প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
যাবতীয় তিক্ততা ভুলে স্ত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সংসার করতে চাইছেন রোশন সিং। সোমবার (৮ জুন) ‘রেস্টিটিউশন অব কনজুগাল রাইটস’ ধারায় দাবি জানিয়ে আদালতে মামলা করেছেন তিনি। ‘রেস্টিটিউশন অফ কনজুগাল রাইটস’-এ বলা হয়েছে, স্বামী বা স্ত্রী কেউ যদি কোনও যুক্তিযুক্ত কারণ না দেখিয়ে একসঙ্গে না থাকেন, তবে অপরজন এই ধারায় মামলা করতে পারেন। তখন সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে ছেড়ে যাওয়ার যথাযথ যুক্তিপূর্ণ কারণ দেখাতে হয়।
উল্লেখ্য, শ্রাবন্তীর তৃতীয় স্বামী রোশন। এর আগে পরিচালক রাজীব বিশ্বাসকে বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী। রাজীব ও শ্রাবন্তীর ছেলে ঝিনুক। তবে ২০১৬ সালে রাজীবের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মডেল কৃষাণ ব্রজকে বিয়ে করেছিলেন টলি বিউটি। সে বিয়ে ছ’মাসের বেশি টেকেনি। ২০১৯ সালের ১৯ এপ্রিল চণ্ডীগড়ের একটি গুরুদ্বারে গিয়ে রোশনকে বিয়ে করেন শ্রাবন্তী। কিন্তু গত বছরের নভেম্বর মাস থেকেই দু’জনের তিক্ততার খবর প্রকাশ্যে আসে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একে অপরকে আনফলো করেন। আলাদা থাকতেও শুরু করেন। পরোক্ষে বাক্যবাণের নিক্ষেপও চলতে থাকে ক্রমাগত। এমনকী শ্রাবন্তীপুত্র ঝিনুকও নাম না করে রোশনকে একহাত নিয়েছিল। ইনস্টাগ্রামে স্টোরি শেয়ার করে ‘বডি বিল্ডারদের’ মগজে বুদ্ধির অভাব বলে কটাক্ষ করেছিল শ্রাবন্তীপুত্র।
কিন্তু এখন সেই সমস্ত তিক্ততা নাকি ভুলতে চাইছেন রোশন। আবার নতুন করে শ্রাবন্তীর সঙ্গে থাকতে চাইছেন তিনি। রোশনের এই সিদ্ধান্তের কথা শুনেই অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, ডিভোর্সের পর মোটা খোরপোশ যাতে না দিতে হয় সেই জন্যই কি এই পদক্ষেপ নিয়েছেন শ্রাবন্তীর তৃতীয় স্বামী? তা একেবারেই নয় বলে জানিয়েছেন রোশন। তবে কেন এই সিদ্ধান্ত বদল সেই সম্পর্কে এখনও কিছু জানাননি তিনি। তবে শ্রাবন্তী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তাকে সমর্থন করেছিলেন রোশন। আর সোমবার অভিনেত্রী স্ত্রীর সঙ্গে সংসার করতে চেয়ে মামলাই করে বসলেন। যদিও এ বিষয়ে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।