Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বালাগাল উলা বিকামালিহি কাসাফাদ্দোজা বিজামালিহি

এ. কে. এম. ফজলুর রহমান মুনশী | প্রকাশের সময় : ২২ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০০ এএম

আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত যে সকল নবী ও রাসূল (সা.) দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন, তাঁদের সকলের দ্বীন তথা ধর্মীয় জীবনবিধান এবং আকিদা বিশ্বাস এক ও অভিন্ন। তাদের শরীয়াত তথা কর্মপদ্ধতি এবং শাখাগত বিধিবিধান পৃথক পৃথক ও তাদের নিজ নিজ সময়ের উপযোগী। এই ধর্মীয় জীবনবিধান ও কর্মপদ্ধতি পরিপূর্ণতা লাভ করেছে নূর নবী মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর মাধ্যমে। তাই, আল কুরআন ও সুন্নাহই হলো কিয়ামত পর্যন্ত চিরস্থায়ী জীবনবিধান এবং কর্মপদ্ধতি। এর মধ্যে কোনো রকম সংযোজন ও বিয়োজন চিরকালের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে। এই বিশেষত্বটি মহান আল্লাহপাক আল কুরআনে সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন, যাতে দুনিয়ার মানুষ আল্লাহর দেয়া জীবনব্যবস্থা গ্রহণ করে পরকালীন মুক্তি ও নিষ্কৃতি লাভে ধন্য হতে পারে। আল কুরআনে ইরশাদ হয়েছে : (ক) ‘আল্লাহতায়ালা তোমাদের জন্য ঐ দ্বীনই বিধিবদ্ধ করেছেন, যা নূহ (আ:)-কে দান করেছেন। যা আপনার নিকট অহী করেছি ও যা ইব্রাহীম (আ:), মূসা (আ:), ঈসা (আ:)-কে নির্দেশ করেছি। আর তা হলো, তোমরা দ্বীন কায়েম করো ও সে ব্যাপারে পৃথক পৃথক হবে না।’ (সূরা আশ্্ শুরা : আয়াত-১৩)। (খ) ইরশাদ হয়েছে : তোমাদের প্রত্যেকের জন্য একটি কর্মধারা, বিধিবিধান ও পদ্ধতি নির্ধারণ করেছি। (সূরা আল মায়িদা : আয়াত-৪৮) (গ) ইরশাদ হয়েছে : আপনার পূর্বে প্রেরিত রাসূলগণকে জিজ্ঞেস করুন যে, আমি কি আল্লাহ ব্যতীত অন্য ইলাহ বা উপাস্য ইবাদতের জন্য নির্ধারণ করেছি? (সূরা আয যুখরুক : আয়াত-৪৫)।

এই আয়াতসমূহের দিকনির্দেশনা এবং মর্ম হলো এই যে, পিয়ারা নবী মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা.) ও অন্যান্য নবীর জন্য মৌলিকভাবে একটা দ্বীন আল্লাহ পাক বৈধ করেছেন, আর তা হলো (ক) তাওহীদ, (খ) রিসালাত, (গ) জাকাত, (ঘ) সিয়াম, (ঙ) হজ এবং সৎকর্মের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ। এ সবই এক দ্বীন ও মিল্লাত হিসেবে বিধিবদ্ধ। নবী ও রাসূলদের মধ্যে এ সকল বিষয়ে কোনো ইখতিলাফ ছিল না। মোটকথা, দ্বীনের মূল বিষয় ছিল এক। কিন্তু শাখা-প্রশাখা ছিল বিভিন্ন। সুতরাং উত্তম চরিত্র ও প্রশংসিত আচরণ গ্রহণ আর ঘৃণিত স্বভাব বর্জন করার ক্ষেত্রে তারা সকলেই একমত হওয়াটা ছিল অত্যন্ত স্বাভাবিক। আর এ জন্যই আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত নিজেই এই ঘোষণা প্রদান করেছেন যে, হে প্রিয় মোহাম্মদ (সা.)! আল্লাহতায়ালা আপনার ওপর কিতাব ও হিকমাত (কুরআন ও সুন্নাহ) অবতীর্ণ করেছেন এবং আপনাকে শিখিয়েছেন এমন সকল বিষয় যা আপনি জানতেন না। (সূরা আন নিসা : আয়াত-১১৩) তাই, এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, পরিপূর্ণ ইসলাম ধর্মের সব কিছুই আল্লাহপাকের মনোনীত ও পছন্দনীয়।



 

Show all comments
  • munna ২২ অক্টোবর, ২০২০, ৮:১৮ এএম says : 0
    কই বালাগাল ওলা বিকা মালিহির ব্যপারেত কিছুই বলা হলনা
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসলাম

৩ মার্চ, ২০২৩
২ মার্চ, ২০২৩
১ মার্চ, ২০২৩
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ