Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বালাগাল উলা বিকামালিহি কাসাফাদ্দোজা বিজামালিহি

এ. কে. এম. ফজলুর রহমান মুনশী | প্রকাশের সময় : ২৫ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০০ এএম

পিয়ারা নবী মোহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ (সা.) এর অবস্থাদি ও প্রত্যক্ষ দর্শনাদির বিবরণ এমন এক জগতের সাথে সম্পৃক্ত যেখানে আমাদের উপাদান সমৃদ্ধ জগৎ ও উপাদানভিত্তিক নিয়মতান্ত্রিকতার কোনোই ছোঁয়াচ নেই। যেভাবে আমাদের এ উপাদানপূর্ণ পৃথিবী একটি নির্দিষ্ট নিয়মতান্ত্রিকতায় মাঝে পরিচালিত হচ্ছে; যেমন রাতের পর দিন আত্ম প্রকাশ করে, শীতের পরে বসন্তের আগমন ঘটে এবং তারকাপুঞ্জ অস্তমিত হলে সূর্য বেরিয়ে আসে, গ্রীস্মের অবসানে শীতের আগমন ঘটে, নির্দিষ্ট সময়ে ফুল ফোটে, নির্দিষ্ট সময়ে বৃক্ষে ফল ধরে, গ্রহ-নক্ষত্র একটা নির্দিষ্ট সময়ে উদয় হয় এবং অস্ত যায়। অনুরূপভাবে রুহানি জগতেরও একটি নির্দিষ্ট নিয়ম-শৃঙ্খলা ও বিধিবিধান আছে। সেখানেও আসমান জমিন আছে এবং অন্ধকার ও আলোর বন্যা আছে, শীত ও বসন্তের সমারোহ আছে এবং ফল ও ফসলের মৌসুম সেখানেও আনাগোনা করে। জনৈক দরদি কবি যথার্থই বলেছেন : বেলায়েত পূর্ণ জগতের আকাশ ও তন্মধ্যস্থ বস্তু নির্ণয় নিজস্ব পরিক্রমার মাঝে বিকশিত হয়।’

যখন এ পৃথিবীতে গোনাসমূহের অন্ধকার এবং বদ কার্যাবলির জুলুমাত চতুর্দিক আচ্ছাদিত করে তুলে, তখন প্রভাতের সমুজ্জ্বল আলোর বন্যার আগমন ঘটে এবং দিকভালে দেখা দেয় হেদায়েতের নির্মল সূর্য। পৃথিবীর এই সুশোভিত বাগানে যখন পাপ কাজের শীতকাল আবির্ভূত হয়, তখন দেখা দেয় ঋতু পরিক্রমার পালাবদল এবং নবুয়তের বসন্তকাল দীপ্তিমান হয়ে উঠে।

যেভাবে জমিন, আসমান, সূর্য, ফল এবং ফুলের জন্য রয়েছে সুনির্দিষ্ট প্রাকৃতিক ব্যবস্থাপনা, সাধারণত: যার মাঝে পরিবর্তন সূচিত হয় না, ঠিক সেভাবেই দুনিয়ার হেদায়েত ও পথ প্রদর্শনের, আজাব ও রহমত এবং নবুওয়াত ও রিসালাতের জন্য রয়েছে সুনির্দিষ্ট নিয়মতান্ত্রিকতা ও সাংবিধানিক কার্যক্রম, যার মাঝেও পরিবর্তনের চিহ্ন পাওয়া যায় না। এরই ধারাবাহিকতায় আম্বিয়ায়ে কেরাম ও রাসূলগণ নিজ নিজ সময়ে আবির্ভূত হয়েছেন এবং মানুষকে আল্লাহর দেয়া সত্য গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। দুনিয়ার মানুষ হয়তো তাদের সত্যতার সাক্ষ্য প্রদান করেছে কিংবা তাদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করতে সচেষ্ট হয়েছে। পরিণামে অংশীবাদী ও বিরুদ্ধবাদীরা ধ্বংসের অতল তলে তলিয়ে যায় এবং বিশ্বাসী ও ঈমানদার বান্দাহগণ সফলতা লাভ করে ধন্য হন। এ রুহানি জিহাদে আম্বিয়ায়ে কেরাম এবং রাসূলগণের কাছে হতে এমন সব কর্মকান্ড, প্রজ্ঞা ও মনীষার প্রকাশ পায়, যা সাধারণ মানুষের কার্য প্রণালী ও জ্ঞান-বিজ্ঞান হতে বহু ঊর্ধ্বে অবস্থিত। আর তাদের নিকট হতে এমন সব আশ্চর্যজনক কার্যাবলী বিকশিত হয়, যা সহজাত প্রাকৃতিক স্বভাবের বিপরীত। তেমন অবস্থাই আমরা রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনাদর্শে প্রত্যক্ষ করে চলেছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসলাম

৩ মার্চ, ২০২৩
২ মার্চ, ২০২৩
১ মার্চ, ২০২৩
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ