Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভিনেত্রী পল্লবীর মৃত্যুরহস্য: প্রেমিক গ্রেফতার

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ মে, ২০২২, ১০:০৩ এএম

টলিউড অভিনেত্রী পল্লবী দে মৃত্যু-মামলায় তার লিভ-ইন সঙ্গী সাগ্নিক চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবারই (১৬ মে) পল্লবীর বাবা নীলু দে পুলিশে অভিযোগ করেন, তার মেয়েকে খুন করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে তিনি সাগ্নিক, তার বান্ধবী ঐন্দ্রিলা সরকার-সহ কয়েক জনের নাম উল্লেখ করেছেন। এর পর সাগ্নিককে প্রায় রাতভর জেরা করা হয়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গড়ফা থানায় জেরার সময় আগাগোড়া হাজির ছিলেন কলকাতা পুলিশের এক ডেপুটি কমিশনার। বস্তুত, তার সামনেই সাগ্নিককে জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া চলে। এরপর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাগ্নিককে গ্রেপ্তার করা হয়।

পল্লবীর বাবার দাবি ছিল, অন্য এক তরুণী ঐন্দ্রিলার সঙ্গে সম্পর্কে থাকতে চেয়েই তার মেয়েকে খুন করেছেন সাগ্নিক। পাশাপাশি তারা জানিয়েছিলেন, পল্লবীর উপার্জিত অর্থও হস্তগত করার চেষ্টা করছিলেন সাগ্নিক। সোমবারের সেই অভিযোগের ভিত্তিতে খুন এবং সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার মামলা দায়ের হয় সাগ্নিকের বিরুদ্ধে। সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত পল্লবীর এই লিভ-ইন সঙ্গীকে জেরাও করে পুলিশ। তারপরই গ্রেপ্তার।

তদন্তে জানা গিয়েছে পল্লবী ও সাগ্নিক কিছু সম্পত্তি কিনেছিলেন। সোমবার গভীর রাতের জেরায় সেই সম্পর্কে সাগ্নিকের কাছে বিশদ তথ্য জানতে চাওয়া হয়। এছাড়া আরও একাধিক আর্থিক লেনদেন নিয়েও পুলিশের প্রশ্নের জবাব দিতে হয় সাগ্নিককে। নতুন কোনও সম্পত্তি কেনা নিয়ে তাদের মধ্যে বিবাদের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল কি না জানতে চেয়েছিল পুলিশ।

রবিবার (১৫ মে) পল্লবীর গড়ফার ফ্ল্যাটে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। অভিনেত্রীর গলায় জড়ানো ছিল বিছানার চাদর। মেয়ে যে এই ভাবে আত্মহত্যা করতে পারেন, তা বিশ্বাস করতে চাননি পল্লবীর বাবা নীলু। তিনি রবিবারই জানিয়েছিলেন, পল্লবী এমন কাজ করতে পারে না। ওকে নিশ্চয়ই কেউ খুন করেছে। যদিও রবিবার এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে কোনও মামলা করেননি নীলু। বলেছিলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখেই সিদ্ধান্ত নেবেন।

সোমবার (১৬ মে) বিকেলে পল্লবীর ময়নাতদন্ত হওয়ার পরই স্ত্রী সঙ্গীতা দে এবং আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে গড়ফা থানায় হাজির হন অভিনেত্রীর বাবা। সেখানেই পল্লবীর লিভ-ইন সঙ্গী সাগ্নিক, তার এক বান্ধবী-সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: টলিউড


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ