নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা : টেস্ট অভিষেক তামীমের নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। ওয়ানডে,টি-২০ থেকে টেস্টে নামিয়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের তৎকালীন কোচ জেমি সিডন্স, ইতিবাচক ব্যাটিং মানসিকতা এবং আক্রমণাত্মক মেজাজের কারণেই নিয়েছিলেন ঝুঁকি। ২০০৮ সালে ডানেডিনে টেস্ট অভিষেকে ৫৩ এবং ৮৪ রানের ইনিংসে সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জানান দেয়া তামীমের অন্যতম প্রিয় প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। ৮ ম্যাচে ৬ ফিফটি, যার মধ্যে তিনটি আবার উপর্যুপরি! ২০১৩ সালে ঢাকা টেস্টে ৯৫ এবং ৭০, ওয়েলিংটনে ফিরতি সাক্ষাতে ৫৬! ৮ ম্যাচে ৫৯২ রানে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে রান সংগ্রহে সবার উপরে তামীম। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে খেলেছেন ৫০ বলে ৫৬ রানের ইনিংস, যে ইনিংসে ১০টি বাউন্ডারি ছড়িয়েছে সুবাস। দলের স্কোর যখন ৬০, তখন তার ৫৬! কতোটা আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন, তা প্রমাণে এই চিত্রই যথেষ্ট। সবুজ ঘাসের উইকেট দেখেও ভড়কে যাননি। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে করেছেন মনোনিবেশÑ ‘ম্যাচের প্রথম বলটির আগে অনেক প্রশ্ন ছিল। তবে মুমিনুলের মতো কেউ আসার পর যখন আমরা রান করেছি এবং নিজেদেরকে বাঁচিয়ে রাখছি, তখন মনে হয়েছে সবই সম্ভব। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ঠিক করেছিলাম, খারাপ বল যেনো ছেড়ে না দেই। স্কোরিং বলের সুযোগ পেলে মিস করা যাবে না। বাউন্ডারির বলগুলো আমি যদি বাউন্ডারিতে হিট করতে পারি তাহলে কাজটা আমার জন্যে সহজ হয়ে যাবে। আমি ভাবছিলাম আমার কাজটা করতে পারলে স্কোর বোর্ড ঠিক হবে। আমার নিজেরও আত্মবিশ্বাস বাড়বে। ড্রেসিং রুমের পরিবেশটা অন্যরকম হবে।’
কিউই পেসারদের সঙ্গেই শুধু নয়, লড়তে হয়েছে তীব্র বাতাসের সঙ্গেও। এমন নুতন অভিজ্ঞতা অর্জনের কথাও শুনিয়েছেনÑ ‘এতো বাতাসের মধ্যে আমরা কখনও খেলিনি। বাতাসে বেশ ক’বার স্ট্যাম্পের উপর থেকে বেলস পর্যন্ত পড়ে গেছে। মনে হচ্ছিল কেউ যেন পেছন থেকে টেনে ধরছে। প্রথম দিন শেষে বলতে পারি এতো বাতাসের মধ্যে খেলেও প্রথম দিন আমরা অনেক ভালো খেলেছি।’ তবে দারুণ একটি দিনে নিজের ব্যাটিংয়ে সন্তুষ্ট এবং মুমিনুলের ব্যাটিংয়ে আশ্বস্ত হলেও প্রথম দিনের অন্তিম সময়ে মাহামুদুল্লাহ’র ফিরে যাওয়ায় দিনটিতে পুরোপুরি তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে পারছেন না তামীমÑ ‘আসলে এমন একটি ইনিংস হলে খুব স্বাভাবিক যে কারোর মধ্যে একটা আত্মবিশ্বাস এসে যায়।’ প্রথম দিন আমরা খুব ভালো খেলেছি। রিয়াদ ভাই যদি শেষ পর্যন্ত থাকতে পারতেন, তাহলে দারুন একটি দিন হতো। তার পরও যা হয়েছে, তাতেও আমরা খুশি। কারণ মেঘলা আকাশ, সবুজ উইকেটের কথা ভাবলে দিনটা ভালো গেছে। কারণ, ইতিহাস বলে এখানে প্রথম ইনিংস খুবই কঠিন। সেরা দলগুলো পর্যন্ত এখানে (ওয়েলিংটনে) প্রথম ইনিংসে বড় স্কোর করতে পারেনি। সেদিক থেকে আমরা ওদের খুব ভালোভাবে সামাল দিয়েছি।’
তামীমের মতো মুমিনুলের ও প্রিয় প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে যে ছেলেটি প্রথম ম্যাচে উদযাপন করেছেন অভিষেক সেঞ্চুুির,নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে উপর্যুপরি ২ সেঞ্চুরিকে এখন তৃতীয় সেঞ্চুরিতে রূপ দেয়ার প্রতীক্ষায় মুমিনুল। সেই মুমিনুলকে হাততালি না দিয়ে কি উপায় আছে তামীমের? ‘গত দুই বছর ধরেই মুমিনুল আমাদের জন্য দারুণ করছে। ওর কাজটা কঠিন। কারণ স্রেফ একটা ফরমেটের ম্যাচে ও খেলে। ছয় মাস, এক- দেড় বছর অপেক্ষা করতে হয় টেস্ট ম্যাচের জন্য।এবার শুরু থেকেই ও দলের সঙ্গে ছিল, এটা ওকে সাহায্য করেছে। সীমিত ওভারে না খেললেও ট্রেনিং করেছে। মুমিনুল এমন একজন ব্যাটসম্যান, যে নিজের কমফোর্ট জোন থেকে খুব বেশি বাইরে আসে না। সে জানে সে কি করছে এবং কি করার সামর্থ্য আছে। এটাই ওকে ভালো ক্রিকেটার করে তুলেছে।’
দ্বিতীয় দিনের প্রথম ঘন্টাকে ক্রুশিয়াল মনে করছেন তামীমÑ ‘কাল (আজ) প্রথম ঘণ্টা গুরুত্বপূর্ণ। যেভাবে আমরা ব্যাট করছি, তাতে মুমিনুল যদি বড় ইনিংস খেলতে পারে, ইনিংস ক্যারি করে, তাহলে আর একটি দারুণ দিন হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।