মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রতিশ্রæতি দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নিয়েছেন সদ্যনির্বাচিত উদারপন্থি মুন জায়ে-ইন। গত বুধবার রাজধানী সিউলের পার্লামেন্ট ভবনের রোটান্ডা হলে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দেশের ১৯ তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে মুন শপথ গ্রহণ করেন। ব্যাপক দুর্নীতি কেলেঙ্কারির মুখে সাবেক প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের পর অনুষ্ঠিত আগাম নির্বাচনে জিতে মুনের এ দায়িত্ব গ্রহণের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় নেতৃত্বে শূণ্যতা পূরণ হল। দেশে ঐক্য প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি উত্তর কোরিয়া সফর করা এবং চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও বিতর্কিত ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন নতুন প্রেসিডেন্ট মুন। পদত্যাগে বাধ্য হওয়া সাবেক প্রেসিডেন্ট পার্ক জেয়ুন হাই এর নীতির বিপরীতে মুন জায়ে-ইন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে চান। ক্ষমতায় থাকাকালে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে প্রায় সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন পার্ক। মুন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ালে বর্তমান দক্ষিণ কোরীয় নীতির পরিবর্তন ঘটবে। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বিরাজমান তীব্র উত্তেজনা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যেই দক্ষিণ কোরিয়ায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বৃহত্তর সংলাপের পক্ষে কথা বলার পাশাপাশি দেশটির ওপর চাপ প্রয়োগ করে যাওয়া এবং নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার কথাও বলেছেন। উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচি বন্ধে ব্যর্থতার জন্য আগের দুটো রক্ষণশীল প্রশাসনের সমালোচনাও করেছেন তিনি। ওদিকে, উত্তর কোরিয়া এর আগে মুনকে তাদের পছন্দের প্রার্থী বললেও তার জয়ে এখন পর্যন্ত কোনও সরকারি প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্র নতুন প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানিয়েছে। বিবিসি জানায়, ভোটের চূড়ান্ত ফলে মুন পেয়েছেন ৪১ দশমিক ১ ভোট এবং তার প্রতিপক্ষ পেয়েছেন ২৫ দশমিক ৫ ভোট। কোরিয়া উপদ্বীপে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে মুনের নেতৃত্বের ওপর নজর থাকবে সবারই। যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে স¤প্রতি বাকযুদ্ধ হয়েছে। পিয়ংইয়ংও কোনওকিছুর তোয়াক্কা না করে বারবার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র নতুন প্রেসিডেন্টের আমলে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করার আশায় আছে। ওদিকে, কোরিয়া উপদ্বীপে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আরও অবদানের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন নেতৃত্বের দিকে চেয়ে আছে জাপান ও চীন। বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।