পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এই পৃথিবীর মানব গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তম হলেন নবীগণ। আর নবীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলেন রাসূলগণ। রাসূলগণের মধ্যে অধিকতর সর্যাদাসম্পন্ন হলেন উলুল আযম রাসূলগণ। উলুল আযম রাসূল হলেন হযরত নূহ (আ:), হযরত ইব্রাহীম (আ:), হযরত মূসা (আ:), হযরত ঈসা (আ:) এবং খাতামুন নাবিয়ীন হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা আহমাদ মুজতাবা (সা:)। এতদ প্রসঙ্গে আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত আল-কুরআনে ঘোষণা করেছেন (ক) আমি কতিপয় নবীকে (আ:), অন্য কতিপয় নবীর ওপর মর্যাদা দান করেছি। (সূরা আল ইসরা : আয়াত ৫৫১) (খ) ইরশাদ হয়েছে : ধৈর্য ধারণ করুন, যেমনÑ উলুল আযম নবীগণ ধৈর্য ধারণ করেছেন। তাদের ব্যাপারে তাড়াহুড়া করেন না। (সূরা আল-আহকাফ : আয়াত-৩৫ । (গ) দীর্ঘ একটি হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন : হে নূহ (আ:)! আপনি হলেন এই দুনিয়াতে সর্বপ্রথম রাসূল। (সহীহ মুসলিম: ১/১১১) (ঘ) সর্বপ্রথম নবী হযরত আদম (আ:) এবং সর্বশেষ নবী হযরত মোহাম্মদ মুস্তফা (সা:)। হযরত আদম (আ:)-এর নবুওয়্যাতের সপক্ষে আল- কুরআনে ঐ সকল আয়াত উপস্থাপন করা যায় যেখানে তার প্রতি আদেশ- নিষেধ রয়েছে। আল্লাহপাক ইরশাদ করেছেন : হে আদম! তুমি ও তোমার স্ত্রী জান্নাতে অবস্থান করো। নিঃসঙ্কোচে যা ইচ্ছা তাই ভক্ষণ করো, তবে এ বৃক্ষটার নিকটবর্তী হয়ো না। (সূরা আল বাকারাহ: আয়াত-৩৫)। তাছাড়া উম্মতে মোহাম্মদীর ঐকমত্যে এ কথা নিশ্চিত প্রমাণিত যে, হযরত আদম (আ:)-এর কালে আর কোনো নবী ছিলেন না। (নিবরাস : পৃষ্ঠা ২৭৪) (ঙ) উলুল আযম রাসূল কারা বা উলুল আযম রাসূল কাকে বলে এ ব্যাপারে একাধিক উক্তি দেখা যায়। তন্মধ্যে সর্বোত্তম উক্তি হলো আল্লামা বাগাভী (রহ:)-এর। তিনি হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) এবং হযরত কাতাদাহ (রা:) হতে বর্ণনা করেছেন যে উলুল আযম রাসূল হলেনÑ হযরত নূহ (আ:), হযরত ইব্রাহীম (আ:), হযরত মূসা (আ:), হযরত ঈসা (আ:) এবং বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা (সা:)। আল-কুরআনের সূরা আল আহযাবের ৭ নম্বর আয়াতে যাদের নাম উল্লেখ আছে। (আকীদায়ে তাহাভিয়্যাহ মায়াশ, শহরহ: পৃষ্ঠা-৩১১-৩১২)।
মহান রাব্বুল আলামীন প্রত্যেক জাতি ও অঞ্চলে নবী-রাসূল প্রেরণ করেছেন। কোনো জাতি বা দেশ এমন নেই যেখানে কোনো নবী বা রাসূল প্রেরিত হননি। এতদপ্রসঙ্গে আল্লাহপাক ইরশাদ করেছেন: (ক) আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্যে রাসূল প্রেরণ করেছি (তারা আমার নির্দেশমতো উম্মতদের বলেছেন) তোমরা আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করো। আর তোমরা তাগুত বা শয়তান হতে দূরে থাক। তাদের মধ্যে কিছু লোকের ওপর পথভ্রষ্টতা স্থায়ী হয়েছে (অর্থাৎ পথভ্রষ্টতার মধ্যে ডুবে রয়েছে)। অতঃপর তোমরা লক্ষ করো মিথ্যা আরোপকারীদের পরিণাম কি হয়েছিল। (সূরা আল নাহল : আয়াত-৩৬)। (খ) ইরশাদ হয়েছে : এমন কোনো উম্মত নেই, যাদের মধ্যে সতর্ককারী বা ভীতি প্রদর্শনকারী অতিবাহিত হয়নি। (সূরা-আল ফাতির: আয়াত-২৪১)। আল্লাহপাক আম্বিয়ায়ে কেরামের উছিলায় আমাদের ক্ষমা করুন আমীন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।