নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দু’জনেই দলের কান্ডারী। একজন অধিনায়ক অপরজন তার সহযোগী। শুধু পদ-পদবিতেই নয়, মাঠের লড়াইয়ে সবসময়ই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার। হঠাৎই এক অশুভ ঝড়ে সব ওলট-পালট। তবে সময়ের সাথে মলম পড়েছে সেই ক্ষত, আছে মিলিয়ে যাবার প্রক্রিয়ায়, নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার দ্বারপ্রান্তে দুই অজি তারকা ক্রিকেটার। দ্বিতীয় যাত্রার শুরুটা বেশ ভালোভাবেই হলো তাদের, স্মিথ-ওয়ার্নারকে সাদরে বরণ করে নিল জাতীয় দলের সতীর্থরা।
দলের সতীর্থদের সঙ্গে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিতে দুই ক্রিকেটার আরব আমিরাতে উড়ে গিয়েছিলেন। ২২ মার্চ এখানেই শুরু হচ্ছে পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। ওয়ার্নার ও স্মিথ অবশ্য এই সিরিজে খেলবেন না। বিশ্বকাপ দুয়ারে। দলের সঙ্গে বোঝাপড়া বাড়াতেই কেবল এসেছিলেন দুজন। বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি ম্যাচে দলে ফেরার কথা আছে দুজনের।
বল টেম্পারিং-কাÐে এই দুজন ১২ মাসের জন্য নিষিদ্ধ হন। সেই নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে এ মাসের শেষে। তবে মে মাসের আগে জাতীয় দলে আর ফেরা হচ্ছে না। এই সিরিজের পর অস্ট্রেলিয়ার আপাতত খেলা নেই। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের শেষ দুই ম্যাচ খেলতে পারতেন স্মিথ ও ওয়ার্নার। তবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) মনে করেছে, এভাবে সিরিজের মাঝখানে যোগ না দিয়ে দুজন বরং আইপিএল খেলুক।
ভারতের বিপক্ষে শেষ তিন ম্যাচ জিতে অস্ট্রেলিয়া এখন দারুণ আত্মবিশ্বাসী। ওয়ার্নার, স্মিথ বিশ্বকাপ দলে যোগ দিলে দলটা আরও দুর্দান্ত হয়ে উঠবে নিশ্চিত। জাতীয় দলের সতীর্থরাও দুজনকে ফিরে পেতে মুখিয়ে আছেন। ওয়ার্নার জানালেন, সতীর্থরা কীভাবে স্বাগত জানিয়েছিল তাঁদের, ‘এটা অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা ছিল। মনে হচ্ছিল যেন আমরা কখনোই দল থেকে এত দিন এত দূরে ছিলাম না। দলের খেলোয়াড়েরা আমাদের অপেক্ষাতেই ছিল, তারা আমাদের সাদরে বরণ করে নিয়েছে। আমাদের জড়িয়ে ধরেছে, বুকে টেনে নিয়েছে। এটা দারুণ ছিল। ভারতে অসাধারণ এক সিরিজ জয়ে দলের সবাই বেশ চনমনে অবস্থায় আছে। এখন ওরা পাকিস্তানের বিপক্ষে কেমন খেলে, সেটা দেখার জন্য মুখিয়ে আছি। আশা করি, এখানেও ওরা সিরিজ জিতবে।’
গত বছর কেপটাউন টেস্টে লুকিয়ে রাখা শিরিষ কাগজ দিয়ে ঘষে বল টেম্পারিং করেছিল অস্ট্রেলিয়া। ওয়ার্নারের মাথা থেকে বেরোনো এই কুবুদ্ধি মাঠে বাস্তবায়ন করেছেন ক্যামেরন ব্যানক্রফট। তখনকার অধিনায়ক স্মিথ তাতে সম্মতি দিয়েছিলেন। এর শাস্তি তিনজনকেই পেতে হয়।
সেই ঘটনার পর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের সংস্কৃতি বদলে ফেলার কথা ওঠে। পরে তখনকার কোচ ড্যারেন লেম্যানও সরে যান। নতুন কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার নতুন সংস্কৃতিতে দলকে গড়ে তুলছেন। ওয়ার্নার বলছেন, সেই সংস্কৃতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার দায়টা এখন তাঁদের ওপরেই, ‘নিশ্চিত করতে হবে আমরা দলের মূল্যবোধের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাব। ১২ মাস দলে ছিলাম না আমরা, এর মধ্যে অবশ্যই অনেক বড় পরিবর্তন এসেছে, যে পরিবর্তনটা দারুণ। এখন সেটা মেনে দলে আমাদের যা ভূমিকা, সেটা ঠিকমতো করে এগিয়ে যাওয়াই হবে আমাদের দায়িত্ব।’
দলের মূল্যবোধ মেনে নেওয়ার কথা বলেছেন স্মিথও। একই সঙ্গে বিশ্বকাপ, এর পরপরই অ্যাশেজ, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের মহা গুরুত্বপূর্ণ সময়টার কথাও মনে করিয়ে সেই চ্যালেঞ্জের জন্য তৈরি হওয়ার কথা বলেছেন। আর কোচ ল্যাঙ্গার বলছেন, ‘ওদের আবার দলে ফিরে পাওয়াটা হবে দুর্দান্ত কিছু। যেন দুই ভাই আবার ঘরে ফিরছে। দুই ভাই ভিন্ন কারণে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছিল, তাই তাদের ফিরে পাওয়া দারুণ হলো। দুজনকেই সবাই দারুণভাবে বরণ করে নিয়েছে, কাল রাতে আমরা দারুণ একটা রাতও কাটিয়েছি। আজকেও (গতকাল) অনেকের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ হচ্ছে। দলে সবাই ইতিবাচক দৃষ্টিতেই ওদের নিচ্ছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।