বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ইনামুল হক মাজেদী, গঙ্গাচড়া (রংপুর) থেকে : অভাবের মাস বলে পরিচিত আশ্বিন-কার্তিকের ধকল কেটে উঠতে না উঠতেই গরিবের ঘরে শীতের হানা যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাতের বেলায় তীব্র শীত জেঁকে বসায় রংপুরের গঙ্গাচড়ায় চরাঞ্চলসহ তিস্তা কূলবর্তী গ্রামগুলোতে নিম্ম আয়ের মানুষের দূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
রংপুর অঞ্চলে ক্রমান্বয়ে নিচে নামছে তাপমাত্রা। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে প্রকৃতি। হঠাৎ করে মৌসুমের শেষ দিকে শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। দামও বেশি নিচ্ছে দোকানদাররা।
তিস্তার চরাঞ্চলে গিয়ে চোখে পড়ে অভাবি ও শীতকাতর মানুষের দূর্ভোগ। নদী পাড়ের হিমেল হাওয়ায় সন্ধ্যার পর গায়ে কম্বল জড়িয়ে থাকা যেখানে দুঃসাধ্য, সেখানে চরের মানুষজন গায়ে শুধু একটা গেঞ্জি কিংবা লুঙ্গি জড়িয়ে আছেন। আর মহিলাদের সম্বল শুধু শাড়ির আঁচল। হঠাৎ ঠান্ডা আবহাওয়ার সাথে খাপ খাওয়াতে না পারায় বেশি কষ্ট পাচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। চুলোয় ভাতের হাড়ি বসিয়ে আগুনের কাছে বসে ছিলেন উপজেলার সদর ইউনিয়নের নবনীদাস গ্রামের বন্দে আলী। তিনি বলেন, ‘কয়দিন থাকি বেলা ডুবার পর (সন্ধ্যার পর) খুব ঠান্ডা নাগে। চুলার আগুন নিভি গেইলে (শেষ হইলে) আর থাকা যায়না।’ একই গ্রামের হালিমা বেওয়া বলেন, ঘরে একখান পাতলা খ্যাতা (কাঁথা) আছে। তাতে গাও (শরীর) গরম হয় না। ল²ীটারী ইউনিয়নের জয়রামওঝা চরের ফজলুল হক, মোখলেছার রহমান বলেন, ‘একদিন না খ্যায়া থাকা যায়, কিন্তু শীতের কষ্ট সহ্য হয় না। এ বছর আগোত (আগাম) ঠান্ডা শুরু হইল, কিন্তু ঘরোত কোন গরম কাপড় নাই।’ শীতে এবার এমনি অবস্থা বিরাজ করছে চরাঞ্চলের প্রতিটি বাড়িতে। অভাবি এসব পরিবারের আকুতি, ‘ঠান্ডার হাত থাকি হামাক বাঁচান।’ নোহালী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ টিটুল বলেন, কঠিন শীত শুরু না হওয়া পর্যন্ত চরাঞ্চলের অভাবি মানুষজন সাধারণত শীত মোকাবেলার কোন পদক্ষেপ নিতে পারে না। এ বছর শীত শুরু হওয়ায় বেকায়দায় পড়েছেন তারা। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র রায় বলেন, এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ৬০ পিচ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। রংপুর আবহাওয়া অফিস জানায়, গতকাল রংপুরের ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।