নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন সংস্করণ মিলিয়ে ইনিংস খেলেছেন ৪৪টি। দেখা পাননি তিন অঙ্কের। পঞ্চাশ ছুঁতে পেরেছেন মোটে চারবার। দারুণ প্রতিভাবান হওয়ার পরও বাংলাদেশ দলের কোনো সংস্করণেই তাই জায়গা পাকা করতে পারেননি লিটন দাস। এবার তার সামনে সুযোগ ওয়ানডে দলে জায়গা পাকা করার। এশিয়া কাপে সুযোগ পাবেন তামিম ইকবালের সঙ্গে ইনিংস শুরু করার, জায়গাটি নিজের করে নেওয়ার।
ঘরোয়া ক্রিকেটে বড় ইনিংস বেশ কিছু খেলেছেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার সর্বোচ্চ রান ২৭৪, লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ১৪৩। কিন্তু সেই সামর্থ্যরে প্রতিফলন দেখাতে পারেননি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। ওয়ানডেতেই এখনও পর্যন্ত তার পারফরম্যান্স সবচেয়ে বিবর্ণ। ১২ ওয়ানডে খেলে ৬ বার দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন, সর্বোচ্চ রান ৩৬। তারপরও মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে লিটন বললেন, এবার হাঁটতে চান বড় কিছুর পথে। কথাবার্তা এমনি খুব বেশি বলেন না। এদিনও কথা বিশেষ বললেন না। তবে যেটকু বললেন, তাতে বুঝিয়ে দিলেন সুযোগটা এখন আর হাতছাড়া করতে চান না।
টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেই নিজেকে প্রমাণ করেছেন আরও একবার। কিন্তু ওয়ানডেতে এখনো সুযোগ পাননি সেভাবে। ১৫টি টি-টোয়েন্টির পাশে ওয়ানডে খেলেছেন ১২টি, সর্বশেষ খেলেছিলেন গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। এরপর এনামুল হক বিজয় বেশ কটি ম্যাচে সুযোগ পেয়েছেন, কিন্তু দলে জায়গা করে নেওয়ার মতো কিছু করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত লিটন আবার দৃশ্যপটে, এশিয়া কাপে নিশ্চিতভাবেই তামিমের সঙ্গে তিনি ওপেন করতে নামছেন। একদিক দিক দিয়ে সুযোগটা অনেক বড়, কারণ এখানে ভালো করলেই বিশ্বকাপ পর্যন্ত জায়গাটা পাকা করে নিতে পারেন। লিটন অবশ্য এমন প্রাপ্তির হাতছানিতেও কিছুটা নিস্পৃহ। শুধু বললেন, ‘এটা একটা ভালো একটা সুযোগ। আমি অনেক দিন ওয়ানডে দলের বাইরে। অবশ্যই এটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।’
কিন্তু ভালোর মানে আসলে কী? নিজের কোনো ব্যক্তিগত লক্ষ্য কি আছে? লিটন এ নিয়েও বেশি কিছু বললেন না, ‘এশিয়া কাপে ভালো বলতে তো পারফর্ম ছাড়া অন্য কিছু নেই। আপনারাও রান চান, আমরাও রান চাই। ভালো করতে চাই।’ এশিয়া কাপের মতো আসরে চ্যালেঞ্জটা যে বড়, সেটাও মানলেন, ‘চ্যালেঞ্জ তো অবশ্যই থাকবে। একটা বড় ইভেন্ট। ওপেনিং করলে তো এটা চ্যালেঞ্জই। চেষ্টা করব নিজের শতভাগ দেওয়ার। সে অনুযায়ী অনুশীলন করছি।’
খেলার ধরনের দিক দিয়ে লিটনের চেয়ে দৃষ্টিকর ব্যাটিং বাংলাদেশ দলে কমই আছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ, ভালো খেলতে খেলতে হঠাৎ করে আউট হয়ে যাওয়া। লিটন অবশ্য এ নিয়ে একটু রসিকতার সুরেই বললেন, ‘যারা বড় প্লেয়ার তারা স্টার্ট পেলে ইনিংস বড় করে। এখনো বড়দের কাতারে যেতে পারিনি, এখনো বড় ইনিংস তাই হচ্ছে না। আমি চেষ্টা করছি ভালো কিছু করার, যেন বড় কিছু করি।’
আপাতত নিজের শটগুলো নিখুঁত করারই চেষ্টা করছেন লিটন, ‘আসলে আউট হতে একটা বলই লাগে। ওইটা নিয়েই কাজ করছি যে কোন শটগুলা আসলে বেশি নিখুঁত করতে হবে। উইকেটে থাকলেই তো হবে না, রানও করতে হবে। বল সিলেকশনটা ভালো করার চেষ্টা করছি আরও।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।