Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বালাগাল উলা বিকামালিহি কাসাফাদ্দোজা বিজামালিহি

এ. কে. এম. ফজলুর রহমান মুন্শী | প্রকাশের সময় : ১০ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

বক্ষ্যমাণ নিবন্ধে মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বৈধতা সংক্রান্ত প্রমাণাদি হাদীসের ভিত্তিতে বয়ান করা হবে এবং হাদীসের কিতাবাদিতে সঙ্কলিত হাদীসের আলোকে হুজুর নবীয়ে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সৌভাগ্যপূর্ণ বেলাদতের উপর খুশী ও আনন্দ প্রকাশ করার শরীয়ত ভিত্তিক প্রমাণাদি বিশ্লেষণ করা হবে।
মীলাদের আনন্দ উদযাপনের বৈধতার প্রমাণ প্রতিষ্ঠা : হুজুর নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জন্য আল্লাহপাকের ফযল, রহমত ও এহসান অপরিসীম। মুসলিম উম্মতের ওপর ওয়াজিব হলো এই শ্রেষ্ঠ ও সর্বোৎকৃষ্ট নেয়ামত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে শোকর ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। মহান আল্লাহপাক শোকর আদায় করাকে খুবই পছন্দ করেন ও প্রিয় বলে গ্রহণ করেন। আল্লাহপাকের কোনও দান ও অনুগ্রহের জন্য শোকর আদায় করা আম্বিয়ায়ে কেরামের সুন্নাত ও আদর্শ। যা আশুরার দিন রোজা রাখার হাদীসের মাধ্যমে সুষ্পষ্টভাবে অনুধাবন করা যায়।
আল্লাহপাকের শোকর আদায় করার বিভিন্ন তরীকা, পন্থা বা উপায় আছে। যেমন-ব্যক্তিগতভাবে অথবা সমষ্টিগতভাবে। ব্যক্তিগতভাবে একজন বান্দাহ আল্লাহপাকের নেয়ামতের শোকর আদায় করার জন্য নফল এবাদত, দান-খয়রাত সাহায্য ইত্যাদির উপায় অবলম্বন করতে পারে। কিন্তু আল্লাহপাকের যে ফযল, দান ও এহসান মুসলিম মিল্লাতের উপর সমষ্টিগতভাবে করা হয়েছে, এর শোকর গুজারী সমষ্টিগতভাবেই করা হয়ে থাকে। যেহেতু হুযুর নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বেলাদত ও রাসূল হিসেবে আগমন সকল মানব সমাজের উপর আল্লাহ তায়ালার সর্ববৃহৎ এহসান এবং সার্বজনীন ফযল ও অনুগ্রহ, এ জন্য এই শ্রেষ্ঠ নেয়ামতের উপর সমষ্টিগতভাবে আল্লাহপাকের শোকর আদায় করা ওয়াজিব ও অপরিহার্য। আর যে সকল কাজ সমষ্টিগত পর্যায়ের হয়, তা বাস্তবায়ন করার পদ্ধতি বুনিয়াদ ব্যবহারক, সাংস্কৃতিক ও কৃষ্টির উপর সংস্থাপিত করা হয়। এ জন্য মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দিনটিকে সাংস্কৃতিক দৃষ্টিতে ঈদের দিনের মত জোশ, আগ্রহ এবং অনুরাগের সাথে আদায় করা হয়। এ ব্যাপারটি একটি বৈধ ও জায়েয শিষ্টাচারের প্রতিরূপ হিসেবে গণ্য করা হয়। তাই, মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উদ্দেশ্যে আনন্দ প্রকাশ করার ব্যবহারিক সংস্কৃতি পৃথিবীতে বসবাসকারী মুসলমানগণ নিজেদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকেই নিষ্পন্ন করে থাকেন এবং আল্লাহর শোকর গুজারীর পথকে সমুজ্জ্বল করে তোলেন। এর ধারাবাহিকতা নিঃশেষ হবার নয়। এর যথাযথ প্রমাণ পূর্ববতী নবী ও রাসূলগণের কর্মকান্ডে বহুল পরিমাণে বিধৃত আছে এবং এর রেশ এখনো পর্যন্ত পূর্ববর্তী আসমানী কিতাবধারীদের মাঝে লক্ষ্য করা যায়। তবে নিম্নলিখিত বিষয়াবলীর আলোচনা মূলতঃ এই লক্ষ্যমাত্রারই একটি অংশ মাত্র। যেখানে আশুরার দিন সংক্রান্ত হাদীসগুলোর আলোকে মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর আনন্দ উদযাপন করার দলিল ও প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ