পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত এই দুনিয়াতে যত নবী ও রাসূল প্রেরণ করেছেন তাদের প্রত্যেকই ছিলেন মাসুম অর্থ্যাৎ নিষ্পাপ। কোনো সগীরা বা কবিরা গুনাহ স্বেচ্ছায় বা আনীচ্ছায় কোনো নবী ও রাসূলের দ্বারা সংঘঠিত হয়নি। নবী ও রাসূল গণের ইসমাত বা নীষ্পাপ হওয়া এমন একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য যা কোনো প্রকার চাপ প্রয়োগ ছাড়াই নবী ও রাসূলদের গুনাহের কাজ হতে বিরত রাখে। পিয়ারা নবী মোহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ (সা:) হলেন সাইয়্যেদুল মুরসালীন, রাহমাতুল্লিল আলামীন, খাতামুন নাবিয়্যিন। তাই তাঁর ইসমাত বা নীষ্পাপ হওয়ার পরিমাণ ও পরিধি কত বিস্তৃত ও বিশাল তা মানব জ্ঞানের বাইরে। কেননা, তিনি পূর্বাপর সকল গুনাহ হতে মুক্ত ও পবিত্র ছিলেন।
এ পর্যায়ে ইসমাত বা নীষ্পাপ হওয়া কাকে বলে তা’ অনুধাবন করা জরুরি। এতদ প্রসঙ্গে ‘শারহুল মাকাসিদ’ গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে যে, গুনাহ করার ক্ষমতা থাকা সত্তে¡ও তা’ হতে বিরত থাকার যোগ্যতা ও শক্তিকে ইসমাত বলে। (হাসিয়ায়ে খায়ালী : পৃষ্ঠা-১০৭)। নবী ও রাসূলগণের মাসুম হওয়া প্রসঙ্গে আল কোরআনে ইরশাদ হয়েছে : (ক) তোমাদের সাথী মোহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ (সা:) বিপথগামী ও বিভ্রান্ত হননি। (সূরা আল নাজম : আয়াত-২) (খ) ঐ মহিলা তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েছিল, তিনিও মোহাবিষ্ট হয়ে পড়তেন যদি তার পরওয়ার দিগারের নিদর্শন প্রত্যক্ষ না করতেন। (সূরা ইউসুফ: আয়াত ২৪)। (গ) যদি আমি তোমাকে দৃঢ়পদ ও অবিচলিত না রাখতাম তা হলে তুমি তাদের প্রতি একটু ঝুঁকেই পড়তে। (সূরা বানী ইসরাইল : আয়াত-৭৪)। (ঘ) নবী ও রাসূলগন দ্বীনের তাবলীগের ব্যাপারে বিশেষত: শরই বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত বিষয়াদির পথ নীর্দেশনা ও বিধানসমূহ উম্মতের নিকট পৌঁছাতে অসত্য হতে সম্পূর্ণ রূপে মুক্ত ছিলেন। উম্মতের সর্ব-সম্মত সিদ্ধান্ত মতে নবী ও রাসূলগন ওহীপ্রাপ্তির পূর্বে ও পরে গুনাহ ও কুফুরী হতে মুক্ত ও নীষ্পাপ ছিলেন। (নিবরাস : পৃ: ২৮৩)।
(ঙ) উসুলবিদ ইমামগণ বলেন : সকল নবী ও রাসূল নিষ্পাপ। ভুলেও তাদের দ্বারা কোনো গুনাহ হয়নি। আল্লাহর দ্বীনের ব্যাপারে তাদের দ্বারা কোনে ভুল-ক্রটি হওয়ার কোনোই অবকাশ নেই। (আল ইউয়াকিতু ওয়াল জাওয়াহিরু : খন্ড-২, পৃষ্ঠা-২)। (চ) নবী ও রাসূলগণ সকলেই সগীরা-কবীরা গুনাহ থেকে পবিত্র ছিলেন। এ প্রসঙ্গে কাজী আয়াজ বলেন: দেহ, মন ও মুখে অর্থাৎ জীবনের সকল অঙ্গনে শয়তানী প্রতারণা থেকে নবী ও রাসূলগণের নীষ্পাপ হওয়ার ব্যাপারে উম্মত একমত পোষণ করেন। (তাফসীরে খাজেন : খন্ড-২, পৃষ্ঠা ২৭০। শারহু ফিকহে আকবার : পৃষ্ঠা-৫৬)।
মোট কথা, উপরোক্ত আলোচনার নিরিখে এ কথা স্পষ্টত:ই বলা-যায় যে, আল্লাহপাকের মনোনীত-বান্দা নবী ও রাসূলগণ শয়তানী-প্রতারণা, মিথ্যা, সগীরা-বা কবীরা গুনাহ ইত্যাদি হতে স্বেচ্ছায় বা ভূলক্রমে, নাবুওয়াতের কার্যক্রম আরম্ভ করার পূর্বে বা পরে সম্পূর্ণ রূপে মাসুম, নিষ্পাপ ছিলেন। (সারামুল কালাম : পৃ: ৩২)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।