বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
৫ দিনর টানা ছুটিতে পর্যটকে মুখরিত হবে বান্দরবান। এমনটাই আশা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। দূর্গাপূজা, প্রবারণা পূর্ণিমা ও ঈদে মিলাদুন্ননী সঃ এর ছুটিকে কেন্দ্র করে পাহাড়ের প্রাকৃতিক দৃশ্য আর বিচিত্রময় জীবন ধারা দেখতে এবারও পর্যটকে মুখরিত হতে চলছে বান্দরবান। ৫ অক্টোবর বুধবার দূর্গাপুজা, ৯অক্টোবর, রোববার ঈদে মিলাদুন্নবী ও প্রবারণার ছুটি, এবং শুক্রবার শনিবার নিয়মিত সরকারি ছুটি, মাঝখানে বৃহস্পতিবার ১ দিন অফিস খোলা থাকলেও অনেকেই সে দিন ছুটি নিয়ে টানা ৫ দিনের ছুটি উপভোগ করতে পরিবার নিয়ে পার্বত্য বান্দরবানের অপার সৌন্দর্য দেখতে হোটেল মোটেল ও রিসোর্ট গুলো আগে ভাগে বুকিং দিয়ে রেখেছেন।
বান্দরবানে পাহাড়-পর্বত ছাড়াও এখানে রয়েছে অসংখ্য ঝিরি-ঝর্ণা, মেঘলার লেক, স্বর্ণমন্দির, নীলাচল, নীলগিরি, শৈলপ্রপাত, নাফাকুম, রেমাক্রি, চিম্বুক, নীলদিগন্তসহ সরকারী-বেসরকারী অনেকগুলো পর্যটন স্পট। সবকিছু মিলিয়ে টানা ৫দিনের ছুটিতে ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকের পদভারে এখন মুখর হয়ে উঠবে বান্দরবান। ৫ অক্টোবর থেকে পুরো শহর জুড়ে পরিণত হবে
মিলন মেলায়। পর্যটকের বাড়তি চাপ সামলাতে হিমশিম হবে হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউজ, রেস্ট হাউজ মালিকসহ পর্যটনশিল্পে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
া
বান্দরবানের নীলাচল পর্যটনকেন্দ্রে ভ্রমণে আসা পর্যটক নাঈমা আক্তার জানান, সবুজ বনানী ঘেরা পাহাড়ের সৌন্দর্য্য দেখতে অতুলনীয় বান্দরবান।
অরণ্যে ঘেরা পাহাড়ের সঙ্গে মারমা, মুরুং, ত্রিপুরা, বম, তংচঙ্গ্যা, চাকমা, চাক, খেয়াং, খুমী, লুসাই, কুকি, পাংখোসহ মোট ১১টি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সরল জীবনযাপনের এ আবাসস্থল ধীরে ধীরে হয়ে উঠছে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দু। ৫ দিনের ছুটি কে কেন্দ্র করে তাই পর্যটকদের আনাগোনা বেশ লক্ষনীয় জেলার পর্যটন স্পটগুলোতে। জেলার পর্যটন কেন্দ্র নীলাচল, মেঘলা, প্রান্তিক লেক, শৈলপ্রপাত, নীলগীরি, চিম্বুক পাহাড়সহ প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের ভীড় হবে বলে আশা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
বান্দরবানের মেঘলা পর্যটনকেন্দ্রে বেড়াতে আসা পর্যটক কামাল উদ্দিন বলেন, বান্দরবানের বিনোদন কেন্দ্রগুলো বেড়াতে ভালো লাগে। আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে প্রায়ই ভ্রমনে আসি এবং পাহাড়, নদী আর ঝর্ণার পাশে থেকে সময় কাটে।
নাগরিক জীবনের ছকে বাঁধা সময় থেকে বেরিয়ে যে কেউ এখানে হারিয়ে যেতে পারেন নীলাচলের মেঘে ঢাকা পাহাড়ে, মেঘলা লেকের সচ্ছ জলে ভাসাতে পারেন ডিঙ্গি নৌকা অথবা ঘুরে আসতে পারেন চিম্বুক পাহাড়ে। আর পা ফেললেই নীলগীরির অপরুপ শোভা দেখতে পারবেন। শহরে যানজট ও কোলাহল মুক্ত পরিবেশে একটু স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলতে চান তাহলে অবশ্যই বেছে নিতে হবে বান্দরবানকে।
বান্দরবানের হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: সিরাজুল ইসলাম বলেন, ৫দিনের টানা ছুটিতে পর্যটকের উপস্থিতি লক্ষনিয় হবে ইনশাআল্লাহ।
বান্দরবান হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় প্রায় ৫৫টি হোটেল-মোটেলে আগামী শনিবার পর্যন্ত পর্যটকের আগমন অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।ৃ
ট্যুরিস্ট পুলিশ বান্দরবান সুত্র জানায় , পর্যটকরা যাতে নিরাপদে ভ্রমন করতে পারে সে লক্ষে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে, এছাড়া ও বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ট্যুরিস্ট পুলিশ রয়েছে।
বান্দরবান এসে কোনো পর্যটক যাতে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হয় সেই দিকে আমরা সজাগ দৃষ্টি রাখছে টুরিস্ট পুলিশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।