প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
সন্তানের পিতৃপরিচয় না জানিয়ে মা হওয়া টালিউড অভিনেত্রী নুসরাত জাহানকে শুভেচ্ছায় ভাসিয়েছিলেন আলোচিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নুসরাতের এমন সিদ্ধান্তের জন্য সাহসী তকমা দিয়ে বাহবা জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দুদিন যেতে না যেতেই যেন ভুল ভাঙল তার। এবার নুসরাত তার সন্তানের পিতৃপরিচয় সামনে আনার পর তসলিমা বললেন উল্টো কথা। নুসরাতকে যতটা সাহসী ভেবেছিলেন আসলে তা নন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
ফেসবুকে বড়সড় স্ট্যাটাসে নুসরাতের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে তসলিমা লিখেছেন, ‘কলকাতার অভিনেত্রী নুসরতকে সে যতটা না বিল্পবী তার চেয়ে বেশি ভেবে নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম নুসরাত তার সন্তানকে শুধু নিজের সন্তান হিসেবে পরিচয় দেবে। কার স্পার্ম সে নিয়েছে গর্ভবতী হওয়ার জন্য, সেটা মোটেও উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হবে না। কিন্তু না, নুসরাত আসলে অন্য যে কোনও রমণীর মতোই রমণী। সে সন্তানের বার্থ সার্টিফিকেটে উল্লেখ করেছে সন্তানের পিতার নাম। তার সর্বক্ষণের সঙ্গীই সন্তানের পিতা।’
তুরস্কে নিখিল জৈনের সঙ্গে ডেস্টিনেশন ওয়েডিং করেছিলেন নুসরাত। কিন্তু ভারতে নুসরাত-নিখিলের বিয়ের রেজিস্ট্রেশন হয়নি। যার জেরে নুসরাত দাবি করেছিলেন, তার ও নিখিলের বিয়ে হয়নি। কেবল লিভ-ইন রিলেশনশিপে ছিলেন। তাই আইনি বিচ্ছেদের কোনও প্রশ্নই ওঠে না। নুসরাতের এই সিদ্ধান্ত যুক্তিযুক্ত বলেই মনে করেন তসলিমা নাসরিন। তবে তার মতে, ‘সন্তানের পিতৃপরিচয় নিয়ে এত লুকোচুরি খেলার পর এভাবে বিষয়টি প্রকাশ করার কোনও প্রয়োজন ছিল না।’
এরপরই আবার যশ ও নুসরাতের সম্পর্ক নিয়ে কটাক্ষ করে তসলিমা লেখেন, ‘আমি অবাক হব না যদি কোনওদিন প্রকাশ হয় যে গোপনে সে যশকে বিয়েও করেছে। তাহলে যে কোনও ট্র্যাডিশনাল মেয়ের চেয়ে নুসরাতের তফাৎটা কোথায়? প্রচুর লেখালেখি, প্রচুর স্বাগত জানানো, শুভেচ্ছা জানানো, স্যালুট জানানো — এসব বরং এক্সট্রাঅরডিনারি সাহসী এবং পুরুষতন্ত্রের ছকভাঙ্গা মেয়েদের জন্য তোলা থাকুক। ট্র্যাডিশনাল মেয়েদের পেছনে সময় নষ্ট করা, তাদের বাহবা দেওয়া আপাতত স্থগিত থাকুক।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২৬ আগস্ট পুত্র সন্তানের জন্ম দেন অভিনেত্রী সাংসদ নুসরাত জাহান। এতদিন সন্তানের পিতৃপরিচয় প্রকাশ্যে আনেননি নায়িকা। মনে করা হচ্ছিল, মায়ের পরিচয়েই সন্তানকে মানুষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। যদিও সঙ্গী যশ দাশগুপ্ত পুরো বিষয়টাতেই ছায়ার মতো সঙ্গে ছিলেন নুসরাতের। নুসরাত মা হওয়ার পর তসলিমা বলেছিলেন, ‘নুসরাত কার সন্তানের মা হবেন সেটা তার ইচ্ছে। স্পার্ম কার সেটা বড় কথা নয়, তার বাচ্চা নিতে ইচ্ছে করছে, সে নিচ্ছে। গর্ভে যে ধারণ করে, বাচ্চা মূলত তার।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।