Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতিসংঘের আন্তরিকতায় ঘাটতি দেখছেন প্রতিমন্ত্রী

রোহিঙ্গা ইস্যু

কূটনৈতিক সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৩ এপ্রিল, ২০২১, ১২:১৫ এএম

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে জাতিসংঘ কথা বলে গেলেও প্রত্যাশিত কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। একই সঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) আয়োজনে ‘রোহিঙ্গা সমস্যা : প্রত্যাবাসন ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক কিছু বন্ধুরাষ্ট্রের অবদান ও অবস্থান নিয়ে যেমন সন্তুষ্ট আবার ঠিক একইভাবে আমরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করতে পারি না অন্যান্য বন্ধুরাষ্ট্রের অবস্থানের বিষয়ে। জাতিসংঘ রিপিটেডলি এখানে কথা বলছে, কিন্তু ইফেকটিভ কিছু হচ্ছে না। আমরা অনেককে দেখছি, যতটুকু সময় তাদের ব্যয় করা উচিত ছিল, তারা সেটা না করে রোহিঙ্গাদের উল্টো বাংলাদেশের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এমন অবস্থান দেশের কূটনীতি এবং সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জিং উল্লেখ করে শাহরিয়ার আলম বলেন, রোহিঙ্গাদের এখানে কীভাবে আরও ভালোভাবে রাখা যায় সে বিষয়ে অনেকে কথা বলেছেন। এটা আমাদের কূটনীতির জন্য চ্যালেঞ্জিং, সরকারের জন্যও চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এবং তার নেওয়া পলিসিতে আমরা সফল হয়েছি। আমরা আমাদের সামর্থ্য দিয়ে রোহিঙ্গাদের দেখভাল করছি। কিন্তু জাতিসংঘসহ অন্যান্য রাষ্ট্রগুলোর যতটুকু করার, তারা এখনো ততটুকু করেনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিশ্চিত না হলে শুধু বাংলাদেশ নয়, এই অঞ্চলের জন্যও বিষয়টি হুমকির। তিনি বলেন, বিষয়টি সিকিউরিটি অ্যান্ড সেফটির ক্ষেত্রে শুধু বর্ডার এরিয়ার জন্য না, এটির সঙ্গে সার্বভৈৗমত্বের বিষয় জড়িত। রোহিঙ্গা ইস্যুতে চূড়ান্ত সফলতা তখনই আসবে বা বলতে পারব সফল যখন আমরা তাদেরকে তাদের দেশে ফিরিয়ে দিতে পারব। বিআইআইএসএস মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এমদাদ উল বারীর সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ, নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন, সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির, সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমদ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক দেলোয়ার হোসেন।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর কয়েক মাসের মধ্যে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। আগে থেকে বাংলাদেশে ছিল আরও চার লাখ রোহিঙ্গা। আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ২০১৭ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করলেও সেই প্রত্যাবাসন আজও শুরু হয়নি। গত বছর দুই দফা প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও রাখাইন রাজ্যের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কার কথা তুলে সেখানে ফিরতে রাজি হয়নি রোহিঙ্গারা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতিসংঘ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ