পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বান্দরবানে ডায়রিয়ায় শিশুসহ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলার থানচি উপজেলার পাহাড়ে দুর্গম পাঁচটি পাড়ায় ডায়রিয়ায় এরা মারা যায়। গতকাল সোমবার পর্যন্ত জেলার সাতটি উপজেলায় ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলছে।
অপরদিকে বান্দরবানের থানচি উপজেলার গ্রামে গ্রামে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। উপজেলার চারটি ইউনিয়নে আগাম বৃষ্টির শুরু থেকেই ম্যালেরিয়ার রোগী বাড়ছে। পাহাড়ি দুর্গম এলাকা হওয়ায় উপজেলা সদরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনেকে যেতে পারছে না।
স্বাস্থ্য বিভাগ ও জনপ্রতিনিধিরা জানান, জেলার থানচি উপজেলার রেমাক্রী ইউনিয়নের দুর্গম পাঁচটি পাড়ায় প্রচণ্ড গরমে বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট, পাহাড়ি ঝিরি ঝর্ণার দূষিত পানি ব্যবহারের কারণে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে। পাড়াগুলো হচ্ছে- রেমাক্রী ইউনিয়নের ৬ ও ৯ নং ওয়ার্ডের ইয়াংরে পাড়া, ইয়াংবং পাড়া, ঙাঁরেসা পাড়া, ম্রংগং পাড়া এবং সিং চং পাড়া।
গত কয়েকদিনে রেমাক্রী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মেনথাং পাড়ার কার্বারী মেনথাং ম্রো , নারিচা পাড়ার বাসিন্দা লংঞী ম্রো, ইয়াংবং পাড়ার বাসিন্দা ক্রাইয়ং ম্রো এবং সিংচং পাড়ার বাসিন্দা প্রেন ময় ম্রো। সংদক ম্রো ডায়েরিয়ায় মারা গেছেন। অপরদিকে, দুর্গম পাঁচটি পাড়ায় ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৫ জন ছাড়িয়ে গেছে। এদিকে, দুর্গম পাড়াগুলোতে খাবার স্যালাইন এবং বিশুদ্ধ খাবার পানি ও ঔষধের সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
রেমাক্রী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুইশৈ থুই মারমা বলেন, বর্ষায় শুরুতেই প্রচণ্ড গরমে এবং বৃষ্টির কারণে ঝিরি-ঝর্ণা-খালের দূষিত পানি ব্যবহারের কারণে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে কয়েকটি পাড়াতে। এই পর্যন্ত পাঁচটি পাড়ায় ৫ জন মারা গেছে বলে খবর পেয়েছি।”
বান্দরবানের সিভিল সার্জন নিহার রঞ্জন নন্দী বলেন, গত তিন-চার দিনে ডায়রিয়ায় ৫ জনের মৃত্য্যুর তথ্য পেয়েছি আমরা। আক্রান্তের সংখ্যা জেলায় স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে ৬৫ জন। তাদের মধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিয়েছে ৩৫ জন। অন্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা সেবা নিয়েছে। আক্রান্ত পাড়াগুলোতে খাবার স্যালাইন এবং ঔষধপত্র পাঠানো হয়েছে।
এদিকে বান্দরবানের থানচি উপজেলার গ্রামে গ্রামে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। উপজেলার চারটি ইউনিয়নে আগাম বৃষ্টির শুরু থেকেই ম্যালেরিয়ার রোগী বাড়ছে। পাহাড়ি দুর্গম এলাকা হওয়ায় উপজেলা সদরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনেকে যেতে পারছে না। অধিকাংশই কাছাকাছি হাট-বাজারের ফার্মেসি থেকে জ্বরের ওষুধ কিনে খাচ্ছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ব্র্যাক দুই সপ্তাহ যাবৎ ম্যালেরিয়া পরীক্ষার কিট ও ওষুধ দিলেও তা অপ্রতুল হওয়ায় প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আসছে না।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, দুর্গম গ্রামগুলোয় বৃষ্টি শুরু হতেই ম্যালেরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে ডায়রিয়াও দেখা দিচ্ছে। গ্রামে গ্রামে ১০-১২ জন করে ম্যালেরিয়া ও জ্বরের রোগী রয়েছে। গত পাঁচ দিনে শিশুসহ ১৮ জন স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। বেশি দুর্গম অঞ্চল থেকে মানুষ হাসপাতালে আসতে পারছে না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ম্যালেরিয়ার রোগী প্রদীপ ত্রিপুরা (৫০)। রেমাক্রী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষ চন্দ্রপাড়ার বাসিন্দা বলেন, এলাকায় ঘরে ঘরে জ্বর। জ্বর পরীক্ষা করার যন্ত্র নেই, স্বাস্থ্যকর্মীও নেই। আগেতো এনজিও কর্মী ছিল, এখন তা-ও নেই। অনেকে স্থানীয় হাটবাজার থেকে জ্বরের ওষুধ কিনে খেয়ে সুস্থ হয়ে যায়। আমিও ওষুধ খেয়েছি, কিন্তু ভালো না হওয়ায় ছেলেকে নিয়ে গতকাল হাসপাতালে এসেছি। চিকিৎসক-নার্সরা পরীক্ষা করে দেখেছে ম্যালেরিয়া জ্বর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।