোনো নবী ও রাসূলকে গালি দিয়ে কেউ কাফির হলে দন্ডবিধি অনুযায়ী তার মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হবে। তার তাওবাহ আদৌ কবুল করা হবে না। স্মরণ রাখা দরকার যে, কোনো ব্যক্তি আল্লহ তায়ালাকে গালি দিয়ে তাওবাহ করলে তার তাওবাহ গ্রহণযোগ্য হবে। কেননা, আল্লাহকে গালি দেয়া হক্কুল্লাহ-এর অন্তর্ভুক্ত। আর নবীকে গালি দেয়া হাক্কুল ইবাদের বা বান্দার হকের অন্তর্ভুক্ত। বান্দার হক শুধু তাওবাহ এর দ্বারা মাফ হয় না। (রাদ্দুুল মুহতার: খন্ড-৪, পৃষ্ঠা-২৩১)

বস্তুত নবী ও রাসূলগণের ওপর ইমাম আনয়ন ব্যতীত আল্লাহ তায়ালার ওপর ঈমান আনয়ন গ্রহণযোগ্য ও নির্ভরযোগ্য নয়। আল্লাহ তায়ালার প্রতি ঐ ব্যক্তির ঈমান বির্ভরযোগ্য যে নবীগণের ওপর ঈমান রাখে। মহান আল্লাহপাক ঈমানদার মুত্তাকীদের বর্ণনায় সুস্পষ্টভাবে ইরশাদ করেছেন : যারা আপনার প্রতি নাজিলকৃত ও আপনার পূর্বে নাজিলকৃত কিতাবসমূহের ওপর ঈমান রাখে এবং যারা আখিরাতে বিশ্বাস করে তারাই তাদের প্রতিপালকের হেদায়েতের ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং তারাই একমাত্র সফলকাম। (সূরা আল বাকারাহ : আয়াত ৪-৫)।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসলাম

৩ মার্চ, ২০২৩
২ মার্চ, ২০২৩
১ মার্চ, ২০২৩
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ