নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপার স্বাদ কেমন? তা এখনো জানেন না কার্লোস আলকারেজ। গ্র্যান্ড স্ল্যামের অভিজাত ক্লাবে নাম লেখাতে প্রাণপণে ছুটে চলছেন ১৯ বছর বয়সী এই তারকা। পরশুরাতে যুক্তরাষ্টের আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে এই স্প্যানিশ উঠতি তারকা কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াইয়ে ইতালির জেনিক সিনারের বিপক্ষে খেললেন ৫ ঘন্টা ১৫ মিনিটের এক থ্রিলার। যে মহাকাব্যিক ম্যাচে আলকারেজ ৩-৬, ৭-৬(৭), ৭-৬(০), ৫-৭, ৩-৬ ব্যবধানে জিতলেন। পাশাপাশি এই ম্যাচ পেল ঘড়ির হিসেবে ইউএস ওপেনের সবচেয়ে দেরীতে শেষ হওয়া ম্যাচের মর্যাদা। এই টানটান উত্তেজনার ম্যাচটি শুরু হয়েছিল নিউ ইউর্কের স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে আর যখন শেষ হলো ঘড়িতে তখন রাত ৩টা বাজার ১০ মিনিট বাকি। এর আগে এই আসরে একই সময়ে শুরু হওয়া ম্যাচ সর্বোচ্চ রাত ২টা ২৬ মিনিট পর্যন্ত গড়িয়েছিল, ১৯৯৩, ২০১২ ও ২০১৪ সালে। আসরের পরবর্তী ম্যাচ দুটি জিতলে আলকারেজ ছুবেন প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা, সঙ্গে বসবেন র্যাঙ্কিংয়ের চূড়ায়। তবে সিনারকে হারানোর পর এই স্প্যানিশের যেন বিশ্বাসই হচ্ছে না তিন কি গড়লেন, ‘ সত্য কথা বললে আমি এখনো বুঝতা পারছি না কিভাবে এটা সাধন করলাম। যে ধরণের কোয়ালেটি ম্যাচ খেলেছি তা সত্যিই অবিশ্বাস্য।’ ম্যাচ শেষে আলকারেজ একটা টুইতে সিনারকে উদ্দেশ্য করে লিখেন, ‘তুমি টানা ভালো খেলে চাপে রেখেছিলে আমাকে। বাধ্য করেছিলে আমাকে আরও উন্নত কৌশল অবলম্বনে। আশাকরি ভবিষ্যতে এইধরনের আরও অনেক দ্বৈরতেই আমরা থাকবো।’ এই ম্যাচে ডাবল ফল্ট ভুগিয়েছে সিনারকে। এই ইতালিয়ান ম্যাচে ১১বার এই ভুল করেছেন। অন্যদিকে সেকেন্ড সার্বে যেখানে ৬৫ শতাংশ পয়েন্ট তুলেছেন আলকারেজ সেখানে ইতালিয়ান সিনারের পয়েন্ট মাত্র ৫১ শতাংশ। আজ রাত ১টায় স্বাগতিক খেলোয়াড় ফ্রান্সিস টিয়াফোর বিপক্ষে ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে কোর্টে নামবেন আলকারেজ।
এদিকে নারীদের এককে শীর্ষ্য বাছাই ইগা শোয়ানটেক দাপটের সঙ্গে পার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জেসিকা পেগুলার বাঁধা। আর্থার বয়াশ স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম খেলায় মুখোমুখি হয়েছিলেন এই দুইজন। দ্বিতীয় সেটে কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েলেও শেষ পর্যন্ত সরাসরি ৬-৩, ৭-৬ (৭-৪) গেমে জিতে শোয়েনটেক উঠে গিয়েছেন প্রথমবারের মত ইউএস ওপেনের শেষ চারে। প্রথম সেটে হেসে খেলেই জয় পান পোলিশ তারকা।
শোয়েনটেককে বলা হয় লাল দুর্গের নতুন রানী। ক্যারিয়ারে জেতা দুটা গ্র্যান্ড স্ল্যামই এসেছে ফ্রেঞ্চ ওপেন থেকে। হার্ড কোর্টে প্রথম বারের মত শিরোপা জিততে উদগ্রীব এই পোলিশ তারকা গতকাল ম্যাচ জয়ের পর আনন্দের আতিশয্যে র্যাকেট ফেলে বুনো উদযাপন করলেন। একই সাথে নিশ্চিত হল টুর্নামেন্ট শেষেও মেয়েদের র্যাঙ্কিংয়ের তার শীর্ষে থাকটা। শোয়ানটেক ছাড়া শেষ চার ওঠা কারোরই গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের অভিজ্ঞতা নেই। শেষ চারে শুক্রবার ভোরে এই পোলিশ তারকার প্রতিপক্ষ বেলারুশের আরিনা সাবেলাঙ্কা। সেই ম্যাচের ব্যাপারে শোয়ানটেক বলেন, ‘খুবই কঠিন এক ম্যাচ হতে যাচ্ছে। কিছু দ্রুত গতির সার্ব আর হিটিংয়ের সামনে পড়তে যাচ্ছি আমি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।