Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তুরস্কে কয়লা খনিতে বিস্ফোরণ, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪০

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ অক্টোবর, ২০২২, ৫:৪৮ পিএম | আপডেট : ৬:০৩ পিএম, ১৫ অক্টোবর, ২০২২

তুরস্কের বার্তিন প্রদেশের একটি কয়লা খনিতে বিস্ফোরণে অন্তত ৮০ জন মারা গেছে এবং এখনো খনির ভেতরে অনেকে আটকা আছেন। বিস্ফোরণের সময় অন্তত ১১০ জন শ্রমিক ওই খনিতে কাজ করছিলেন এবং এর অর্ধেকই ছিলো তিনশ মিটারের বেশি গভীরে।

তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলায়মান সয়লু শনিবার মৃত্যুর এ সংখ্যা নিশ্চিত করে জানান, খনি থেকে ৫৮ জন শ্রমিক নিরাপদে বের হয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। জ্বালানিমন্ত্রী ফাতিহ দোনমেজ অশ্রুসিক্ত চোখে বলেন, ‘আমরা খনিতে উদ্ধার অভিযান শেষ করতে যাচ্ছি।’ রাতে জরুরি কর্মীরা পাথর খনন করে আটকে পড়াদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছিলেন।ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে পুরো কালো রং ঢেকে যাওয়া খনি কর্মীরা বেরিয়ে আসছেন এবং তাদের দৃষ্টি ছিলো ঝাপসা।

উদ্ধার কর্মীরা তাদের কৃষ্ণসাগর উপকূলের একটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে নিয়ে গেছেন। আটকে থাকা কর্মীদের স্বজনরা খনি এলাকা ভিড় করছেন এবং তাদের স্বজনদের জন্য উদ্বেগ নিয়ে অপেক্ষা করছেন। বিস্ফোরণটি ধারণা করা হচ্ছে যে খনির অন্তত তিনশ মিটার ভেতরে হয়েছে। খনির তিনশ থেকে সাড়ে তিনশ মিটার গভীরের ঝুঁকিপূর্ণ জোনে ৪৯ জন কাজ করছিলেন বলে সয়লু জানিয়েছেন।

ঘটনাস্থলেই সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন ওই এলাকাতেই তারা আছেন যাদের এখনো উদ্ধার করা যায়নি। বিস্ফোরণের কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে স্থানীয় প্রসিকিউটর কার্যালয় এর তদন্ত শুরু করেছে। তুরস্কের জ্বালানি মন্ত্রী বলেছেন ফায়ারড্যাম্পের কারণে এ বিস্ফোরণ হতে পারে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে। ফায়ারড্যাম্প হলো মূলত কয়লা খনির ভেতরে মিথেন গ্যাসের এক ধরণের মিশ্রণ। ‘আমরা সত্যিকার অর্থেই একটি দুঃখজনক পরিস্থিতির ভেতর আছি,’ বলছিলেন তিনি।

খনির ভেতরের একটি অংশ ধ্বসে গেছে তবে এখন কোন আগুন নেই এবং ভেন্টিলেশনও ঠিকমতো কাজ করছে বলে জানান তিনি। প্রেসিডেন্ট রজবপ তাইয়্যেপ এরদোগান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। আহতদের অনেকের ক্ষত অত্যন্ত মারাত্মক বলে জানিয়েছেন আমসারা মেয়র রেচাই চাকির। খনি থেকে নিজেই বেরিয়ে আসা একজন শ্রমিক বলেছেন, "ভেতরে ধূলা আর ধোঁয়া এবং আমরা আসলে জানি না যে কি হয়েছে সেখানে"।

ওই খনিটির মালিক রাষ্ট্রায়ত্ত তুর্কিশ হার্ড কোল এন্টারপ্রাইজ। এর আগে ২০১৪ সালে পশ্চিমাঞ্চলীয় সোমা শহরে এক ভয়াবহ কয়লা খনি বিস্ফোরণে ৩০১ জনের মৃত্যু হয়েছিলো। সূত্র: বিবিসি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিস্ফোরণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ