Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নদীভাঙনে হুমকির মুখে রাঙ্গুনিয়ার একাধিক গ্রাম

নুরুল আবছার চৌধুরী, রাঙুনিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে : | প্রকাশের সময় : ৪ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০১ এএম

অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, অতি বৃষ্টি ও কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্র ঝুঁকিমুক্ত করতে ১৬টি স্প্রীলওয়ে দিয়ে পানি কর্ণফুলী নদীতে ছেড়ে দেয়া স্রোতে রাঙুনিয়ার তীরবর্তী প্রবল এলাকা ভাঙন দেখা দিয়েছে। কর্ণফুলী নদীর সাথে সংযুক্ত শিলক ও ইছামতি নদীর দু’পাড়ে ইতিমধ্যে অনেক জমি বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে পড়েছে রাঙুনিয়ায় একাধিক গ্রাম। নদী ভাঙনের ভয়াবহতা যে কোন সময়ের চেয়ে অতিরিক্ত বলে স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।
সবচেয়ে বেশী ভাঙন কবলিত বেতাগীর মাতব্বর বাড়ি, চিরিয়া, মৌলভী সাহেবের ঘাট, চান্দরবাড়ি, বারুইপাড়া, বড়–য়াপাড়া, কুলালপাড়া, কাটাখালী।
ইছামতি নদীর তীব্র ভাঙনে রাজা নগর ইউনিয়নের বগাবিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলাচলের একমাত্র সড়কটি নদী ভাঙনে বিলীন হওয়ার পথে। ভাঙন প্রতিরোধ করা না গেলে সড়ক ধসে গিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দু’টি নদীতে তলিয়ে যাবে বলে স্কুলের শিক্ষকরা জানান। কর্ণফুলী নদী ভাঙনে চন্দ্রঘোনা বন শুল্ক ও পরীক্ষণ ফাঁড়ির বন অফিসটি নদীর গর্ভে চলে যাচ্ছে। জরুরিভাবে ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেয়া না হলে পুরো সরকারি বন অফিসটি বিলীন হবে।
কোদালা সেন পাড়ার অশোক কুমার শীল বলেন, একমাত্র শশ্মানহোলা ভাঙনের মুখে পড়েছে। ধোপাঘাট, সাতঘর পাড়া, শীল পাড়া, তালুকদার বাড়ি, সেন বাড়ি, বল বাড়ি, ব্রাক্ষণ বাড়ি, মুসলিম বাড়ি ও পূর্ব পাড়ার ৫শ পরিবার নদী ভাঙনের মুখে পড়েছে।
ইসলামপুর ইউনিয়নের কৃষক মোহাম্মদ সেলিম বলেন, পানির ¯স্রোতে ইছামতি নদীর একাধিকস্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে শতশত বাড়িঘর ও ২০-২৫ একর জমি বিলীন হয়ে গেছে। চলতি অর্থবছরে ১৫টি স্থানে ইছামতি নদী তলদেশে উচ্চ সম্পন্ন ড্রোজার মেশিন বসিয়ে লাখ লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন করে পাচার করা হয়েছে। অতিরিক্ত বালু উত্তোলনের ফলে নদী ভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তিনি জানান। রাঙুনিয়া উপজেলা প্রশাসন বালু পাচার বন্ধে নদীতে একাধিকবার অভিযান চালিয়ে ড্রেজার মেশিন জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে ফেলেন। অভিযানের কয়েক দিন পর্যন্ত বালু পাচার বন্ধ রাখা হলেও পরবর্তীতে আবার চালু করা হয়। রাজানগর ইউনিয়নের মুছা সওদাগর জানান, নদীভাঙন রোধে সরকার গত সাড়ে বছরে শত কোটি টাকার উপরে সিসি বøক ও উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। কিন্তু শাসকদলের পরিচয় দেয়া কিছু ব্যক্তির বেপরোয়া বালু উত্তোলনের কারণে সরকারের উদ্যোগ ভেস্তে যেতে বসেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হুমকির মুখে


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ