প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন কাঞ্চন মল্লিক। সম্প্রতি শোনা গেছে, ‘কৃষ্ণকলি’র রাধারানী খ্যাত শ্রীময়ী চট্টরাজের সঙ্গে প্রেম-সম্পর্কে জড়িয়েছেন কাঞ্চন মল্লিক। এমটা দাবি করেছেন তার স্ত্রী পিঙ্কিও। যার জেরে একের পর এক থানা পুলিশ করছে দুই পক্ষই। তবে হঠাৎ সামনে উঠে এল আরও এক চাঞ্চল্যকর কথা। কাঞ্চনের কথায়, তাকে মিথ্যে দোষারোপ করতে গিয়ে নিজের স্বরূপ প্রকাশ করে ফেলেছেন স্ত্রী পিঙ্কি। নিজের পরকীয়া ঢাকতে শ্রীময়ী চট্টরাজকে নিয়ে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা প্রচার করেছেন তিনি।
কাঞ্চন বলেন, 'পরকীয়া দূরঅস্ত কাজের বাইরে কোনও সম্বন্ধই নেই! এই প্রশ্ন কেউ করেছেন ওঁকে? জানতে চেয়েছেন, পিঙ্কির প্রশাসনিক মহলে কত জন ‘বন্ধু’ রয়েছেন? কেউ জিজ্ঞেস করবেন না। কারণ, কোনও নারী এই ধরনের অভিযোগ তুললে সমাজ তার পক্ষে। পুরুষদেরও কান্না পায়, কে বুঝবে? তার উপর সে যদি হয় ‘লোক হাসানো’ কাঞ্চন মল্লিক। লোক হাসাতে হাসাতে আজ একা ঘরে হাউহাউ করে কাঁদছি। কেউ দেখার নেই!'
তিনি আরও জানিয়েছেন, 'মাথা হেঁট নিজের দলের কাছে। কী উত্তর দেব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে? ওঁরা আমায় ভরসা করে একটি কেন্দ্রের বিধায়ক পদে প্রার্থী করেছেন। দলের কাছে, নেত্রীর কাছে এ ভাবে ছোট করার মানে কী? অবশ্য এটাই বোধহয় পিঙ্কিকে মানায়।'
পাশাপাশি তিনি জানান, প্রতি মাসে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা দিতে হয় তার স্ত্রীকে। প্রতি সপ্তাহে ছেলের পছন্দসই রান্না নিজে রেঁধে নিয়ে যেতেন শ্বশুরবাড়িতে। সবার জন্মদিন পালন করতেন। তাকে মদ্যপ বলেছে পিঙ্কি, এদিকে পিঙ্কির গোটা পরিবারের সবাই নাকি প্রতিটা অনুষ্ঠানে মদ ছাড়া চলতে পারেন না। আর সেটার যোগানও দিতেন কাঞ্চনই। সঙ্গে, গত লকডাউনে ২ লক্ষ টাকার রেশন পাঠিয়েছেন শ্বশুরবাড়িতে।
তবে কাঞ্চনের এই ঘটনা সামনে আসার পরই অস্বস্তি শুরু হয়েছে উত্তরপাড়া তথা হুগলী তৃণমূলে। যদিও প্রকাশ্যে এই বিষয়ে মুখ খোলেননি কোন নেতা মন্ত্রীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।