Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিরোপা স্বপ্ন শেষ বার্সার?

| প্রকাশের সময় : ১০ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : আগের ম্যাচে বার্নাব্যুতে অনুষ্ঠেয় মাদ্রিদ ডার্বির ফল (১-১) বার্সেলোনার সামনে সুযোগ এনে দিয়েছিল মালাগাকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ওঠার। কিন্তু তা তো হলই না, উল্টো মালাগার কাছে ২-০ গোলে হেরে গেছে বার্সা। ফলে লা লিগার শিরোপা স্বপ্ন আরো ধূসর হয়ে গেল মেসি-নেইমারদের জন্য। তছাড়া আগামীকালই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জুভেন্টাসের বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। এর আগেই এমন ধাক্কা।
কাতালান সমর্থকদের জন্যে দুঃসংবাদ আছে আরো। বার্সার জার্সিতে এদিন প্রথমবারের মতো লালকার্ড দেখেন নেইমার। প্রথমার্ধে দেখেন হলুদ কার্ড। ৬৫তম মিনিটের কার্ডটি সরাসরি লাল হলে টানা দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হতেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। সেক্ষেত্রে আগামী ২৩ এপ্রিল এল ক্ল্যাসিকোতে পাওয়া যেত না বার্সার আক্রমণ ত্রিফলার অন্যতম এই সদস্যকে।
রেফারি অবশ্য নিশ্চিত করেছে ওটা সরাসরি লাল কার্ড ছিল না। কিন্তু তার পরও সংশয় কাটছে না কাতালান সমর্থকদের। কারণ, কার্ড দেখার পর নেইমারের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া। মাঠ থেকে বের হওয়ার সময়ও চতুর্থ রেফারির দিকে তাকিয়ে দেন হাততালি। কিছু স্প্যানিশ পত্রিকা লিখেছে রেফারির উদ্দেশে ব্যঙ্গ করেছেন নেইমার। আর তা সত্যি হলে শৃঙ্খলাবিধির ১১৭ ধারায় আরো এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হতে পারেন নেইমার। সেক্ষেত্রে পরের ম্যাচে রিয়াল সোসিয়াদাদের বিপক্ষে তো বটেই, বার্নাব্যুতে অনুষ্ঠেয় এল ক্ল্যাসিকোয়ও তাকে থাকতে হবে দর্শকের সারিতে।
ম্যাচে রেফারিং নিয়ে এমনিতেই ইদানিং ক্ষুব্ধ বার্সেলোনা। ম্যাচ পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় এর আগেও তা বুঝিয়েছেন দলের অনেকে। কিন্তু সামনে মহাগুরুত্বপূর্ণ সব ম্যাচ থাকায় এবার সংযত হয়েই কথা বললেন কোচ লুইস এনরিকে, ‘আমি মনে করি, কেন একজন হলুদ কার্ড পাবে এর সঠিক ব্যাখ্যা দেয়াটা খুবই জরুরি।’ এনরিকে বলেন, ‘কিছু ম্যাচে আমাদের সতর্ক হতে হবে। কারণ, পেছন থেকে আমাদের শক্ত ট্যাকল দেয়া হয়েছে। কিন্তু তার বিপরীতে কোনো হলুদ কার্ড দেয়া হয়নি। যেগুলো ছিল নিশ্চিত কার্ড পাওয়ার যোগ্য। অথচ জুতোর ফিতে বাঁধতে গিয়ে আপনি হলুদ কার্ড পাচ্ছেন।’
বার্সার সাথে রেফারির এই অনিয়ম নতুন নয় উল্লেখ করে এনরিকে বলেন, ‘এটা খুবই অস্বাভাকিব বিষয় যে, একটা দল গায়ের জোরে ফুটবল না খেলেও অবিশ্বাস্য সব হলুদ কার্ড পেল। অথচ প্রতিপক্ষ অসংখ্য ফাউল করেও কোনো হলুদ কার্ড পেল না। এটা অদ্ভুত কিন্তু আমরা এর সাথে অভ্যস্ত।’
অধিনায়ক আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা অবশ্য সমালোচনার পথে না হেঁটে হারের দ্বায় ঘাড়ে চাপিয় নিলেন, ‘আসল লজ্জাটা হল, লা লিগা জয়ে আমরা নিজেদের আরো ভালো অবস্থানে নিতে ব্যর্থ হয়েছি। আশা করি আর এমনটি হবে না। তবে এটা অনেক কঠিন।’
প্রথমার্ধে বার্সারই সাবেক খেলোয়াড় অ্যালেক্স সান্দ্রোর গোলে পিছিয়ে পড়ে এনরিকের দল। পরে ম্যাচে ফেরা তাদের জন্য কঠিন হয়ে যায় নেইমারের লাল কার্ডে। সুয়ারেজও মালাগার সামনে এলে কেমন যেন ছন্দ হারিয়ে ফেলেন। লা লিগার একমাত্র দল হিসেবে মালাগার বিপক্ষে চার চারটি ম্যাচ খেলেও তাদের জালে একবারও বল পাঠাতে পারেননি উরুগুয়ান স্ট্রাইকার। এদিনও প্রথমার্ধে গোলরক্ষকে একা পেয়েও ব্যর্থ। দুর্দান্ত ড্রিবলিংয়ে তিনজনকে কাটিয়ে অধিনায়কের পাসটিও দেরি করে ফেলায় গোলে পরিণত করতে পারেননি আন্দ্রে গোমেস। শেষ দিকে আরো একবার সুযোগ পান সুয়ারেজ। কিন্তু সেবারও তাকে রুখে দেন মালাগা গোলরক্ষক কার্লোস কামেনি। পরের মিনিটেই পাল্টা আক্রমণে স্বাগতিকদের জয় নিশ্চিত করেন রড্রিগুয়েজ মেনেনদেজ। ন্যু ক্যাম্পে প্রথম লেগেও মালাগার জালে বল পাঠাতে ব্যর্থ হন মেসিরা। সেবার গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। আর এবার তো হেরেই গেল। তাতে লিগের শিরোপা আর নিজেদের হাতে রইল না। রিয়াল যদি ভুল না করে তাহলে মেসিদের শিরোপা স্বপ্ন না দেখাই ভালো।
এক ম্যাচ কম খেলে বার্সার চেয়ে তিন পয়েন্টে এগিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ। সেই হিসেবে হাতে থাকা ম্যাচটি জয় ধরলে ৬ পয়েন্টে এগিয়ে জিনেদিন জিদানের দল। তাদের হাতে আছে আর আট ম্যাচ। সেই ২০১২ সালের পর প্রথমবারের মতো লিগ শিরোপা জয়ের পথে তাই অনেকটাই এগিয়ে গেল লস বø্যাঙ্কোসরা। এবার শিরোপা জিতলে সেটা হবে রোনালদোর জন্য দ্বিতীয় লা লিগা শিরোপা। ২০০৯ সালে বার্নাব্যুতে যোগ দেয়ার পর মাত্র একবারই লিগ শিরোপায় চুমু খাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন পর্তুগিজ তারকা। বাকি সাত বারের ছয়বারই গেছে মেসিদের দখলে, একবার গেছে অ্যাটলেটিকোয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শিরোপা

১৬ অক্টোবর, ২০২২
১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ