রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মিঠানিয়া খাল কৌশলে দখলে নিচ্ছে প্রভাবশালীরা
কামরুজ্জামান টুটুল, হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর) থেকে : চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের মিঠানিয়া খাল। একেবারে ডাকাতিয়া নদী থেকে উৎপত্তি হয়ে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়ক ও চাঁদপুর লাকসাম রেল সড়ক ভেদ করে চলে গেছে উপজেলার উত্তরের কৃষি মাঠগুলো ভেদ করে কচুয়া উপজেলার দিকে। এই অঞ্চলের ইরিগেশন ও বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশনের জন্য এই খাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বেশ কয়েক বছর ধরে হাজীগঞ্জ পৌর এলাকাসহ তৎসংলগ্ন এলাকাসমূহের ভূমি খেকোদের লোলুপ দৃষ্টি আকৃষ্ট করায় বেশ কিছু অংশ কৌশলে দখল করে নিচ্ছে দখলদাররা। কৌশলে খালটি ভরাট করার কারণে হুমকির মুখে পড়বে হাজীগঞ্জ পৌর সভার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টটি। তবে খালটি সরকারের খাসের খাল বলে ইনকিলাবকে নিশ্চিত করেছেন হাজীগঞ্জ পৌর উপ-সহকারী প্রকেীশলী মাহবুব রশিদ। সরজমিনের দেখা যায়, হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার খাটরা বিলওয়াইস্থ পেপসি ঘাটের পূর্ব অংশ দিয়ে ডাকাতিয়া নদী শেষে শুরু হয়ে চাঁদপুর কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের মিঠানিয়া সেতুর নীচ হয়ে উত্তরের মাঠ ধরে চাঁদপুর লাকসাম রেল সড়ক ভেদ করেছে। ঠিক সুদিয়া হয়ে খালটি চলে গেছে কালোচোঁ উত্তর হয়ে কচুয়ায় চলে গেছে। প্রায় অর্ধশত গ্রাম ভেদ করে চলে যাওয়া এই খালের খাটরা বিলওয়াই এলাকাটি দলখদারের লোলুপ দৃষ্টিতে পড়েছে যার কারণে দিন দিন কৌশলে দখল হয়ে যাচ্ছে মিঠানিয়া খালটি। ডাকাতিয়া নদী খেকে খালের উৎপত্তি। উৎপত্তিস্থলের সামান্য উত্তরে আসলে দেখা যায় খালের নাব্য কমে প্রায় ৮০ ভাগ অংশের তলদেশ ভেসে উঠেছে। এর মধ্যে খালের পূর্ব অংশের অধিকাংশ অংশে কৌশলের দখল স্পষ্টত দেখা যাচ্ছে। দখলের আরো কৌশল চোখে পড়ে মিঠানিয়া সেতুর দক্ষিণ অংশে। বিশেষ করে মিডওয়ে মেডিকেল সেন্টারের পশ্চিমের দেয়াল ঘেঁষে ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে খালের প্রায় অর্ধেকটা ভরাট হয়ে গেছে। কৌশলে দখলের এই প্রক্রিয়া রেলসড়ক পর্যন্ত রয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, মিঠানিয়া খালটি স্বাধীনতা যুদ্ধের অনেক স্মৃতি বহন করছে। খাটরা বিলওয়াই এলাকার মিঠানিয়া সেতু ও তৎসংলগ্ন এলাকায় মুক্তিবাহিনী সরাসরি সম্মুখ যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে। মিঠানিয়া সেতু ও মিঠানিয়া খালটি ছিলো মুক্তিবাহিনী ও পাকবাহিনীর কাছে টানিং পয়েন্ট। সেই খালটি দখলের কারণে আজ মানচিত্র থেকে মুছে যাবার আশংকা দেখা দিয়েছে। হাজীগঞ্জ পৌর মেয়রের কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, জমির দাম ছাড়া প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে টেন্ডার হয়েছে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের। টেন্ডার শেষে দরপত্র মূল্যায়নের কাজ চলছে। এই প্লান্টটি বসছে মিঠানিয়া সেতুর উত্তর পাশে পৌর গোরস্থান ও মিঠানিয়া খালের পাশে। মিঠানিয়া খালের মাধ্যমে ডাকাতিয়া নদী প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে পানি এনে টিট্রমেন্টের মাধ্যামে পারিকে আর্সেনিকমুক্তসহ পানিকে জীবাণুমুক্ত করে পৌরবাসীকে পাইপের মাধ্যমে সঞ্চালন করা হবে। এই ট্রিটমেন্ট পাল্টের পুরো সম্মত্তি দিচ্ছে হাজীগঞ্জ পৌরসভা। মিঠানিয়া খাল পৌর এলাকার অভ্যন্তরে আর খালটি দখল হয়ে গেলে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট হুমকির মূখে পড়বে বলে পৌর মেয়র আ.স.ম মাহবুব উল আলম লিপন ইনকিলাবকে বলেন খাল উদ্ধারে আমরা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাথে সমন্বয় করে উদ্ধার কাজ শুরু হবে। প্রয়োজন হলে খালটি খননসহ সংস্কার করা হবে। এ বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ কঠোর হতে বাধ্য হবো। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শেখ ছাদেক বলেন সরকারি দখলকারীর বিষয়ে আমরা আইনী প্রক্রিয়ায় যাবো। প্রয়োজনবোধে খাল এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে খাল উদ্ধার করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।