Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বান্দরবান সীমান্তে গোলাগুলি অব্যাহত

আতঙ্কে ৯টি স্কুলের শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারছেনা

স্টাফ রিপোর্টার, বান্দরবান থেকে | প্রকাশের সময় : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির মাঝে গোলাগুলি অব্যাহত রয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল থেকে সীমান্তে থেমে থেমে চালানো গুলির শব্দ শুনতে পেয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে ১টি চাইনিজ রাইফেলের গুলি মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের বান্দরবান সীমান্তের তুমব্রু এলাকায় এসে পড়েছে। গত কয়েকদিন ধরে চলমান এই সংঘর্ষের কারণে আতঙ্কিত রয়েছে সীমান্তে বসবাসকারীরা। আবার নতুন করে গুলি এসে পড়ায় আতঙ্ক যেন তাদের পিছু ছাড়ছেই না।
এলাকাবাসী জানান, সীমান্তের ৩৪ এবং ৩৫ নাম্বার পিলারের মাঝখানে মিয়ানমারের ৩ কিলোমিটার ভিতের যুদ্ধ চলছে। এ সময় ১টি চাইনিজ রাইফেলের গুলি মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের বান্দরবান সীমান্তের তুমব্রু এলাকায় এসে পড়েছে।
এদিকে ঘুমধুম সীমান্ত ঘেঁষা ৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বোমা ও গুলি আতঙ্কের কারণে স্কুলে যেতে পারছেনা। এতে পড়াশোনায় চরম ব্যাঘাত হচ্ছে। কবে নাগাদ এ আতঙ্ক থেকে মুক্তি পাবে কেউ সদুত্তর দিতে পারছে না।
পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, মাঝখানে ২ দিন বন্ধ থাকলেও গতকাল শনিবার পর্যন্ত টানা ২৯ দিন রাখাইন রাজ্যের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর তুমুল লড়াই চলছে। এ সময় আরাকান আর্মির লক্ষ্যবস্তুতে ফাইটার জেট ও হেলিকপ্টার থেকে গুলিবর্ষণ, মর্টার শেল ও বোমা নিক্ষেপ করে আসছে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী।
নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, আমরা লোকজনকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। বাংলাদেশ সীমান্তে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বিজিবি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বান্দরবান সীমান্তে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ