নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সব ধরনের ক্রিকেট থেকে বিদায়ের ঘোষণা দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ফাস্ট বোলার ডেল স্টেইন। আজ ‘সবচেয়ে ভালোবাসেন যে খেলা’, সেটা থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন টুইটারে। ২০১৯ সালেই টেস্ট থেকে বিদায় নিয়েছিলেন ক্রিকেটের দীর্ঘ সংস্করণে দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বেশি উইকেটের মালিক স্টেইন। এরপর সীমিত ওভারের ক্রিকেটের দিকে নজর দিতে চেয়েছিলেন। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন ২০১৯ সালের মার্চে, সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি গত বছর ফেব্রæয়ারিতে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর নিজের ভবিষ্যত নিয়ে ভাববেন, এমনটা জানিয়েছিলেন গত বছর। করোনাভাইরাসের কারণে শেষ পর্যন্ত হয়নি সে বিশ্বকাপ। এ বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভারতের আয়োজনে হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরের আসর। ৩৮ বছর বয়সী স্টেইন বিদায় বলে দিলেন তার আগেই। রক ব্যান্ড কাউন্টিং ক্রোস-এর এ লং ডিসেম্বর গানের লাইন উদ্ধ্বৃত করে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন স্টেইন। লিখেছেন, ‘অনুশীলন, ম্যাচ, ভ্রমণ, জয়, পরাজয়, পায়ে টেপ পেঁচানো, জেট ল্যাগ, আনন্দ, ভাতৃত্বের ২০ বছর। অনেক অনেক স্মৃতি। ধন্যবাদ দেওয়ার মতো অনেক বেশি মানুষ। আমি তাই আমার ব্যক্তিগত বিশেষজ্ঞ কাউন্টিং ক্রোসের ওপরে সব বলার ভার তুলে দিলাম।’
২০২১ সালের আইপিএল থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেও পিএসএলে খেলেছিলেন স্টেইন। সে সময় ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘না, আমি অবসর নিইনি।’ পিএসলেই শেষ স্বীকৃত ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি, ক্যারিয়ারের শেষও হয়ে থাকল মুলতানের বিপক্ষে কোয়েটা গø্যাডিয়েটর্সের হয়ে খেলা ম্যাচটাই। শেষ হয়ে গেল দুর্দান্ত এক ক্যারিয়ার।
এরপর লিখেছেন, ‘সবচেয়ে ভালোবাসি যে খেলাটা, সেটা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আজ অবসর নিলাম। অ¤øমধুর অভিজ্ঞতা, তবে কৃতজ্ঞ আমি।’ পাশাপাশি টুইটারে পরিবার, সমর্থক, সাংবাদিক, সতীর্থ সবাইকে অসাধারণ এ ভ্রমণে সঙ্গী হওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
২০০৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পোর্ট এলিজাবেথ টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছিল স্টেইনের। এ সংস্করণে ৯৩ ম্যাচে ৪৯৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। শন পোলকের পর দ্বিতীয় দক্ষিণ আফ্রিকার বোলার হিসেবে টেস্টে ৪০০ উইকেট পেয়েছিলেন স্টেইন, পরে পোলককে টপকেও গেছেন। টেস্ট ইতিহাসে কমপক্ষে ৩০০ উইকেট নেওয়া বোলারের মাঝে সবচেয়ে ভালো স্ট্রাইক রেটও স্টেইনেরই (৪২.৩)।
গতির কারণে স্টেইনকে ডাকা হতো ‘স্টেইন-গান’ নামে। ফাস্ট বোলিংয়ের একটা প্রজন্মের অন্যতম আকর্ষণের নাম ছিলেন তিনি। শুধু কার্যকরী নয়, ছিলেন সময়ের অন্যতম সেরা—যদি সর্বকালের সেরা না–ও হয়ে থাকেন। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে বোলারদের শীর্ষস্থানে উঠেছিলেন। সব মিলিয়ে ক্যারিয়ারে প্রায় সাত বছর টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর বোলার ছিলেন তিনি। তবে আরও সব ফাস্ট বোলারের মতোই চোট ভুগিয়েছে স্টেইনকে। ২০১৬ সালে কাঁধের চোট তো ছিল প্রায় ক্যারিয়ার শেষ করে দেওয়ার মতোই। এরপর এক বছরেরও বেশি সময় টেস্ট খেলেননি তিনি।
ক্যারিয়ারে ১২৫টি ওয়ানডে খেলেছেন স্টেইন। এর মাঝে ছিল ২০১৫ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। ইডেন পার্কে তার বলে ছয় মেরেই নিউজিল্যান্ডের প্রথম ফাইনাল নিশ্চিত করেছিলেন গ্রান্ট এলিয়ট। সে ছয়ের পর স্টেইনকে সান্ত¡না দেওয়া এলিয়টের ছবিটা হয়ে আছে ক্রিকেট ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা হয়ে। ওয়ানডেতে স্টেইনের উইকেট সংখ্যা ১৯৬টি। পাশাপাশি ৪৭ টি-টোয়েন্টিতে নিয়েছেন ৬৪ উইকেট। প্রায় সবখানেই ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক লিগ ও ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগেও নিয়মিত নাম ছিলেন স্টেইন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।