গঙ্গাচড়া উপজেলা সংবাদদাতা : রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলায় মাদ্রাসা ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৯ মার্চ উপজেলার পশ্চিম মহিপুর গ্রামে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের চল্লিশ্বর গ্রামের ইউ.পি সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে নাজুমল ইসলাম (২৩) এর সাথে পার্শ্ববর্তী মহিপুর বুড়িডাঙ্গী গ্রামের পিতৃহীন দাখিল মাদ্রাসা পড়–য়া এক ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ঘটনার দিন ২৯ মার্চ প্রেমিক নাজমুল ইসলাম ওই ছাত্রীকে তার বোনের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে নাজমুলের পিতা ওই ছাত্রীকে তার ছেলের সাথে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। ঘটনার এক পর্যায়ে স্থানীয় হিরু মিয়ার চায়ের দোকানে ওই ছাত্রীর মা ও মাদক ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম ইউ.পি সদস্য জাহাঙ্গীর ইসলামকে লাঞ্ছিত করলে তিনি ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে ঢলে পড়েন। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই দিন ইউ.পি সদস্যকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ইউ.পি সদস্য জাহাঙ্গীর ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে আশরাফুল ইসলাম মাদক ও জুয়ার সাথে জড়িত। আমি প্রতিবাদ করায় আমাকে মামলায় ফাঁসানোর জন্য আশরাফুল ইসলাম বিভিন্ন ভাবে পাঁয়তারা করছে।
স্থানীয় ভাবে বিষয়টি বিয়ের মাধ্যমে নিস্পত্তি করার সিদ্ধান্ত হলে ছাত্রীর মা রাজি না হয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় নাজমুল ইসলামকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। মামলা নং-০১, তারিখ-০১/০৪/২০১৭। মামলার ১নং স্বাক্ষী বহুবার রহমান জানান, মেয়ের মা আমাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। তখন একটি ঘরে ছেলে মেয়ে অবস্থান করছিল। আমি শুনেছি তাদের মধ্যে গভীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ বিষয়ে আসামি নাজমুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ওই মেয়ের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে। তবে কোন অবৈধ সম্পর্ক নেই। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রেজাউল আলম সরকার জানান প্রাথমিক তদন্ত হয়েছে ডাক্তারি পরীক্ষার সনদ এলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।