প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় দুই বিবাহিত জুটি ছিল নুসরাত জাহান, নিখিল জৈন এবং শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, রোশন সিং। তবে বর্তমানে এই দুই জুটি এখন আইনের সাহায্য নিয়ে সম্পর্ক ভাঙ্গার চেষ্টায় ব্যস্ত। অদ্ভুতভাবে এই দুই অভিনেত্রীর ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে ডিভোর্সের একই কারণ। আর শ্রাবন্তী ও নুসরাতের ডিভোর্সের কারণ প্রায় মিলে যাওয়ায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
কিছুদিন আগেই অভিনেত্রী নুসরাত জাহান দাবি করেছিলেন যে তার স্বামী নিখিল জৈন উভকামী এবং পাশাপাশি শারীরিকভাবে অভিনেত্রীকে সন্তুষ্ট করতে সক্ষম হননি তিনি। যে কারণে তাকে অভিনেত্রী ডিভোর্স দিতে চাইছেন। বলাই বাহুল্য এই সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে নিখিল পাল্টা জানিয়েছিলেন যে নুসরাত মিথ্যা বলছেন। সম্প্রতি নিজের তৃতীয় স্বামী রোশান সিংয়ের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ এনেছেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে ভারী চেহারার কারণে অভিনেত্রীকে শারীরিকভাবে সন্তুষ্ট করতে সক্ষম ছিলেন না রোশন।
পাশাপাশি রোশনের বিরুদ্ধে শ্রাবন্তী এক কোটি টাকা চুরির অভিযোগও এনেছেন। বলাই বাহুল্য এই অভিযোগের বিরুদ্ধে পাল্টা মুখ খুলে রোশন জানিয়েছেন তার বিরুদ্ধে মিথ্যা গুজব রটাচ্ছেন শ্রাবন্তী। পাশাপাশি সত্যি মিথ্যার ভার আদালতের উপরই ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। ইতিপূর্বে নুসরাতও স্বামী নিখিল জৈন ও তার পরিবারের বিরুদ্ধেও গয়না চুরির অভিযোগ এনেছিলেন। যদিও ইতিমধ্যে নিখিলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে নিজের পিঠ বাঁচানোর জন্য তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনছেন অভিনেত্রী নুসরাত জাহান।
প্রসঙ্গত, নুসরাত জাহান এবং শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় দুজনেই প্রথম তাদের স্বামীদের থেকে দূরত্ব বাড়িয়ে আলাদা থাকতে শুরু করেন। তাদের ডিভোর্স নিয়ে নানান জল্পনা হলেও আগে কখনোই এই বিষয়ে সরাসরি কথা বলেননি নুসরাত বা শ্রাবন্তী। তবে বর্তমানে তারা আইনের পথে হেঁটেই ডিভোর্স চাইছেন। যদিও নুসরাত তাদের এই বিয়েকে কখনোই বিয়ে হিসেবে মান্যতা দেননি। কিন্তু এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চান দুজনেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।