Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

করোনামুক্তির সাত সপ্তাহের মধ্যে এভারেস্টে নীরাজ চৌধুরীর সফল অভিযান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ জুলাই, ২০২১, ৭:৫৭ পিএম

কাঠমান্ডু থেকে এভারেস্টের উদ্দেশে রওনার দিনই কোভিড ধরা পড়ে নীরাজ চৌধুরীর। কিন্তু তাতে লক্ষ্য থেকে বিচলিত হননি দিল্লি আইআইটি-র এই প্রাক্তন ছাত্র। কোভিড থেকে সেরে ওঠার সাত সপ্তাহের মধ্যে বেস ক্যাম্পে পৌঁছেন নীরাজ। এবং সফল অভিযান চালিয়ে এভারেস্টের মাথায় পাশাপাশি উড়িয়ে দেন তাঁর প্রতিষ্ঠানের পতাকা। -এনডিটিভি

দিল্লি আইআইটি থেকে এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টে ২০০৯-১১ শিক্ষাবর্ষে এম টেক করেন নীরাজ। বর্তমানে তিনি রাজস্থান সরকারের পানিসম্পদ দপ্তরে কর্মরত। ২০১৪-য় মাউন্টেনিয়ারিংয়ে তার যাত্রা শুরু। ২০২০-তে কেন্দ্রীয় যুবকল্যাণ ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ইন্ডিয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ফাউন্ডেশন এভারেস্ট এক্সপিডিশনের সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন তিনি। তবে করোনার কারণে অভিযান পিছাতে হয়।

এ বছর অতিমারী সত্ত্বেও অভিযাত্রী দলের সঙ্গে কাঠমান্ডু পৌঁছন নীরজ। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘অভিযান শুরুর মুখেই বাধা।গত ২৭ মার্চ আমার করোনা ধরা পড়ে গেল। ব্যস। জয়পুরে বাড়িতে ফিরে যেতে হল। তবে খুব বাড়াবাড়ি কিছু হয়নি। ক’দিন শুধু নিজেকে খুব ক্লান্ত লেগেছে।’ যুবকের কথায়, ‘সেই সময়েও ঠিক কোভিড নিয়ে ভাবছিলাম না। অভিযানটার জন্য কত প্রস্তুতি নিয়েছি এবং এটাই আমার একমাত্র সুযোগ, এ সব কথাই ঘুরছিল মাথার মধ্যে। এই যে সামনে আর দ্বিতীয় সুযোগ নেই, এই ভাবনাটাই আমাকে মনের জোরে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে।’

গত ২৭ মার্চ কোভিড পজেটিভ ধরা পড়ে নীরাজের এবং এপ্রিলে কাঠমান্ডু ফিরে আসেন তিনি। ৩১ মে এভারেস্ট অভিযানে সফল হন দিল্লি আইআইটি-র এই প্রাক্তনী। কোভিড থেকে সেরে উঠে কাঠমান্ডু ফেরার পরেও ভারতের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ পিছু ছাড়েনি তাঁর। অন্যদিকে, তাঁর পরিবার আবার সাইক্লোনের পূর্বাভাসের জেরে দিন কাটাচ্ছিল অনিশ্চয়তায়। সংবাদমাধ্যমে নীরজ বলেন, ‘মানসিক ভাবে সময়টা আমার জন্য স্বাভাবিক ছিল না। পর্বতারোহণ তো কেবল একটা শারীরিক প্রয়াস নয়। কাছাকাছি পৌঁছনোর পরেও ৩৬ ঘণ্টায় তিন বারের চেষ্টায় অবশেষে শৃঙ্গে পৌঁছতে পারি ৩১ মে এবং তখনকার সেই অনুভূতির সঙ্গে কোনও কিছুর তুলনা হয় না।

তিনি বলেন, তাঁর এই সাফল্যের পিছনে আলমা মাতর আইআইটি-দিল্লির যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। তাঁর ভবিষ্যতের পথ প্রদর্শক তো তারাই। পাশাপাশি এই অভিযানের জন্য ২৪ লক্ষ টাকা অর্থ সংগ্রহে সহযোগিতা করেছে আইআইটির প্রাক্তনী সংসদ। সে কারণে প্রতিষ্ঠানের একটি পতাকাও সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন নীরাজ। গত শুক্রবার নীরাজের সাফল্য উদযাপন করেছে আইআইটি-দিল্লিও। প্রতিষ্ঠানের প্রধান ভি রামগোপাল রাও বলেন, ‘গত ৩১ মে আমাদের এক প্রাক্তনী নীরাজ চৌধুরি এভারেস্টে সফল অভিযান চালিয়েছেন। এ অত্যন্ত গর্বের একটি ঘটনা। সে দিল্লি-আইআইটির পতাকা নিয়ে গিয়েছিল। এভারেস্টে তা উড়িয়ে এসেছে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এভারেস্ট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ