বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফরিদপুরে বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচিতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হেলমেট পরে এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ বিএনপির। এসময় পুলিশসহ বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেটের ১৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে।
পরে ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির ১০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানায় জেলা পুলিশ।
বুধবার (১১ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ফরিদপুর শহরের অম্বিকা ময়দানে বিএনপির গণ অবস্থান কর্মসূচিতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১১টার দিকে শহরের অম্বিকা ময়দানে এই গণ অবস্থান কর্মসূচি শুরুর প্রায় দেড় ঘন্টা পর মঞ্চে বক্তব্য চলাকালে উত্তর দিকে শহীদ সূফি সড়কে এসে তারা প্রথমে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এরপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।
তবে ককটেলের শব্দে প্রথমে হতচকিয়ে গেলেও দ্রুতই ঘুরে দাড়িয়ে পাল্টা প্রতিরোধ করে বিএনপি। এসময় কিছুক্ষণ উভয় পক্ষের ইটপাটকেল নিক্ষেপের পর হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এসময় সড়কে যত্রতত্র ইটের টুকরো পড়ে থাকতে দেখা যায়।৷ পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পথচারীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল চৌরঙ্গী মোড়ের পূর্বদিকের মুখে অবস্থানে ছিলো। এদিকে আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় চৌরঙ্গী মোড়ের পূর্বদিকের সড়কে পুলিশের ব্যারিকেডের পেছন প্রান্ত হতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
এব্যাপারে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, "পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেটের ১৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। এসময় পুলিশের ৪ জন সদস্য আহত হয়। পরে, ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির ১০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।"
প্রসঙ্গত, সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন সহ ১০ দফা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সহ সকল নেতৃবৃন্দের মুক্তি দাবিতে দেশব্যাপী কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ফরিদপুরে এ গণ অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ১১টা হতে শহরের অম্বিকা ময়দানে এ কর্মসূচি শুরুতেই জাসাসের শিল্পীদের গণসংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। বিপুল পরিমাণ নেতাকর্মী এতে যোগ দেন।
এসময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহিরুল হক শাহজাদা, বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ্ মোঃ আবু জাফর, নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী হুমায়ুন কবির, ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ঈসা, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এএফএম কাইয়ুম জঙ্গি, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সরদার নাসিরুদ্দিন কালু, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদ আহমেদ আসলাম, রাজবাড়ীর আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট লিয়াকত হোসেন, গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম প্রমূখ।
অপরদিকে ফরিদপুর মহানগর যুবদলের সভাপতি বেনজির আহম্মেদ তাবরিজ ইনকিলাবকে জানান, উল্লেখিত ঘটনায় বিত্রনপি, যুবদল, ছাত্রদল,স্বেচ্ছাসেবকদলের ৫০/৬০ জন নেতাকর্মী সরকারী দলীয়দের হাতে ইট পাকেল ও পুলিশের ধাওয়ায় আহত হন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।