প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
এবার সোশাল মিডিয়ায় ফাঁস হল অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের নম্বর। শুধু তাই নয় অভিনেত্রীর উদ্দেশে করা হল কুমন্তব্য। ‘ওঁনার রেটটা কী চলছে একজনের সঙ্গে কত দুই জনের সঙ্গে কত আর দুইয়ের অধিক জনের সঙ্গে কতো…’ এমন কু-ইঙ্গিত ভরা পোস্টই সুজন সেন নামে এক নেট নাগরিক করেছেন শ্রীলেখা মিত্রের উদ্দেশে।
সেই পোস্টের সঙ্গেই জুড়ে দেওয়া হয়েছে অভিনেত্রীর ফোন নম্বর। সম্প্রতি রাজ্যের যুযুধান দুই দলের তারকা প্রার্থীদের ফোন নম্বর ফাঁস নিয়ে একপ্রস্থ বিতর্ক হয়েছে। সেই নম্বর ফাঁস করার উপলক্ষ্য, ‘মানুষের কাজে পাশে পেতে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ।‘ সেই ‘উপলক্ষ্য’র শিকার খোদ শ্রীলেখা কিনা, সেটা পোস্ট দেখে স্পষ্ট নয়। কিন্তু পোস্টের শুরুতে উল্লেখ রয়েছে, ‘ভাত চাই? শ্রীলেখা মাসিকে কল করুন।‘
যদিও এই সাইবার বুলিংয়ের জবাব সপাটে দিয়েছেন অভিনেত্রী। সুজন সেনের সেই পোস্ট নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেছেন তিনি। পাশাপাশি শ্রীলেখা মেনশন করেছেন কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ডিপার্টমেন্টকেও।
এমনকি, অভিনেত্রী তাঁর পোস্টে সেই নেট নাগরিককে ‘বোনপো’ সম্বোধন করে বলেন, ‘শুধু ভাত কেন? কোভিড সংক্রান্ত যে কোনও প্রয়োজনে তিনি তাঁর সাধ্য মতো সাহায্য করবেন।‘ অত্যন্ত ঠাণ্ডা মাথায় সেই নেট নাগরিকের প্রতি তাঁর জবাব, ‘তুমি তৃণমূল না বিজেপি? মানে বোঝার চেষ্টা করছি, কার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে এই ভাষায় আমার সম্পর্কে লিখলে?’
এই পোস্ট নিজের ফেসবুকে শেয়ার করে তীব্র প্রতিবাদ জানান অভিনেত্রী। ছবি: শ্রীলেখা মিত্র/ফেসবুক
এদিকে, শ্রীলেখার উদ্দেশে করা কুমন্তব্যের প্রতিবাদে সরব বিজেপি নেত্রী তথা অভিনেত্রী রূপা ভট্টাচার্য। তিনিও নিজের ফেসবুকে সেই পোস্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করে তীব্র কটাক্ষ করেছেন সেই নেট নাগরিককে। তিনি লিখেছেন, ‘এই ধরণের মানুষ সব রাজনৈতিক দলে থাকে আর এদের জন্য বাকিরা বদনাম হয়।এদের মত মানুষকে দল নির্বিশেষে পরিত্যাগ করে উচিত। আমি অন্তত তাই করি।করবো ও। আমি তীব্র নিন্দা করছি।‘ অভিনেত্রী রূপা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে আরও বলেন, ‘তিনি মনে করেন না কোনও দল এসব সমর্থন করে।এই ধরনের কুমন্তব্য সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত মতপ্রকাশ। সব দল এধরনের লোকের জন্য ভুক্তভোগী।‘
অপরদিকে, সপ্তম দফার নির্বাচনের দিন নেটমাধ্যমে ফাঁস করা হয় রাজ চক্রবর্তী, কাঞ্চন মল্লিক, জুন মাল্য, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়নী ঘোষ, কৌশানী মুখোপাধ্যায়, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, যশ দাশগুপ্ত, বাবুল সুপ্রিয়, রুদ্রনীল ঘোষ, পার্নো মিত্রদের নম্বর। পোস্টে লেখা ছিল, ‘করোনায় ভয় কিসের? আপনার পাশে মানুষের কাজ করার জন্য প্রাণ আনচান করা নেতারা! মাস্ক, স্যানিটাইজার, রক্ত, অক্সিজেন, অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য এক্ষুনি ফোন করুন…।’
সেই পোস্টের পর দু’দলে ভাগ হয়ে যায় নেটমাধ্যম। অনেকে বিরক্তির সুরে প্রশ্ন করেন, ‘এ ভাবে ব্যক্তিগত ফোন নম্বর ফাঁস করে বিপদে ফেলা কি ঠিক?’ কারও আবার পাল্টা কটাক্ষ, ‘এঁরা তো মানুষের কাজ করতে চেয়েছিলেন, তা হলে অতিমারির সময়ে মানুষ তাঁদের সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন, এতে অসুবিধা কোথায়’! দিন কয়েক আগে ফাঁস করা হয়েছিল বাম প্রার্থীদের ফোন নম্বর। যদিও যে এই কাজ করেছিলেন, তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে সেই পোস্টে মন্তব্য করেছিলেন বালির সিপিএম প্রার্থী দীপ্সিতা ধর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।