প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
করোনা আবহে ক্রমশই খারাপ হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি। কলকাতা থেকে শুরু করে শহরতলি, সর্বত্রই হাহাকার বেড, অক্সিজেনের। এছাড়াও রয়েছে অন্যান্য সমস্যা। অনেক সময়ই করোনা আক্রান্তরা পাচ্ছেন না সঠিক খাবার, ওষুধ। এই পরিস্থিতিতে সাহায্যের হাত বাড়ালেন রূপম ইসলাম এবং ‘ফসিল্স ফোর্স’ সদস্যরা।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন রূপম। সেখানে লেখা আছে, 'কোভিড আক্রান্ত বা বাড়ির অন্যান্য সমস্যার কারণে যারা ওষুধপত্র, বাজার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে পারছেন না, কমেন্ট বক্সে আমাদের জানান। আপনার এলাকায় আমাদের প্রতিনিধি থাকলে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেব আমরা। তারা আপনার জন্য জিনিস কিনে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসবে।' কেবল কলকাতা নয়, কলকাতার বাইরেও খাবার ও ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে টিম রূপম ইসলাম।
এই উদ্যোগের নেপথ্যে কী রয়েছে তা জানালেন রূপম ইসলামের স্ত্রী রূপসা দাশগুপ্ত। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি বললেন, 'সম্প্রতি আমার এক বন্ধুর পরিবার করোনা আক্রান্ত হয়েছিল। সেই সময় তাদের বাড়িতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দিয়েছিল আমাদের ‘মুক্তক্ষেত্র’ এবং ‘ফসিল্স ফোর্স’-এর ছেলেমেয়েরা। তখনই বুঝতে পারি এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে জরুরি মানুষের পাশে দাঁড়ানো। মাথায় আসে, এই সাহায্যটাকে যদি বৃহত্তর স্বার্থে কাজে লাগানো যায়।'
রূপসা যোগ করেন, 'এই পরিস্থিতিতে খুব জরুরি বেড আর অক্সিজেন। কিন্তু আমরা সরাসরি সেই ব্যবস্থাটা করতে পারছি না। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় প্রচুর নম্বর শেয়ার হচ্ছে। কিন্তু অনেক সময়ই সেখান থেকে উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা তাই একটা ফরম্যাট করে দিয়েছি। প্রয়োজনীয় তথ্য আমাদের জানালে আমরাই ফোনে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা করছি। একটা হোয়াটঅ্য়াপ গ্রুপ খোলা হয়েছে। সেখানে মানুষের দেওয়া তথ্য শেয়ার করে আমরা জেনে নিচ্ছি ওই এলাকায় আমাদের কোন প্রতিনিধি রয়েছেন।'
কিছুদিন আগেই শো বন্ধ করা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছিলেন রূপম। রূপসা বলছেন, 'ফসিসল শেষ অন গ্রাউন্ড শো করেছে ৭ মার্চ ২০২০। তারপরে আর কোনও শো হয়নি। আমরা যেভাবে শো করি সেটা স্বল্পসংখ্যক দর্শক নিয়ে করা মুশকিল। আর মঞ্চে হয়ত আমরা সুরক্ষাবিধি মানব কিন্তু দর্শকদের মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখাটা কঠিন। আমার মনে হয়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।'
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।