পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
পাকিস্তানের স্বনামধন্য ভাস্কর ও চিত্রশিল্পী শহীদ রাসাম ২০০ কেজি সোনা দিয়ে একটি পবিত্র কোরআন তৈরি করে সৃষ্টি করেছেন এক অনন্ত্য নজির। প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, এটি পূর্বের ‘সর্ববৃহৎ’ পবিত্র কোরআন তৈরির সকল রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যাবে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। ইতোমধ্যে পাকিস্তানের করাচীতে বিশাল টিম নিয়ে শুভ মহরতে কাজটি শুরু হয়ে গেছে।
এতে দুই হাজার কেজি অ্যালুমিনিয়াম ও দুইশ কেজি স্বর্ণ ব্যবহার করা হয়েছে। এবারই প্রথমবারের মতো অ্যালুমিনিয়াম ও স্বর্ণের প্রলেপ দিয়ে ক্যানভাসে কোরআনের সর্ববৃহৎ কপি খোদাই করা হয়েছে বলে জানা যায়। এ খবর প্রকাশ করেছে পাকিস্তানি জিও টিভি।
শিল্পী রাসাম জানান, বিশ্বের সবচেয়ে বড় খোদাই করা পবিত্র কোরআনের প্রকল্পটি অনন্য একটি প্রকল্প। ফ্রেম ছাড়া পবিত্র কোরআনের কপিটির দৈর্ঘ্য ৮.৫ ফুট এবং প্রস্থ ৬.৫ ফুট। এর মধ্যে ৮০ হাজার শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। প্রতি পৃষ্ঠায় ১৫০ শব্দ থাকবে। আর মোট ৫৫০ পৃষ্ঠা থাকবে। এতে দুই শ কেজি স্বর্ণ ও দুই হাজার কেজি অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহৃত হয়।
তিনি আরও জানান, তিনি সব সময় চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসেন। আর তাই সর্বদা নিত্য-নতুন বিষয় নিয়ে কাজ করেন। চার বছর আগে এ প্রকল্পটি তিনি শুরু করেন। ৫৫০ ক্যানভাসে পবিত্র কোরআন শেষ করার কাজটি এখনও চলমান আছে। প্রাকৃতিক মূল্যবান পাথর ও অ্যালুমিনিয়ামে স্বর্ণের প্রলেপ দেয়া পবিত্র কোরআনের কপিটি আগামী এক হাজার বছর স্থায়ী হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে আফগানিস্তানের হস্তলিপিকার মোহাম্মদ সাবির খেদ্রি ৫০০ কেজি ওজনের একটি কোরআন তৈরি করেছেন। দেশটির তাতারস্তান অঞ্চলে নির্মিত ওই কোরআন শরীফটির পৃষ্ঠাগুলোর আয়তন ছিল দৈর্ঘ্যে ২ মিটার ও প্রস্থে ১ দশমিক ৫ মিটার। বৃহত্তম কোরআন শরীফ তৈরির প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে মূল হস্তলিপিকার মোহাম্মদ সাবির খেদ্রির সহযোগী হিসেবে ৯ জন ছাত্রও কাজ করেছেন। সোনালী লিপিগুলোকে ফুটিয়ে তুলতে বিশালাকার পৃষ্ঠাগুলোর চারধারে প্রতিকী কারুকাজ হিসেবে ছোট ছোট লাখ লাখ রঙিন বিন্দু ব্যবহার করেছেন তারা।
৩০ বছরের চলমান যুদ্ধে আফগানিস্তানের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও প্রথা নষ্ট হয়েছে, কিন্তু ধ্বংস হয়নি- তা বিশ্বকে দেখিয়ে দিতেই বৃহত্তম এ কোরআন রচনার পদক্ষেপ নিয়েছিলেন খেদ্রি।
অর্ধমিলিয়ন ডলার ব্যায়ে নির্মিত কোরআন শরীফটিতে ২১৮ টি পৃষ্ঠা রয়েছে যেগুলো কাপড় ও কাগজের তৈরি এবং পৃষ্ঠাগুলোর আকার দৈর্ঘ্যে ৯০ ইঞ্চি বা ২ দশমিক ২৮ মিটার এবং প্রস্থে ৬১ ইঞ্চি বা ১ দশমিক ৫৫ মিটার।
পৃষ্ঠার প্রান্তগুলো চামড়া দিয়ে কারুকার্যমন্ডিত যা তৈরি করতে ২১ টি ছাগলের চামড়া ব্যবহার করা হয়েছে। কাবুল কালচারাল সেন্টার জানিয়েছে, এই কোরআনটিকে পৃথিবীর বৃহত্তম বলে ঘোষণা দিয়েছে আফগানিস্তানের হজ্ব ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। কোরআন শরীফটি এখন ওই কালচারাল সেন্টারেই রয়েছে। এর আগে পৃথিবীর বৃহত্তম কোরআন শরীফ তৈরির কৃতিত্বের দাবিদার ছিল রাশিয়া। সূত্র: ইকনা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।