নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা : কি দারুণ একটি আসরই না কেটেছে তামীমের। বিপিএলে এই প্রথম এক আসরে ছয় ছয়টি ফিফটি, মুশফিকুরের ৪৪০ ছাড়িয়ে এক আসরে বাংলাদেশী ব্যাটস্যামনদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪৭৬ রান! আর মাত্র ১১টি রান করতে পারলেই ছাড়িয়ে যেতেন ২০১২ সালে বিপিএলের অভিষেক আসরে বরিশাল বার্নার্সের পাকিস্তান টপ অর্ডার আহমেদ শেহজাদের ৪৮৬ রানকে। চলমান আসরে এসে বিপিএলে মুশফিক, মাহামুদুল্লাহ’র পর পূর্ণ করেছেন হাজার রান। তবে গেইল, ডুয়াইন স্মিথ, শোয়েব মালিক, মোহাম্মদ নবীদের দলে ভিড়িয়ে আসরে অন্যতম ফেভারিট স্টিকার লাগিয়েও কোয়ালিফাইয়ারে খেলার আগেই যে নিতে হলো তামীমের চিটাগাং ভাইকিংসকে বিদায়। এলিমিনেটরে রাজশাহী কিংসের হাছে হেরে আসর থেকে বিদায় নেয়ায় তাই তামীমের চোখে-মুখে বিষন্নতার ছাপ। কেঁদেই ফেলেছেন চিটাগাং ভাইকিংস অধিনায়ক।
নিজের পারফর্ম করেও পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারছেন না তামীমÑ ‘ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে আমি হ্যাপি। টুর্নামেন্টে যেভাবে খেলেছি, যে ধরনের ব্যাটিং করেছি তা নিয়ে খুশি। তবে দিন শেষে আমার রান যদি দলকে জেতাতে সাহায্য না করে এটার কোনো মূল্য নেই। যদি আরো ১০ ভাগ বেশি ভালো করতাম, আজ (গতকাল) আমি আরো একটু ভালো খেললে হয়তো ১০ রান বেশি হতো।’
ঘুরে ফিরে তামীম দলে পারফরমার হিসেবে পেয়েছেন যাদের, তারা সবাই বিদেশি। কখনো মোহাম্মদ নবী, কখনোবা শোয়েব মালিক। স্থানীয় ক্রিকেটারদের পারফরমেন্সে হতাশ তামীমÑ ‘স্থানীয় খেলোয়াড়রা যদি আরেকটু সাপোর্ট করত তাহলে আমরা আরেকটু ভালো পজিশনে থাকতাম। ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা- ওদের স্থানীয় খেলোয়াড়রা অনেক সাপোর্ট করছে। সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেও দুর্ভাগ্যক্রমে হয়নি।’ কাউকে ব্যক্তিগতভাবে অভিযুক্ত করছেন না, ফাইনালে স্কোরশিটে ২০ রান কম হয়েছে, এখানেই আক্ষেপ তারÑ ‘এখন টুর্নামেন্ট শেষ। তাই কাউকে কোনো দোষ দিয়ে তো লাভ নেই। যেভাবে আমরা কামব্যাক করেছি, খেলোয়াড়দের নিয়ে আমি অনেক গর্বিত। ব্যাটিংয়ে ২০ রান কম করেছি, বোলিংয়েও কিছু ভুল হয়েছে। দিন শেষে এটাই বলব যে, খেলোয়াড়দের নিয়ে আমি গর্বিত। গ্রæপ হিসেবে আমরা হয়তো ব্যাটিং আর একটু ভালো করতে পারতাম। বোলিয়েও ভালো করতে পারতাম।’ ইনফর্ম ইমরান খান জুনিয়রকে একাদশের বাইরে রাখার মূল্য দিতে হয়েছে বলেও মনে করছেন তামীমÑ ‘মনে হয় আমরা ভুল করেছি। ওকে খেলাতে পারতাম। তবে এটা টিমের সিদ্ধান্ত।’
গেইলের সঙ্গে ওপেন করতে ছিলেন মুখিয়ে। সেই গেইলকে ৫ ম্যাচে ব্যাটিং পার্টনার হিসেবে পেয়েছে। বিপিএলের এই আসরে গেইল নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি। ৫ ম্যাচে রানের সমষ্টি সর্বসাকুল্যে ১০৯। তারপরও টুয়েন্টি-২০’র সেনসেশনকে কাছে পেয়ে দারুণ খুশি তামীমÑ ‘গেইলের সঙ্গে ব্যাটিং, ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা। যে বলগুলো সাধারণত: পৃথিবীর যে কোনো ব্যাটসম্যানরা এক বা দুই নেয়, সেসব বলে ও ছয় মেরে দেয়। আমার জন্য একটু দুর্ভাগ্য হয়তো আমি তাকে বেশি দেখতে পারিনি। তবে যতটুকু দেখছি তা ছিল দুর্দান্ত। ওর আচরণে আমি খুশি। মন প্রাণ দিয়ে চেষ্টা করেছে সে। সব ধরনের সাহায্য করার চেষ্টা করেছে। আমরা যতোটা আশা করেছি, তা হয়তো সে পূরণ করতে পারেনি। ১১ জনের আরো ১০ জন ছিল, ওরাও ভালো করতে পারত।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।