গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মালিকানাধীন নীলক্ষেত রোড সাইড মার্কেট দক্ষিণের (তুলা মার্কেট) দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় অবৈধভাবে নির্মিত ১৪৮টি দোকান ভেঙে ফেলা হচ্ছে। মার্কেটের অবৈধ অংশ ভাঙতে আজ রবি ও আগামীকাল সোমবার উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করবে সংস্থার সম্পত্তি বিভাগ।
নীলক্ষেতের গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ-সংলগ্ন সড়কের পাশে চার কাঠা জায়গার ওপর এই অবৈধ মার্কেটটি গড়ে তোলা হয়। প্রকাশ্যে মূল্যবান ওই জমির ওপর অবৈধ মার্কেট গড়ে তোলা হলেও ডিএসসিসির সংশ্লিষ্টরা নির্বিকার ছিল। প্রায় এক দশক ধরে ওই মার্কেটটি অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে। তিনতলা মার্কেটের পুরোটাই ইট-সিমেন্টের ভবন। নিচতলায় আছে বেডিংয়ের দোকান। আর ওপর তলায় কিছু টেইলার্স, প্রেস ও কোচিং সেন্টার, যার বেশিরভাগই ভাড়া দেওয়া। এখানে দোতলায় মার্কেট মালিক সমিতির কার্যালয় রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১৯৬১ সালে রোড সাইডে অস্থায়ী ভিত্তিতে ৩৭টি দোকান বরাদ্দ দেয় তৎকালীন নগর সংস্থা। অর্ধশতকের বেশি সময় ধরে ওই জায়গায় অস্থায়ী দোকানগুলো যথাযথ নিয়ম মেনে ব্যবসা পরিচালনা করে। এরপর ২০১২ সালে ডিএসসিসি কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তা বিধি ভেঙে নিজ খরচে সেখানে আরও ১৪৮টি দোকান বরাদ্দ দেয়। ওই বরাদ্দ বলে দোকান মালিকরা রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ জায়গার ৪ কাঠা জায়গাজুড়ে তিনতলা মার্কেট গড়ে তোলেন। দীর্ঘ সময় ধরে মার্কেটের নির্মাণকাজ চললেও সেখানে বাধা দেয়নি ডিএসসিসি। এই অবৈধ জায়গায় মার্কেট গড়ে তোলার পেছনে সে সময়ের একজন প্রভাবশালী প্রতিমন্ত্রীর পরোক্ষ সহযোগিতা ছিল।
২০১২ সালে ডিএসসিসির সার্ভেয়ার মুহাম্মদ মুরাদ হোসেন, সৈয়দ রুমান ও কানুনগো মোহাম্মদ আলী পরস্পর যোগসাজশে প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় ৭৪টি দোকান মাসিক প্রতি বর্গফুট ১৫ টাকা ভাড়ায় অস্থায়ী বরাদ্দ দেয় এবং নিজ খরচে ভবন নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।