পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাইয়্যেদুল মুরসালীন, রাহমাতুল্লিল আলা-মীন খাতামুন্নাবিয়্যান, রাসুলু রাব্বিল আলামীন মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর এই ধুলার ধরণীতে আগমন বিশ্ব জগতের জন্য ‘রহমত’স্বরূপ। আল-কোরআনে এই বিশেষত্বটি এভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এরশাদ হয়েছে: হে প্রিয় হাবীব (সা:) আমি আপনাকে বিশ্ব জগতের জন্য ‘রহমত’স্বরূপ প্রেরণ করেছি। (সুরা আম্বিয়া : আয়াত নং-১০৭)। আল কোরআন আরও সাক্ষ্য দিচ্ছে যে, পিয়ারা নবী মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সা:) এর আগমন মোমিন বান্দাহদের জন্য আল্লাহপাকের ‘অশেষ অনুগ্রহ’ বিশেষ। ইরশাদ হয়েছে: আল্লাহ তায়ালা মোমিনদের ওপর অবশ্যই অনুগ্রহ করেছেন যে, তিনি তাদের নিজেদের মধ্য থেকে তাদের নিকট একজন রাসুল প্রেরণ করেছেন। (সুরা আল ইমরান : আয়াত নং-১৬৪)। উপরোক্ত আয়াতদ্বয়ের অর্থ ও মর্মের প্রতি গভীর দৃষ্টিতে তাকালে বোঝা যায় যে, রহমত এবং অনুগ্রহ ও নিয়মত দ্বারা পিয়ারা নবী মোহম্মাদ মুস্তফা আহমাদ মুজতাবা (সা:) এর পবিত্র সত্তার কথা সমগ্র মোমিন বান্দাহ ও বিশ্ব ভ্রমান্ডের সকল কিছুকে স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে। যাতে করে তারা সবাই যেন এই ‘রহমত’ অনুগ্রহ এবং নেয়ামতের জন্য আল্লাহ জাল্লা শামুহুর দরবারে শোকর গুজারী করে, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ও অকৃতজ্ঞতার নাগপাশকে ছিন্ন করে দেয়। আল কোরআনে এই দিকনির্দেশনা প্রদানপূর্বক এরশাদ হয়েছে: সুতরাং তোমরা আমাকে স্মরণ কর, আমি তোমাদের স্মরণ করব, তোমরা আমার প্রতি কৃতজ্ঞ হও, অকৃতজ্ঞ হও না। (সুরা বাকারাহ : আয়াত নং-১৫২)। তাই, মোমিন মুসলমান ও সৃষ্টিকুলের সব কিছুর উচিত পিয়ারা নবী মোহম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সা:) এর আগমন সুলভ নেয়ামতের জন্য শোকর গুজারী করা, কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা। কারণ আল্লাহ জাল্লা সানুহু অকৃতজ্ঞদের মোটেই পছন্দ করেন না। সকল শক্তির অধিকারী মহান আল্লাহ জাল্লা সানুহু স্বীয় হাবীবে মুকাররাম মোহাম্মাদ মোস্তাফা আহমাদ মুজতাবা (সা:) এর পবিত্র সত্তার প্রকৃত অধিষ্ঠান সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে পরিজ্ঞাত করার জন্য আল- কোরআনে এরশাদ করেছেন যে, হে প্রিয় রাসুল (সা:) আপনি বলে দিন যে, (সব কিছু) আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জতের দয়া ও মেহেরবানিতে নিষ্পন্ন হয়। সুতরাং এর প্রতি তারা (মোমিনগণ) যেন খুশি উদযাপন করে। কেননা, তারা যা সঞ্চয় করেছে, তা থেকে এটিই হচ্ছে শ্রেষ্ঠতর। (সুরা ইউনুস : আয়াত নং-৫৮)। এই আয়াতে কারিমায় ‘ফজল’ অর্থজ্ঞান এবং রহমত অর্থ পিয়ারা নবী মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সা:)-এর পবিত্র সত্তা। এই আয়াতের মর্ম বিশ্লেষণ করতে গিয়ে আল্লামা তিবরিসী (রহ.): তোমাদের প্রতি মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সা:) কে প্রেরণ করে ও কোরআন অবতীর্ণ করে মহান আল্লাহ তায়ালা তোমাদের ওপর যে দয়া ও করুণা প্রদর্শন করেছেন, তাতে তোমাতেদর খুশি উদযাপন করা উচিত। কেননা, এতদুভয়ের মাধ্যমে নিশ্চয়ই তোমরা চিরস্থায়ী নেয়ামত লাভে ধন্য হবে, যা এই নশ্বর পৃথিবী থেকে তোমাদের জন্য অধিকতর উত্তম ও শ্রেয়। (আল্লামা তিবরিসী : মাজমাউল বয়ান)।
তাই শ্রেয়তর নেয়ামত লাভের প্রত্যাশায় আসুন, আমরা প্রাণভরে দরূদ ও সালাম নিবেদন করি আল্লাহপাকের ফজল, আল্লাহপাকের রহমত, আল্লাহপাকের নেয়ামত, আল্লাহপাকের অনুগ্রহ, সাহেবে লাত্তলাক, হাবীবে কিবরিয়া মোহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ (সা:)-এর প্রতি এবং দরদভরা কণ্ঠে উচ্চারণ করি, আস্ সালাতু আস্ সালামু আলাইকা ইয়া রাসুলুলাল্লাহ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।