প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
জি বাংলায় সম্প্রচারিত জনপ্রিয় বাংলা মেগা ধারাবাহিক ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’। এই ধারাবাহিক নাকি বিকৃত ইতিহাস ও ভুল তথ্য পরিবেশন করা হচ্ছে। এমনই অভিযোগ উঠেছে সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের তরফে। কালীঘাট মন্দির ও সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের যে ইতিহাস দেখানো হচ্ছে তাতে অনেক ভুল তথ্য রয়েছে। এমনটাই দাবি করেছেন সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার পরিষদের সম্পাদক দেবর্ষি রায়চৌধুরী।
দেবর্ষি রায়চৌধুরী এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, কালীঘাট মন্দির প্রসঙ্গ এবং মন্দির প্রতিষ্ঠাতা সন্তোষ রায় চৌধুরীর যে চরিত্র রাসমণিতে দেখানো হয়েছে তাতে ভুল আছে।
পাশাপাশি তিনি আরো অভিযোগ তোলেন, ধারাবাহিকের ১৪৫ নম্বর পর্ব থেকে কিংবদন্তি রায়চৌধুরী পরিবারের দু’টি চরিত্রকে আনা হয়েছে ধারাবাহিকে। পরবর্তী প্রায় বারোটি পর্ব ধরে ওই চরিত্রগুলির মাধ্যমে যা দেখানো হয়েছে, তাতে ভুল থাকার ফলে মানুষ ভুল ইতিহাস জানছে।
দেবর্ষি বাবু জানিয়েছেন, ধারাবাহিকে এমন কিছু দেখানো হয়েছে যা কাল্পনিক এবং বিকৃত ইতিহাস। ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছে রায়চৌধুরী নিজে রাসমণির শ্বশুরবাড়ি গিয়ে তাঁকে কালীঘাটের মন্দিরে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। অথচ ইতিহাস অনুযায়ী, রাসমণির বিয়ে হয় ১৮০৪ সাল নাগাদ। তার ৫ বছর আগেই পরলোক গমন করেন সন্তোষ। মন্দিরের সম্পূর্ণ হওয়াটা দেখে যেতে পারেননি প্রতিষ্ঠাতা। পরে মন্দিরের কাজ সম্পূর্ণ করেন তাঁর নাতি রাজীবলোচন রায়চৌধুরী। এই পুরো হিসেবটাই ধারাবাহিকের টাইমলাইনে ভুল দেখানো হয়েছে।
তথ্য ভ্রান্তির অভিযোগ তুলে দেবর্ষি বাবু আরো বলেন, ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছে কালীঘাটের ব্রহ্মশিলা আদিগঙ্গার ধারে পড়ে রয়েছে। সেটাকে পরে কাপালিকরা পুজা করে তাতে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেন। সেই সময় রানি রাসমণিকে নৌকাপথে আসতে দেখা যায়। অথচ শিলাখণ্ডের ওই ঘটনা ১৫৭০ সালের। সেটা রাসমণির জন্মের প্রায় আড়াইশো বছর আগের ঘটনা!
ধারাবাহিকে সন্তোষ রায়চৌধুরীর চরিত্রে অভিনয় করছেন কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায়। চরিত্রটি ইতিহাসে সেই সময় মৃত। অথচ ধারাবাহিকে নাকি জীবিত দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। তাছাড়া সেই সময় কালীঘাট মন্দির সংলগ্ন এলাকায় বনজঙ্গল দেখানো হয়েছে। সেটা নাকি ইতিহাসের সঙ্গে একেবারেই মেলে না। কারণ ততদিনে কালীঘাট নামক জনপদটি তৈরি হয়ে গিয়েছে বলেন তিনি।
এমনই নানা ধরনের ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ তুলছে সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার পরিষদ। তাদের মতে, দরকারে রায়চৌধুরী পরিবারের সঙ্গে দেখা করে চিত্রনাট্য লিখতেন ধারাবাহিক কর্তৃপক্ষ। তাহলে দর্শকদের আর এমন ভুল ইতিহাস দেখতে হত না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।