Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গঙ্গাচড়ায় এতিমদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ১৭ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

গঙ্গাচড়া (রংপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলায় কাতার চ্যারিটেবল সোসাইটির দেয়া এতিমদের অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংশিষ্ট একটি পক্ষ প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ও স্থানীয় টাউটদের সহায়তায় এ টাকা আত্মসাৎ করছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন থেকে উপজেলার নোহালী ইউনিয়নের কচুয়া এলাকায় কাতার চ্যারিটি দাতাগোষ্ঠীর সহযোগিতায় খোবাইব ইবনে আদি (রা:) এতিমখানাটি কুরআনে হাফেজসহ দশম শ্রেণী পর্যন্ত এতিম ছেলেমেয়েদের পাঠদান করে আসছে। তাদের ভরণপোষণের জন্য অর্থসহায়তা, শিক্ষক-কর্মচারীর বেতনভাতা দিয়ে থাকে দাতা ওই সোসাইটি। সাত হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত জনপ্রতি ভরণপোষণের অনুদান এলেও এতিমখানার পরিচালক তা ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিতরণ না করে আত্মসাৎ করেন।
এতিমখানাটির সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র মাজু রহমান জানান, ঈদুল ফিতরের আগের দিন সেমাই, চিনি, তেলসহ অন্যান্য ঈদ সামগ্রী বিতরণের সময় মাস্টার রোলে আমার স্বাক্ষর প্রদান কালে দেখতে পাই আমার নামে ভরণপোষণের জন্য ৩৮ হাজার টাকায় স্বাক্ষর নিয়ে পরিচালক আমার হাতে দেন মাত্র তিন হাজার ৫০০ টাকা। আমি পরিচালকের কাছে ৩৮ হাজার টাকা চাইলে পরিচালক বলেন তোমার একার নয়, আরো অনেককে দিতে হবে। মাজুর মামা আশরাফুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে পরিচালকের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ওটা ওদের অ্যাকাউন্টে জমা দেয়া হবে। ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র সম্রাট ও প্রতিষ্ঠান থেকে সদ্য বের হওয়া ছাত্র রব্বানী পেয়েছে দুই হাজার ৭০০ টাকা। কিন্তু তাদের নামে কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে, সেটি তাদের জানানো হয়নি। ছাত্রী হামিদা ও জান্নাতির মা রহিমা বলেন, পরিচালক জানিয়ে ছিলেন তার মেয়েদের নামে ৯ হাজার করে টাকা এসেছে। কিন্তু পরিচালক সাড়ে পাঁচ হাজার করে টাকা দিয়েছেন। সূত্র জানায়, ওই প্রতিষ্ঠানটির ৮৫ জন ছাত্রীর মধ্যে ৯ হাজার টাকা করে অনুদান এলেও তাদেরকে দেয়া হয় সাড়ে পাঁচ হাজার করে টাকা। এ ছাড়া ৯৯ জন ছাত্রের জন্য বিভিন্ন অঙ্কের অনুদান এলেও তাদেরকে নামেমাত্র অনুদান দেন পরিচালক।
এলাকাবাসী রফিক, জয়নাল, ফারুক, ছাত্তারসহ অনেকে জানান, দাতাগোষ্ঠীকে সন্তুষ্ট রাখতে পরিচালক নিজের ইচ্ছামতো কাগজপত্র ঠিক রেখে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এ ব্যাপারে এতিমখানার পরিচালক হায়দার আলী জানান, আমি কোনো টাকা আত্মসাৎ করিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গঙ্গাচড়ায় এতিমদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ