পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কমলালেবু ও আঙুর ছোটবড় সবার পছন্দের ফল। বিশেষ করে শীতকালে ফল বলতে কমলালেবু চাই। সাথে আঙর হলে তো কথাই নেই। সবুজ, কালো ও কফি কালারের আঙুর বাজারে পাওয়া যায়। কিন্তু এবার এ দু’টি ফলের ব্যাপারে একটু সতর্ক হওয়ার সময় এসেছে।
বাজারে গিয়ে দোকানে তরে তরে সাজানো ফল দেখলেই লোভ সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে। আগেপিছে কোনো চিন্তাভাবনা না করেই কিনে ফেলেন তো? কমলালেবু, আঙুর বা বিশেষ কয়েকটি শুকনো ফল বা কিছু ভেষজ উদ্ভিদ খাওয়ার জন্য কেনার আগে একটু ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।
সব ফলই যে বিপদের কারণ তেমনটি নয়। যেসব ফলের মধ্যে কীটনাশক সবচেয়ে বেশি পরিমাণে মিলছে, সে তালিকার প্রথমেই রয়েছে আঙুরের নাম। দ্বিতীয় নামটি হচ্ছে কমলালেবু। এরপর আছে কিছু আনাজপাতি, শুকনো ফল, মটরশুঁটি, লেটুস পাতা, শিমের বিচি ও গাজর। এছাড়াও রয়েছে কয়েকটি ভেষজ উদ্ভিদ।
আর এসব ফল, কিছু শুকনো ফল, আনাজপাতি আর ভেষজ উদ্ভিদে যে শুধু দুই একটি অত্যন্ত বিষাক্ত কীটনাশক থাকে, তা কিন্তু নয়। আরও থাকে মানব দেহের পক্ষে বিপজ্জনক অন্তত ১২২ রকমের কীটনাশক। এই উদ্বেগজনক তথ্য দিয়েছে জাতিসংঘের একটি সংস্থা ‘পেস্টিসাইড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক (পিএএন)’। এর সদর দফতর হচ্ছে ইংল্যান্ডে।
পিএএন’র সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, এই কীটনাশকগুলোর প্রায় ৬৭ শতাংশই খুব বিষাক্ত। জাতিসংঘ যা মানবস্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক কীটনাশক (‘হাইলি হ্যাজার্ডাস পেস্টিসাইডস’ বা ‘এইচএইচপি’)-এর তালিকাভুক্ত করেছে। এই কীটনাশকগুলো যে শুধুই স্বাস্থ্যের পক্ষে বিপজ্জনক তা নয়, অত্যন্ত বিপজ্জনক সুস্থ পরিবেশের পক্ষেও।
সমীক্ষার রিপোর্টে বলা হয়, এই ১২২টি কীটনাশকের মধ্যে ৪৭টির যে ক্যানসারে বড় ভূমিকা রয়েছে তা আগেই প্রমাণিত। ১৫টি কীটনাশক যৌনশক্তি ও প্রজনন ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ১৭টি কীটনাশক শ্বসনতন্ত্রে জটিলতার সৃষ্টি করে। অন্তত ৩০টি কীটনাশক মানব দেহের বিভিন্ন হরমোনের ক্ষরণের স্বাভাবিক মাত্রা বদলে দেয়। এর ফলে নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়।
গবেষকরা মূলত ইংল্যান্ডেই এই সমীক্ষা চালিয়েছেন। তবে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই কৃষকরা এই কীটনাশকগুলোর ব্যবহার করেন। গবেষণার সাথে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীদের কথা, এই সমীক্ষার ফলাফল সব দেশের পক্ষেই উদ্বেগজনক। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান, ইউরো৭ নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।