পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ইনামুল হক মাজেদী, গঙ্গাচড়া (রংপুর) থেকে : রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলায় বিভিন্ন নদীনালা, খালবিল ও জলাশয় নাব্য হারিয়ে ফেলায় মাছের আবাসস্থল ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে দেশিয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হতে চলছে। একদিকে যেমন এলাকায় মাছের চাহিদা মিটছে না, অন্যদিকে জেলে পরিবারগুলো মানবেতর জীবনযাপন করছে।
জানা গেছে, গঙ্গাচড়া উপজেলা দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তা, ঘাঘট, মানস, চারলিয়া বিল, গান্নার দোলা, বড়মনি, বোল্লারপাড়, গিড়িয়া বিল, নলেয়া বিল, বত্তর বিল, শিঙ্গিমারী দোলাসহ বেশ কয়েকটি নালা ও জলাশয়ে একসময় দেশি প্রজাতির বিভিন্ন মাছে ভরপুর ছিল। সে সময় মাছ এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে রফতানি করে স্থানীয় জেলে সম্প্রদায় সচ্ছলভাবে জীবনযাপন করত। কিন্তু বর্তমানে এলাকার বিভিন্ন নদীর নব্য হারানো এবং বিল জলাশয়ে মাটি ভরাট হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া নেট জালসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর মৎস্য আহরণ সরঞ্জাম ব্যবহারের কারণে দেশি প্রজাতির মাছ ধীরে ধীরে বিলুপ্তি হতে চলেছে। বর্ষা মৌসুমে বিভিন্ন জলাশয়ের প্লাবন ভূমিতে দেশি প্রজাতির মাছ প্রজনন করে বংশবৃদ্ধির জন্য। কিন্তু অবাধ বিচরণ বাধাগ্রস্ত হয়ে প্রজননে বিঘ্ন ঘটায়। তিস্তা নদীসহ বিল ও জলাশয় শুকিয়ে গিয়ে কোথাও কোথাও সরু নালা ও কোথাও নদী এবং বিলের বুকে বিভিন্ন ফসলের চাষ হওয়ায় দেশি প্রজাতির মাছ বিলুপ্তি হতে চলছে। বাঁধের ধারে প্রবীণ ব্যক্তি নজরুল ইসলাম, মহুবার, সন্তোষ, শহিদার ও জেলে নওশা মিয়া, তোতা মিয়াসহ তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নদী, বিল, জলাশয় থেকে এক সময় মলাডেলা, শরপুঁটি, শোল, পুঁটি, কালবাউশ, শিং, টাকি, খাউরা, বাঘা আইড়, চিতল, গজার, গোরসা, পবদা, বোয়াল, টেংরা, খইলসা, চান্দা, কৈ, মাগুর, খরকাটিসহ অনেক প্রজাতির মাছ বিলুপ্তি হতে চলেছে, ফলে এলাকার জেলেপাড়ার লোকজন মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।