নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : টি-টোয়েন্টির ভাগ্য নির্ধারক হিসেবে ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিংয়ের কথা মনে এলেও খুলনার প্রতিটা জয়ের পিছনেই বোলারদের অবদানই বেশি। গতকাল অবশ্য ভাগ্য তাদের পক্ষে ছিল না। তবে ১৩১ রানের পুজি নিয়েও চট্টগ্রাম ভাইকিংসের বিপক্ষে লড়াই করেই হেরেছে মাহমুদুল্লাহ’র দল। তামীমের অপরাজিত ৬৬ রানে ভর করে চট্টগ্রাম জিতেছে ৫ উইকেটে। এই জয়ে খুলনাকে টপকে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে উঠে এসেছে চট্টগ্রাম।
হারের জন্য ফিল্ডারদের দ্বায়ী করতে পারেন খুলনার বোলাররা। মিরপুরে বা টিভিতে গতকাল যারা ম্যাচ দেখেছেন তাদের চোখে স্পষ্ট ধরা পড়ার কথা ফিল্ডিংয়ে খুলনার উদাসিনতার বিষয়টা। ক্যাচ ধরায় পারদর্শীতার পরিচয় দিলে ও বাউন্ডারি ফিল্ডাররা আরেকটু তৎপর হলে ম্যাচের ভাগ্য ভিন্ন হলেও হতে পারত।
৪ ওভারে তামীম-গেইলের ৩৯ রানের উদ্বোধণী জুটির পর ধ্বস এসেছিল চট্টগ্রাম শিবিরেও। ১১ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ১৯ রান করে ভয়ঙ্কর গেইল ফেরার পর ১১ ওভার শেষে স্কোর দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ৬৪। এর মধ্যে দুই জনই ফেরেন রান আউটে কাটা পড়ে। বাকি কাজটা জহুরুল ইসলাম ও মোহাম্মাদ নবিকে নিয়ে ঠান্ডা মাথায় সারেন তামীম। চট্টগ্রাম অধিনায়ক অপরাজিত থাকেন ৬৬ রানে। তার ৫৯ বলের ইনিংসে ছিল ৮চি চার ও ১টি ছক্কার মার। ৮ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ১৭ রান করেন নবি।
ওদিকে টপ অর্ডারদের নিয়ে ব্যাটিং দুর্ভাবনা কাটল না খুলনা টাইটান্সের। ব্যাটিং অর্ডারে একের পর এক পরিবর্তন এনেও এর কোন সুরহা হল না। আবারো প্রথম ওভারে ভেঙেছে উদ্বোধনী জুটি, এ নিয়ে চারবার। চট্টগ্রাম টাইটান্সের বিপক্ষে কালও তারা পাওয়ার প্লেতে হারায় ৪ উইকেট। বিপর্যস্থ ইনিংসটা দেখার মত রুপ দেয় সেই এক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ব্যাট। ৩৯ বলে তার ৪২ রানের কল্যানেই ১৩১ রানের লড়াই করার মত পুঁজি পায় খুলনা। বাকি ব্যাটসম্যানের মর্ধে কেবল রিকি হুইসেল বিশোর্ধো ইনিংস খেলতে পেরেছেন।
টস জিতে ব্যাট বেছে নেয়া খুলনা ১৩ রানেই হারায় ৩ উইকেট। পাওয়ার প্লে শেষ না হতেই ফেরেন মাহমুল্লাহর সাথে লড়াই চালিয়ে যাওয়া হুইসেল। এরপর আরিফুল হক, নিকোলাস পরান ও কেভিন কুপার কিছু সময় করে ক্রিজে থাকলেও ব্যাটকে নিজেদের সুরে কথা বলাতে পারেননি। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩১ রানেই থেমে যায় খুলনার ইনিংস। চট্টগ্রামের ৫ বোলারের সবাই-ই উইকেট পান নুন্যতম একটি করে। দুটি করে নেন ইমরান খান ও তাসকিন আহমেদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।