Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ড্রেসিংরুমের বার্তাতেই স্মরণীয় ইনিংস

| প্রকাশের সময় : ২৭ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : বাংলাদেশের শততম টেস্ট জয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ তামীম। সেই পুরস্কারের রেশ থাকতে থাকতে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও একই পুরস্কারে ভূষিত তামীম। মাত্র ৫ দিনের ব্যবধানে ২ বার ম্যান অব দ্য ম্যাচ। প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে তিন ফরমেটের ক্রিকেট মিলে ১০ হাজারী ক্লাবের সদস্যপদে বিশেষ মাইলস্টোনের দিনটি স্মরণীয় করে রেখেছেন শ্রীলংকার বিপক্ষে সর্বোচ্চ ইনিংসে (১২৭)। ডাম্বুলায় শহীদ আফ্রিদির ইনিংসকে (১২৪) টপকে পাহাড় আর লেক পরিবেষ্টিত ভেন্যুতে সর্বোচ্চ ইনিংস দিয়েছেন উপহার। তার এমন কৃতিত্বে বাংলাদেশ করেছে শ্রীলংকার বিপক্ষে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ স্কোর (৩২৪/৫)। শ্রীলংকার বিপক্ষে জিতেছে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ব্যবধানে (৯০ রানে)।
১৪২ বলে ১২৭ রানের এই ইনিংসের মাঝপথে কিন্তু তামীমকে তামীমীয় রূপে যায়নি দেখা। প্রথম ফিফটিতে লেগেছে ৭৬ বল, ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৮ম সেঞ্চুরিতে খেলতে হয়েছে তাকে ১২৭ বল। যে সেঞ্চুরির পথে সাবধানী ইনিংসে ৬৯টি বল করেছেন ডট! পরিস্থিতির কারণে সহজাত ব্যাটিংটা শুরুতে করতে পারেননি বলে ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন তামীম ‘উইকেট শুরু থেকেই কিছুটা স্লো ছিল। কিছু বল স্কিড করেছে, কিছু বল ব্যাটে থেমে এসেছে। খুব গরমের মধ্যে ব্যাট করতে হয়েছে। রানের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে।’ এক এন্ড আগলে রেখে খেলা দলের কাজে আসবে বেশি, তার এই দর্শনে লাভ হয়েছে বাংলাদেশের। সেঞ্চুরির পর চেনা তামীম হাজির, ১৫ বলে ২৭ রানে বাংলাদেশের স্কোর ৩শ’ পেরিয়ে যাওয়ার পথটা প্রশস্ত করেছেন তামীম ‘ওরা যখন ভালো বোলিং করেছে, তখন টিকে থাকাটাই ছিল লক্ষ্য। এন্ড চেঞ্জ করে খেলতে হয়েছে, বাউন্ডারির অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে।’
ড্রেসিং রুম থেকে এক বার্তায় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন, লংকান বোলারদের উপর চড়াও হয়েছেন বলে জানিয়েছেন এই সেঞ্চুরিয়ান ‘একটা সময় ছিল যখন রানের জন্য সংগ্রাম করছিলাম। ৪০-এর ঘরে ছিলাম তখন মনে হচ্ছিল, আমি স্ট্রাইক রোটেট করতে পারছিলাম না। তারা ওই সময়ে ভালো বোলিং করছিল। আর সময়টা এমন ছিল যে, যদি আমরা একটা উইকেট হারাতাম তাহলে হয়তো বড় স্কোর করা সম্ভব হত না।তখন ড্রেসিং রুম থেকে কোচ, অধিনায়কের একটা বার্তা পেয়েছিলাম, ব্যাটিং চালিয়ে যাও, যতটা সময় সম্ভব ব্যাটিংয়ের চেষ্টা করো। মাশরাফি ভাই বারবার বাইরে বেরিয়ে এসে আমাকে বুঝাচ্ছিল যে, বড় ইনিংস খেল।তা মেনে চলার চেস্টা করতে পেরেছি বলে আমি খুব খুশি।’
দায়িত্বটা নিয়েছিলেন নিজের কাঁধে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সাব্বিরের সঙ্গে ৯০ রানের পার্টনারশিপে বাংলাদেশকে দেখিয়েছেন বড় স্কোরের স্বপ। ৪র্থ উইকেট জুটিতে সাকিবকে নিয়ে শ্রীলংকার বিপক্ষে ১৪৪ রানের রেকর্ড পার্টনারশিপেও দিয়েছেন নেতৃত্ব তামীম। এই দু’টি পার্টনারশিপেই ২০০৬ সালে মোহালীতে শ্রীলংকার বিপক্ষে সর্বোচ্চ স্কোর টপকে বাংলাদেশ দল শ্রীলংকার মাটিতে শ্রীলংকাকে দিতে পেরেছে রান পাহাড়ে চাপা (৩২৪/৫)। ওয়ানডে ক্রিকেটে এই প্রথম সাকিবকে নিয়ে সেঞ্চুরির পার্টনারশিপ গড়তে পারায় কৃতিত্বটা সাকিবকে দিয়েছেন তামীম ‘সাকিবের সঙ্গে যদি এটাই প্রথম শতরানের জুটি, তাতে আমি অনেক খুশি। কারণ এই জুটি খুব দরকার ছিল। আমাদের কেউ যদি যদি দ্রæত আউট হয়ে যেতাম, তাহলে হয়তো ৩২৪ রান করা কঠিন হয়ে যেতো। সাকিবের ইনিংসটি বিশেষ কিছু। যেভাবে ও খেলছিল এক-দুই ওভার খেলতে পারলে ও নিজেও একশ রান পেত।’
তিন ফরমেটের ক্রিকেট মিলিয়ে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে বাংলাদেশের শততম টেস্টেই ১০ হাজার রান পূর্ণ হতে পারতো তামীমের। মাত্র ১ রানের জন্য বেড়েছে অপেক্ষা। তবে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে এই মাইলস্টোনে পা রাখতে পেরে গর্বিত তামীম ‘১০ হাজার রান খুব বিশেষ কিছু। চেষ্টা করবো যতদূর যাওয়া যায়, যাওয়ার। ১০ হাজার রানের জন্য আমি গর্বিত, খুশি।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইনিংস


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ