নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা : গত বছরে প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে ম্যাচে আম্পায়ারের সঙ্গে অশোভন আচরণের দায়ে ১ ম্যাচের বহিষ্কারাদেশে লীগের প্রথম ম্যাচ খেলতে পারেননি তামীম, সেই ম্যাচেই তামীমের শূন্যতা টের পেয়েছে মোহামেডান। তামীমহীন সেই ম্যাচে গাজী গ্রুপের কাছে ৬ উইকেটে হেরে গেছে মোহামেডান। দ্বিতীয় ম্যাচে তামীমের প্রত্যাবর্তনটা হয়েছে দারুণ। তার প্রত্যাবর্তনেই বদলে গেছে মোহামেডান। বিকেএসপি ফোর এ তামীম ঝড়ে (১২৫ বলে ১৮ চার ৭ ছক্কায় ১৫৭) জয়ে ফিরেছে মোহামেডান। কলাবাগান ক্রীড়া চক্রকে হারিয়েছে মোহামেডান ২৪ রানে।
প্রিমিয়ার ডিভিশনে গত বছর নিজের সর্বশেষ ম্যাচে করেছিলেন সেঞ্চুরি, প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে ১৪৭ রানের সেই ইনিংস থেকে টনিক নিয়ে প্রিমিয়ার ডিভিশনে নিজের পরবর্তী ইনিংসকে করেছেন আরো বড় (১৪৭)! ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে পাকিস্তানি রিজওয়ান ওমর, জিয়াউর রহমানের আছে ডাবল সেঞ্চুরি। তবে লিস্ট ‘এ’ মর্যাদা না থাকায় ১৯৯৯-২০০০ এবং ২০০০-২০০১ মৌশুমে ওই দু’টি ডাবল থাকছেন না রেকডর্সে। ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের মালিক (জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০০৯ সালে বুলাওয়েতে ১৫৪) গতকাল লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটেও বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ইনিংসের মালিকানা পেয়েছেন। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে সর্বোচ্চ ইনিংসের মালিকানাও পেয়ে গেছেন গতকাল। তবে এককভাবে নয়, ২০১৩-১৪ ক্রিকেট মৌশুমে প্রাইম ব্যাংকের ইংলিশ ক্রিকেটার রবি বোপারার ১৫৭ রানের ইনিংসকে শ্রদ্ধা করে একই স্কোরে থেমেছেন তামীম।
বিকেএসপি ফোর এ এদিন তামীমের শুরুটা ছিল সাবধানী। প্রথম রানের জন্য অপেক্ষা তার তিনটি বল, কলাবাগান অফ স্পিনার সনজিতকে সিঙ্গলে শুরু করে ওপেনিং পার্টনার সামছুর রহমান শুভকে করেছেন উদ্বুদ্ধ। ওপেনিং পার্টনারশিপের ৭৩ এ সামছুর রহমান শুভ’র রান যেখানে ৩৮, সেখানে তামীমের ৩২। ফিফটি পূর্ণ করতে খেলেছেন ৬১টি বল। দ্বিতীয় ফিফটিতে লেগেছে তার ৪১টি বল। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ১৪তম সেঞ্চুরির দিনে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে ৭ হাজারি ক্লাবের সদস্য পদ পাওয়া তামীম শেষ ২৩ বলে ব্যাটকে তলোয়ার বানিয়েছেন, করেছেন ৫৭ রান। মিরাজের সাথে ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৪৭ বলে ৭৭ রানে তামীমের অবদান ৪৭। বিকেএসপিতে ছক্কাবৃষ্টির (৭ ছক্কা) মহড়ায় তামীম আশরাফুলের উপর একটু বেশিই আক্রমণাত্মক ছিলেন। ৭টি ছক্কার ৩টিই মেরেছেন তিনি আশরাফুলকে, যার মধ্যে পর পর ২ বলে ছক্কাও আছে তার। তার বিশাল একটি ছক্কায় ভেঙেছে চ্যানেল টুয়েন্টি ফোর এর গাড়ীর গøাস! সনজিতকে এক্সটা কভারের উপর দিয়ে খেলতে যেয়ে ক্যাচে তামীম থেমেছেন ১৫৭ তে, তখনো হাতে ছিল ৪৫টি বল। তবে প্রচন্ড গরমে পায়ে টান পড়ায় ইনিংসটিকে ডাবল সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারেননি এই বাঁ-হাতি ওপেনার।
তামীমে ভর করে ৩০৭/৯ স্কোর নিয়েও সহজে জিততে পারেনি মোহামেডান। আশরাফুলের ছন্দে ফেরা ৪৬’র পাশে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৯২ রানে মোহামেডানের সঙ্গে লড়াইটি জমিয়ে তুলেছিলেন দুই ইনফর্ম ব্যাটসম্যান তুষার ইমরান (৬৪), মাসাদাকজা (৬৮)। যতক্ষণ উইকেটে ছিলেন মাসাকাদজা, ততক্ষণ ছিল ভরসা কলাবাগানের। তবে রান আউটে কাটা পড়ে মাসাকাদজা বিদায় নিলে শেষ ৪৫ বলে ৭৯ রান অসম্ভব হয়ে পড়ে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের। রাব্বী (৩/৬৯)ও মিরাজের (২/৫৬) বোলিংয়ে ২৮৩ তে থেমে যায় দলটি। মোহামেডানের কাছে হারের সঙ্গে মাঠে বসে ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল করিম টেংকুর মৃত্যুশোকÑ কলাবাগান ক্রীড়া চক্রকে করেছে শোকাহত। টানা ২ ম্যাচ হেরে দলটি পড়েছে বিপত্তিতে।
মোহামেডান-কলাবাগান
মোহামেডান : ৩০৭/৯ (৫০.০ ওভার), তামীম ১৫৭, সামছুর রহমান শুভ ৩৮, রনি ২০, মিরাজ ২১, কামরুল ইসলাম রাব্বী ২২, সনজিত সাহা ৪/৫২, নাবিল সামাদ ২/৪৪, মোক্তার আলী ২/৩০, আবুল হাসান রাজু ১/৫১।
কলাবাগান : ২৮৩/৯ (৫০.০ ওভার), আশরাফুল ৪৬, মাসাদাকজা ৬৮, তুষার ইমরান ৬৪, মোক্তার আলী ৩৮*, কামরুল ইসলাম রাব্বী ৩/৬৯, শুভাশিষ ১/৪০, সাজেদুল ১/৪২, রহমাত শাহ ১/৩৬, মিরাজ ২/৫৬।
ফল : মোহামেডান ২৪ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : তামীম ইকবাল (মোহামেডান)।
****************
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।